Home / আন্তর্জাতিক / বাচ্চাটির মর্মান্তিক কাহিনী আপনার চোখে জল এনে দেবে

বাচ্চাটির মর্মান্তিক কাহিনী আপনার চোখে জল এনে দেবে

সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: রাস্তার ধারে কোনো সিগনালে মাসুম বাচ্চাকে নিশ্চয় ভিক্ষা করতে দেখেছেন। হয়তোবা সেই বাচ্চার কচি মুখের দিকে তাকিয়ে দু’পয়সা হাতেও দিয়েছেন। কিন্তু ভিক্ষা করা, চায়ের দোকানে, এমনকি সাইকেল মেকানিকের দোকানে প্রতিদিন অতিবাহিত করা এই বাচ্চার কাহিনী শুনেছেন? বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ফটোগ্রাফার জিএমবি আকাশ। এই ফটোগ্রাফার তার ফেসবুক পেজে একজন মা-বাবা হারানো বাচ্চার কষ্টের কাহিনী শেয়ার করেছেন। বাচ্চাটির বাস্তব জীবন কাহিনী আপনার চোখে জল এনে দেবে।

এই বাচ্চাটির মা বর্তমানে বেঁচে নেই তার বাবাও অনেক আগে তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সে নিজে প্রতিদিনের চাহিদা পূরণ করে বিভিন্ন দোকানে কাজ করে। তার দুঃখ হয়তোবা এই পৃথিবীর অন্য কেউ বুঝতে পারবে না।
বাচ্চাটির গল্প লিখতে গিয়ে আকাশ লেখেন, খালি পেটে আমি এবং আমার মা বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে সামান্য খাবার চাইতাম। আমার বাবা আমাদের চার বছর আগেই ছেড়ে চলে যান। কঠিন দুরারোগ্য ব্যধিতে ভূগতে থাকা মায়ের পক্ষে সঠিক ভাবে কাজ করাও অসম্ভব ছিল। আমি মাকে দিনে অনেক বার ব্যথায় কাতরাতে দেখেছি কিন্তু সেই সময় জায়গাটি শক্ত করে ধরে ব্যাথার উপশম করার চেষ্টা করতাম। এছাড়া আমাদের কাছে অন্য আর কোনো উপায় ছিল না।
একদিন মা আমাকে বলেছিল, তুমি কি আমার সঙ্গে দূরে… খুব দূর যেতে পারবে? আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ আমি তোমার সঙ্গে সেই জায়গায় যেতে পারবো, যেখানে তুমি যেতে চাইবে!

খাবার এবং বাবাকে খোঁজার জন্য তিন দিন কিছু না খেয়ে ৬০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে একটি জায়গায় পৌঁছে ছিলাম। আমি আমার মায়ের পাশে বসে ছিলাম, মা গভীর ঘুমে আচ্ছাদিত ছিল। কিছু মানুষ আমাদের সামনে এসে পয়সা দিয়ে যাচ্ছিল, আমি বুঝতে পারছিলাম না কেন পয়সা দিচ্ছে। সেই সময় এক মহিলা বড়ো একটি কাপড় নিয়ে আমাদের কাছে আসে এবং মাকে ঢেকে দেয়। তারপর মহিলাটি আমাকে বলে, তুমি কি তোমার মাকে দাফন করতে আমাদের সাহায্য করতে পারবে? আমার অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে গেল এটি বুঝতে যে, আমার মা আমাকে একলা ছেড়ে চলে গেছে এই পৃথিবী থেকে।
আমি মাকে কোনো সময় কাঁদতে দেখিনি, সেদিনও না… যেদিন আমরা খেতে পাইনি। কিন্তু চলার পথে মাকে খুব কাঁদতে দেখেছিলাম একদিন, এক রেস্টুরেন্ট মালিকের কাছে কয়েকটি রুটি চাইতে গেলে মাকে খুব মেরেছিল সে।

প্রত্যেকটি মুহূর্ত আমার মাকে মনে পড়ে। আমি তখনও কাঁদি না যখন আমার পেটে খাবার থাকে না অথবা মানুষ আমাকে মারে। কিন্তু প্রতিদিন মায়ের জন্য চোখের জল ধরে রাখতে পারি না। আমি মায়ের সঙ্গে সে জায়গায় যেতে পারিনি, যেখানে মা এখন চলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়ে হলে ফি নেন না, উপরন্তু মিষ্টি বিতরণ করেন এই মহিলা ডাক্তার

Check Also

নাজীব তারাকাই

নাজীব তারাকাই মাত্র ২৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে

নাজীব তারাকাই মাত্র ২৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে।সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে এতদিন ধরে কোমায় …