সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: এমা মোরানো। জন্ম ইটালির সিভিয়াস্ক শহরে। এই মহিলা বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৮৯৯ সালে জন্মেছিলেন। এই মুহূর্তে পৃথিবীতে আর কোন ব্যক্তি রইল না যে ১৯০০ সালের আগে জন্মেছিলেন। বিবিসি জানাচ্ছে , এমা মোরানোর দীর্ঘ জীবনের কারণ আর কিছুই নয়। বংশগতভাবে ওই পরিবারের মানুষজন বেশি বছর বেঁচে থাকেন। বিবিসির মতে, এমা খাদ্যতালিকায় ছিল দিনে তিনটি ডিম। তার মধ্যে দুটি কাঁচা ডিম সকালে। আর বিকেলে একটি ডিমের ওমলেট। রাতে বিস্কিট, চিকেন। এটি ছিল তার রেগুলার খাদ্যাভাস।
এমা মোরানো ভাই বোনদের মধ্যে সবার বড়। তাঁরা মোট ৮ ভাই-বোন ছিলেন। ওর ভাই, বোনরা সবাই অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন। এমার বংশের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় তার মাসি ও মা ৯০ বছরেরও বেশি সময় বেঁচে ছিলেন। তাছাড়া তার বোন অ্যাঞ্জোলা মোরানো ১০২ বছর বেঁচে ছিলেন।
এমা ওর জীবনের সমগ্র সময় ইতিহাসের বিভিন্ন ওঠাপড়ার সাক্ষী ছিলেন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি দেখেছেন অষ্টাদশ শতক, উনিশ শতক ও বিশ শতক। এর মধ্যে ঘটে যাওয়া দুটি বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষীও ছিলেন এমা। একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমি বিয়ে করতে চাইনি। অথচ পরবর্তীতে তিনি আমার স্বামী হয়েছিলেন। ও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল বিয়ে না করলে। বাধ্য হয়ে ওকে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু আমরা বেশি দিন একসঙ্গে থাকিনি। তবে ডিভোর্স হয়ে ছিল না আমাদের। ১৯৩৮ সালে আমরা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ মাত্র ৭ মাস বয়সে আমাদের একমাত্র সন্তান মারা গিয়েছিল। তখনই আমরা আলাদা থাকার কথা ভাবি।
জীবদ্দশায় এমা বোর্ডিং স্কুলে রান্নাবান্নার কাজ করেছেন ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত। যে বছরে এমা জন্মগ্রহণ করেন সে বছরই বেতার তরঙ্গ আবিষ্কৃত হয়। আবার রাইট ভাতৃদ্বয় যে বছর আকাশে ওড়েন তার চার বছর পূর্বেই জন্মগ্রহণ করেন এই দীর্ঘজীবী মহিলা।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সালে কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন এমা মোরানো। এমা মোরানো ছিলেন বর্তমান সময়ে সর্বকালের দীর্ঘজীবী মহিলা। শুধু তাই নয় ইতিহাসের সপ্তম দীর্ঘজীবী ছিলেন এমা।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগ ধমাচাপা দিতে রোনাল্ডোর খরচ শুনলে চমকে উঠবেন