ছবি: অনির্বাণ পাল
আলো
সু দী প্ত মা জি
সরল গল্পের দিকে চলে গেছে এই রেলপথ
তবু তুমি যতিচিহ্নহীন এক কল্পিতজটিল পথে
হারিয়েছো তোমার দ্রাঘিমা…
তোমার গোলার্ধ জুড়ে জেগে ওঠা স্বরচিত
ত্রাসের বলয়ে
হারিয়ে ফেলেছো যত উপার্জন করা মধুনাম
সহজ নৈঋত থেকে হাওয়া এলো, কলি ও
কাকলি এলো, আজ
বক্রতলে জেগে ওঠা গৌতম বুদ্ধের হাসি
দেখে তুমি অনুভব করো :
মর্মের সহজ পথে একমাত্র আলো আসে ক্রমে
যে আলো অযোগবাহ, করুণাসম্ভব…
রাত জাগা
অ্যা ঞ্জে লি কা ভ ট্টা চা র্য
নিস্তব্ধ রাত জেগে আছে পৃথিবীর
মাথার উপর , সাথে দোসর
নিদ্রাহীন কয়েক লক্ষ ক্লান্ত চোখ
ওরা জেগে থাকে, প্রভাতের প্রথম
পাখির ডাক শুনে ঘুমতে যায় ।
অনেকদিন ধরে কিছু ঘুমের ওষুধের
খোঁজ করছি সারা রাত ধরে ,
বিকলাঙ্গ দিনগুলো কার অপেক্ষায়
বোঝার আগেই ঝুপ করে রাত নামে
একদিন ঘুমব সারা আকাশ জুড়ে ।
বুকের ভিতর যে আবেগ পুষে
রেখেছি তার নাম রাত
প্রতিরাতের শেষে যাকে খুন করেছি
তার নাম বেঁচে থাকা ।
শূন্যস্থান পূরণ করতে তোমায় দিয়েছিলাম
তুমি দিলে যান্ত্রিক রাত
এতো কিছুর মধ্যে অক্সিজেন পেতে চেয়েছিলাম
রাতের বাতাস বিষাক্ত , বলে দেয়নি কেউ ।
স্থবির দ্বীপে
সৌতিক হাতী
ফুলস্টপে থেমে থাকার চেয়ে
হিমঘরে জমে থাকা অনেক ভালো
এই ভেবে স্থবির দ্বীপে স্বেচ্ছা নির্বাসনে
ব্রহ্মচর্যের পাঠ নেওয়ার চেষ্টায়
উপেক্ষা করছি প্লেট`টেকটনিক থিওরি
তবুও উপেক্ষা করা যায় না
ঢেউ-এর কল্লোল
আর মৎসগন্ধা জলরাশি
সহজ প্রকৃতি সহজিয়া শব্দে
অবিরত ধাক্কা দেয় নৈরাশ্যের দেওয়ালে…
একদিন এই দ্বীপেই হয়ত
উঠে আসবে মারমেড জলছবিরা
আমার ছায়ায় ছায়ায় মিশে থাকবে
তাদের প্যারানর্মাল লেখচিত্র
একদিন এভাবেই মেনে নেব
জলের উপনিবেশ…
অনুভূতির অকেজো লেন্সে শুন্যতার ভাইরাস
নাফে নজরুল
অনুভুতির অকেজো লেন্সে শুন্যতার ভাইরাস
গাঢ় হিম বাতাসের অবহেলায় শ্রাবণের আকাশ
বুকের পাঁজরে কোন এক উপস্থিতি
নিঃশব্দে ঝাপসা করে
আমার বেঁচে থাকার পৃথিবী।
আমায় দেখে রোদের কান্নায় ফিরে আসে গ্রীষ্ম
ধ্বংসের সময় কুঁকড়ে যাওয়া নির্মানের স্বপ্ন
ভোঁতা রঙে নিমন্ত্রণপত্র লেখে স্মরণীয় বসন্তবাতাসকে।
বিরতিহীন ভাঙা সুখের বিষাদের শেকড়
স্মৃতির দীর্ঘযাত্রায় নির্বাসনের স্লোগান
মৃত্যুর চৌকাঠে জমিয়ে রাখা স্বচ্ছ স্মৃতির পুনর্বাসন নয় স্মৃতিগুলো জমে থাক
বহুকাল জ্বলে থাক
উদোম কষ্টের মলিন ল্যাম্পপোস্টে।
আরও পড়ুন: রবিবারের সান্ধ্য কবিতার আসর-১০