সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: চীনের কুখ্যাত ইয়ুলিন কুকুরের মাংস উৎসব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আজও নির্দ্বিধায় চলছে। কুকুরের মাংস খাওয়া চীনে একটি ট্র্যাডিশন বা ঐতিহ্য হিসেবে ধরা যেতে পারে। চীনে অনেক মানুষই কুকুর মাংস খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে পৃথিবী যখন সূর্যের কাছাকাছি এসে পৌঁছয়, সেই সময় কুকুরের মাংস খাওয়ার এই উৎসব বড়ো আকার ধারণ করে চীনের বেশ কিছু প্রদেশে। ইয়ুলিন প্রদেশে এমন উৎসব বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করা যায় বলে এই উৎসবকে ‘ইয়ুলিন কুকুরের মাংস উৎসব’-ও বলা হয়। চীনের মানুষের কুকুরের মাংস খাওয়ার অভ্যাস নতুন কিছু নয়। প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ বছর আগে থেকেই চীনারা এই উৎসব পালন করে আসছেন। কিন্তু সেই দেশের প্রাণী অধিকার সংগঠনগুলো এই নির্মাম বর্বরতার বিরুদ্ধে সব জায়গায়তেই সোচ্চার হয়ে ওঠে। এমনকি প্রাণী অধিকার নিয়ে যেসব সংগঠন চীনের বিভিন্ন প্রদেশে আন্দোলন করছিলেন, তারা এই নির্মম ব্যাপারটি সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়। এর ফলে বাধ্য হয়েই চীন সরকার কুকুরের মাংস খাওয়া বন্ধ করতে একটি নতুন আইন নিয়ে আসে।
যদিও আদিবাসীরা জানাচ্ছেন, এই উৎসবটি চীনের প্রাচীন ঐতিহ্যকেই বহন করে নিয়ে চলেছে। শুধু কি কুকুরের মাংস খাওয়া? না, এখানেই থেমে থাকে না উৎসবটি। এক একটি জ্যান্ত কুকুরকে সরাসরি ফুটন্ত জলে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথবা জ্যান্ত অবস্থায় কুকুরের শরীর থেকে চামড়া তুলে নেওয়া হয়। তারপরই কুকুরের মাংস খাবারের জন্যে প্রস্তুত করা হয়।
এইভাবেই অতীত কাল থেকে চলে আসছে চীনের ইয়ুলিন প্রদেশের এই বর্বর কুকুরের মাংস খাওয়ার উৎসব। একটি হিসেবে অনুযায়ী চীনে প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার কুকুরের মাংস খাওয়া হয় প্রতি বছর। শুধু চীন-ই নয় দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশেও কুকুরের মাংস খাওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: যখন ডিসিপি বাবা এসপি মেয়েকে স্যালুট জানালো , বাবার প্রতিক্রিয়া অবাক করেছে
Check Also
নাজীব তারাকাই মাত্র ২৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে
নাজীব তারাকাই মাত্র ২৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে।সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে এতদিন ধরে কোমায় …