সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: ইংল্যান্ডের এক তরুণী খাবার খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিল। সে কারণে তার ওজন ২৮ কেজিতে নেমে আসে। শারীরিক সক্ষমতা এতটাই কমে গিয়েছিল যে তাঁর যে কোন সময়ে মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু হঠাৎ করে এই তরুণী এমন একটি কাজ করে বসে যার ফলে তার ওজন ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে।
ডার্বিশায়ারের বাসিন্দা এনি উইন্ডলির বয়স যখন ১৫ বছর তখনই অ্যানোরেক্সিয়া নামের একটি ভয়ানক রোগে আক্রান্ত হয় সে। এই রোগ হলে মানুষ খাবার খাওয়া ছেড়ে দেয়। রোগাক্রান্ত ব্যক্তি ভাবে খাবার খেলে আমার ওজন অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে। এমন ভাবেই এনি উইন্ডলিকে অ্যানোরেক্সিয়াতে সম্পূর্ণভাবে ঘিরে ফেলে। এনির ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এক সময় তার ওজন গিয়ে দাঁড়ায় ২৮ কেজিতে। সে সময় এনিকে দেখলে মনে হত যেন মাংসবিহীন কঙ্কাল দাঁড়িয়ে আছে।
পাঁচ বছর যাবত এনি মাত্র একটি টোস্ট বিস্কুট খেয়ে দিন যাপন করতেন। এনি যখন কিছু খেতে চাইত তখন এমন কিছু খাবার চাইতো যাতে তার ওজন না বাড়ে। ফলে তার শরীর থেকে আস্তে আস্তে পুষ্টিকর উপাদান গুলি ফুরিয়ে আসছিল। ডাক্তাররা পরিবার-পরিজনকে পরিষ্কারভাবে বলেই দিয়েছিলেন, এভাবে চলতে থাকলে মৃত্যু অবধারিত। ফলে এনিকে খুব তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
ডাক্তারদের সতর্কবাণী শোনার পর এনিকে কোন মতে চকলেট খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন তার পরিবার।
চকলেট খাওয়ার বেশ কয়েকদিন পরে আশ্চর্য হয়ে যায় ডাক্তাররা তার ওজনের পার্থক্য স্পষ্ট ভাবে লক্ষ্য করা যায়। বাড়তে শুরু করে তার ওজন। এনি বলেন আমি চকলেট খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য খাবার খাওয়ারও চেষ্টা করছি এখন। চমৎকার যখন হল তখন এনির ডায়েট প্ল্যানে এখন প্রতিদিনই চকলেট রাখা হচ্ছে। এখন এনির ফিগারের উজ্জ্বলতা দেখলে সুন্দরিদের ঈর্ষা হবে।
আরও পড়ুন: ১৩ বছর বয়সে তিনবার ধর্ষিত হয়েছেন! অবশেষে পাশে পেলেন প্রেমিককে