কাতারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস: কাতার এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। প্রাগৌতিহাসিক কালে কাতারে জনবসতির কোনো চিহ্ন না পাওয়া গেলেও সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থেকে বোঝা যায় মানুষের যাতায়াত ছিল। কাতারে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হত। ফলে বর্ষাকালে এখানে ‘কান্নানিয়ান’ নামের একটি জেলে সম্প্রদায় মাছ ধরতে আসতেন। আরবে ইসলামিক যুগ শুরু হওয়ার আগে কাতারও অন্যান্য আরব দেশের মতো ‘শাসানী’ রাজবংশের অধিনস্ত ছিল। তারাই মূলত শাসন করতেন কাতার সহ অন্য আরব দেশ সমূহকে।
৬২৮ খ্রীষ্টাব্দে কাতারে শাষণ করতেন বনু তামিমের গোত্র। বনু তামিমের গোত্রের প্রধান হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পথ অনুসরন করেন ও ইসলাম গ্রহন করেন। বনু তামিমের গোত্রের প্রধান মুনযির বি্ন সাওয়া আল তামিমি পরবর্তীতে ওই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
কাতারের প্রধান ব্যবসা মূলত মাছ ধারা ছড়াও উট ও ঘোড়া পালন, কেনা, বেচা ইত্যাদি। পরবর্তীতে কাতারে মুক্তার ব্যবসা আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে চীনে কাতারের মুক্তার চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। ১৮৬৮ সালে কাতার ও ব্রিটিসদের চুক্তির পর থেকেই কাতারের আধুনিক যুগের শুরু হয়।
কাতার পরিচিতি: কাতারের আয়তন ১১৪৩৭ বর্গ কিলোমিটার। কাতার বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ মাথা পিছু আয়ের দেশ। মাথা পিছু আয় $৬০,৫০৪ । কাতার বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্যাস রপ্তানি কারক দেশ। কাতার ব্রিটিশদের কাছ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধিনতা পায়। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের হিসেব অনুযায়ী ২০১৬ সালে কাতারে বসবাস করতেন ২৫.৭ লক্ষ মানুষ। কাতারের প্রধান ভাষা আরবি, ফার্সি। তাছাড়াও আন্তর্জাতিক স্তরে ইংরেজি ব্যবহার করা হয়। এই দেশের মুদ্রাকে বলা হয় কাতারি রিয়্যাল। কাতারের রাজধানী দোহা। কাতারের রাস্তাতে গেলে ভুল করবেন না, সব সময় ডান দিক দিয়ে গাড়ি চালাবেন। না হলে গুনতে হতে পারে জরিমানা। মানব উন্নয়নে কাতার ৩২তম। মানব উন্নয়ন সূচক ০.৮৫০। আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন খলিফা আল থানি ২০১৩ সাল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আছেন। কাতারের জণগন সকল ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। যদিও কাতার একটি রক্ষণশীল দেশ।
অনিশ্চিত জলবায়ু এবং কৃষি জমির অভাবের কারণে কাতারের কৃষিকাজ নেই বললেই চলে। এই সত্ত্বেও বিংশ শতাব্দী থেকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অল্প অল্প করে কৃষিকাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েত পরিচিতি : রাজধানী, মুদ্রা, জনসংখ্যা, জিডিপি, চাষবাস