সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: জাপান প্রযুক্তিতে সকল দেশের থেকে এগিয়ে তা আমরা জানি। কিন্তু কিছু কিছু জিনিসে আমাদের থেকে হাজারগুণ এগিয়ে। তারা জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে নিজদেরকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। চলুন দেখে আসি তাদের নিত্য দিনের কিছু ব্যবহারিক জিনিস।
ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি বাচ্চা দেওয়ালে ঝুলছে। বাচ্চাটির জুলন্ত অবস্থায় থাকার কারণ আর কিছু নয়, এই ব্যবস্থাটি আছে জাপানের পাবলিক টয়লেটের বাইরে। যাতে মা ছোটো বাচ্চা নিয়ে তাকে একটি সুরক্ষিত যায়গায় রাখতে পারেন। এটি একটি বাচ্চা রাখা স্ট্যান্ড।
ভারত বা বাংলাদেশের জল নিষ্কাশন ড্রেনের দিকে আমরা তাকাতে পারিনা কারণ প্রচুর নোংরা আবর্জনা এবং সাথে আছে দুর্ঘন্ধও। কিন্তু জাপানের ড্রেনগুলির দিকে শুধু তাকাকেই আপনার ইচ্ছে করবে না মনে হবে মোবাইল থাকলে একটি ছবি তুলে রাখতে। কারণ এই সব ড্রেনগুলিতে রঙিন মাছ চলাচল করে।
আমাদের দেশে যা দেখানো হয় তা পাওয়া যায় না আর যা পাওয়া যায় তা দেখানো হয় না। জাপানে বিজ্ঞাপনে যা দেখানো হয় তা-ই গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এখন তো আমাদের সকলের হাতে স্মার্টফোন একটি করে আছেই। আমরা সব সময় মোবাইল কাছেই রাখি। যেমন টয়লেট বা নোংরা কোনো জায়গায় গেলেও মোবাইল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ফলে মোবাইলে জীবাণু লেগে যায় যা আমাদের শরীরের ভেতর গিয়ে নানান ধরনের রোগের সৃষ্টি করে। তাই জাপানে প্রায় জাগাতেই মোবাইল পরিস্কার করার জন্যে ফ্রিতে পেপার দেওয়া হয়।
আমাদের এখানে টয়লেট ব্যবহারের সময় একটা সমস্যা সকলকেই ফেস করতে হয়, তা হলো টয়লেটে গেলে দরজায় কেউ ধাক্কা দিচ্ছে যা টয়লেটের ভেতরের মানুষকে বিচলিত করে তোলে। কিন্তু জাপানে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যাতে টয়লেট ব্যবহারকারী সহজেই বুঝতে পারে কোন টয়লেটটি খালি আছে।
এখানে এমন মেট্রোও আছে যা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। আসলে এখানে পা ডুবানোর ব্যবস্থা আছে। জানিনা এর মূল কারণ কি? কারণ যাই হোক এমন করতে সকলেরই যে মজা লাগবে একথা নিশ্চিত বলাই যায়।
এখানে পাবলিক প্লেসগুলিতে ঘুমানোর জন্যে ছোটো ছোটো ক্যাপসুল তৈরি করা আছে। যাতে মানুষ খুব সহজেই ঘুম পাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: সৌন্দর্য্যের দিক থেকে সেরা পাঁচ মহিলা রাজনীতিবিদ
Check Also
ভালো কাজ করলেই মিলবে খাবার, লাগবে না কোন টাকা
ভালো কাজ করলেই মিলবে খাবার, লাগবে না কোন টাকা কথাটা শুনতে অবাক করার মতো হলেও …