সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: গাছকে আমরা কতটা ভালোবাসি? ঠিক জানা নেই! কিন্তু গাছ আমদেরকে প্রতিটি মুহুর্ত বাঁচিয়ে রাখে। গাছ আমাদের থেকে কোনো দিন মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। আমাদের আশেপাশের গাছগুলি অক্সিজেন দিয়ে যায় অনবরত। যেকোনো বাহানায় আমরা গাছকে কেটে ফেলি। বাড়ি, রাস্তাঘাট এমনকি নেতা নেত্রীদের হেলিকপ্টার নামানোর জন্যেও হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এখনও কিছু মানুষ পাওয়া যায় যারা গাছকে নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবেই মনে করেন।
ঠিক এমনই একটি পরিবার আছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে। জবলপুরের এই পরিবারের ওই সামান্য জমি টুকুই সম্বল। শুনলে আশ্চর্য হবেন যে, তারা বাড়ি করার সময় ওই গাছগুলি কাটেননি। যেনো পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ ওই গাছগুলি।
জবলপুরে গিয়ে যদি কাউকে জিজ্ঞেস করেন, ওই বাড়িটি কোথায় যেটির মধ্যে বট গাছ আছে? আর কিছু বলা লাগবে না। সোজাসুজি আপনাকে যোগেস কেশোরওয়ানি-এর বাড়িতে পাঠিয়ে দিবে। ১৯৯৪ সাল থেকে এই বটগাছের সঙ্গে বাস কেশোরওয়ানি পরিবারের। শুধুমাত্র গাছটিকে বাঁচানোর জন্যে যোগেসের বাবা ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে এসে বাড়িটি তৈরি করেছিলেন।
যোগেস বলেন, আমরা প্রকৃতিকে ভালোবাসি। আমার পিতা চেয়েছিলেন যেন গাছটি বেঁচে থাকে কারন একটি গাছ খুব সহজেই কেটে ফেলা যায় কিন্তু তাঁকে বড়ো করতে খুব যত্ন নিতে হয়। আজ গাছটির বয়স ১৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। যোগেস আরও বলেন, এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্ররা এসে বাড়িটির ডিজাইন নিয়ে গবেষণা করে।
এভাবেও গাছ নিয়ে বেঁচে থাকা যায় সেই কথাটিই সমাজকে হয়তো বলতে চেয়েছে পরিবারটি। গেটের সামনে গাছটির সবুজ পাতা আরও আকর্ষণ বাড়িয়েছে বাড়িটির। বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে একবার চেয়ে দেখতে ইচ্ছে হবেই আপনার আর সঙ্গে সেল্ফি তো আছেই।
আরও পড়ুন: ১৪ বছরেও কাজ শেষ হচ্ছিল না, তাই বৃদ্ধ বয়সে সমস্ত সঞ্চয় দিলেন সেতু নির্মাণে!