সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: চার অক্টোবর দুই দিনের জন্য ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডিল সম্পন্ন হবে এই সফরেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিলটি হবে এস ৪০০ মিসাইল নিয়ে। এই সফরে পুতিন ভারতের সঙ্গে প্রায় পাঁচ আরব ডলারের চুক্তি করতে চলেছেন। এস-৪০০ মিসাইল ভারতের হাতে এলে অনেকটাই সুরক্ষিত হবে ভারতের আকাশ পথ। চলুন আজ জেনে নিই এস ৪০০ মিসাইল এর ক্ষমতা।
এই মিসাইল সিস্টেম এর পুরো নাম এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ। ন্যাটো দেশগুলিতে এস-৪০০ মিসাইলকে এসএ-২১ গ্ৰোলার নামেও ডাকা হয়।।এই মিসাইল স্থল থেকে আকাশে অনায়াসে হামলা করতে পারে। এস-৪০০ ২০০৭ সালে প্রথম ব্যবহার করা হয় যা ছিল এস-300 মিশাইলের আপডেট ভার্সন। ২০১৫ সাল থেকেই ভারত ও রুসের মধ্যে এস-৪০০ মিশাইল নিয়ে আলোচনা চলছে। এস-৪০০ তে একসাথে অনেকগুলি প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে এর সামরিক ক্ষমতা অন্য মিসাইল-এর চাইতে খুবই মজবুত। একসাথে তিন দিকে হামলা করতে সক্ষম এস-৪০০। ৪০০ কিমির রেঞ্জ-এর ভেতর অনেকগুলি যুদ্ধবিমান, ব্যালেস্টিক বা ক্রুজ মিসাইল এমনকি ড্রোন এর ওপরও হামলা করতে পারে এস-৪০০।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর খবর অনুসারে এস-৪০০ মিসাইল একসাথে 100 টি বিপদ বুঝতে পারে। আমেরিকায় নির্মিত অত্যধুনিক ছটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানকে নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে এই মিসাইল সিস্টেম। রাশিয়ার সাথে ভারতের এই মিসাইল কেনার ব্যাপারে সমঝোতা হলে ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় দেশ যার হাতে এস-৪০০ মিসাইল চলে আসবে। ইতিপূর্বেই চীন এবং তুরস্কের সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তি সম্পন্ন করেছে রাশিয়া। এছাড়াও সৌদি আরবও রাশিয়ার সঙ্গে এই মিসাইল সিস্টেম কেনার ব্যাপারে কথাবার্তা চলাচ্ছে।
ভারত-রাশিয়া মিসাইল সমঝোতা নিয়ে পাকিস্তান খুব চিন্তায় আছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের মন্ত্রী ফাহাদ চৌধুরী রাশিয়ার সাথে ভারতের এই চুক্তি নিয়ে বেশ চিন্তা প্রকাশ করেছেন। চৌধুরী বলেন, ভারত এই শক্তি একমাত্র পাকিস্তানের ওপরই ব্যবহার করতে পারে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক আছে কিন্তু পাকিস্তানও পিছিয়ে নেই। এই কারণে আমাদেরকে উপেক্ষা করে ভারতের সঙ্গে এই চুক্তি করা মোটেও ঠিক হয়নি।
আরও পড়ুন: URI | Official Teaser । দেখুন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ওপর নির্মিত ছবির টিজার