আফগান
সবার খবর, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকা সহ পশ্চিমা দুনিয়া আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যার্থ। গেল দু-সপ্তাহ জুড়ে সংহিসতা তার বড়ো উদাহরণ। তালেবান ও আইএসআইএস এর মত জঙ্গী সংগঠনগুলি আবার যেন আফগানিস্তানে মাথা চাড়া দিচ্ছে একথা অস্বিকার করার কোন যায়গা নেই। চার যায়গায় বড়ো ধরনের হামলার পর বেশ চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আফগান প্রশাসনের কপালে। বিশ্লেষকদের ধারনা, পুনরায় আফগানিস্তানের দখল পেতে চাইছে চরমপন্থী এই সংগঠনগুলি।
জাতিসংঘে নিয়োজিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিকি হ্যালি বলেছেন, মার্কিন নীতির সুফল পেতে শুরু করেছে আফগান জণগন। এদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে বড়ো ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবচাইতে বড়ো সাফল্য তালেবান ও সরকার পক্ষের মধ্যে আলোচনা। নিকি হ্যালি আরও বলেন, আমরা আফগানিস্তানের মাটিকে কখনই আর সন্ত্রাসের স্বর্গ রাজ্য হতে দিতে পারি না। ১৭ জানুয়ারি জাতিসংঘে এই বক্তব্য পেশ করেন তিনি।
ঠিক তারপরেই তার ভাষণকে মিথ্যে প্রমান করার জন্যেই যেনো শুরু হয় আইএসআইএস ও তালেবানের যৌথ ধ্বংশলীলা। গত দু-সপ্তাহে চারটি বড়ো ধরনের হামলা চালায় এই দুই জঙ্গী সংগঠন। ২০ জানুয়ারি হামলা চালানো হয় আন্তর্জাতিক মানের হোটেল ‘হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল’-এ। যেখানে ৪৩ টি তাজা প্রান নিমেষেই ঝরে যায়। তার মধ্যে বিদেশির সংখ্যা ছিল ১৮। হামলার দায়ভার গ্রহন করেছে তালেবান। পরের ঘটনাটি ঘটে ২৪ জানুয়ারি হামলা চালানো হয় কাবুলে অবস্থিত ব্রিটিশ সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের দফতরে। যেখানে ওই সংস্থার চার জন কর্মীর প্রাণহানী ঘটে। মোট ছয় জন মারা যায়। সাময়িক ভাবে সমস্ত ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেন ওই সংস্থাটি। হামলার দায় স্বীকার করে আইএসআইএস। সবচেয়ে বড়ো হামলাটি হয় কাবুলের কুটনৈতিক এলাকাতে। যেখানে ১০৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। হামলার দায়ভার স্বীকার করে তালেবান। যেখানে থেকে মার্কিন দূতাবাস ঢিল ছুড়া দুরত্বে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলাগুলি প্রমাণ করে তালেবান এখনও বেশ শক্তিশালী। ফলে সতর্ক হতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে। চতুর্থ হামলাটি হয়, কাবুলের সেনা প্রশিক্ষণ একাডেমিতে। হামলার কথা স্বীকার করে আইএসআইএস। যেখানে মারা গিয়েছিলো ১৮ জন নব্য সৈনিক। পরবর্তীতে জঙ্গীরা সেনাবাহিনীর সাথে গুলির লাড়াইয়ে মারা পড়েন।
এ যেনো আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আফগান সরকারের নড়বড়ে নিরপত্তা ব্যবস্থাকে।
আরও পড়ুন: বিশাল সাহায্য ফিলিস্তিনকে ; আমেরিকার মাথা ব্যাথা বাড়ালো ইউরপীয় ইউনিয়ন !