সবার খবর, নিউজ ডেস্ক: ‘দুটো বাব্ল যদি এক সঙ্গে ওড়ে/ ভুলে যেও, আমরা পুরুষ না নারী…’। হ্যাঁ ঠিক তেমনটি হল। মানবে মানবে প্রেম আবার প্রমাণ করল, যদি সত্যি ভালোবাসা জন্ম নেয় দুটি মনে, তাহলে কোনো বাধা-ই আর বাধা নয়। তেমনটিই করে দেখালেন ঋষি সাথওয়ানে ও ভিনাহ্। ভিনাহ্ ভিয়েতনামের হো চি মিন শহরের বাসিন্দা। ঋষি এবং ভিনাহ্ থাকেন আমেরিকাতে। যদিও ঋষি প্রবাসী ভারতীয়।
ভিনাহ্ ও ঋষির আলাপ একটি আন্তর্জাতিক ডেটিং সাইটে, ২০১৬ সালে। কিছু দিনের মধ্যেই ওদের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। দেখা করেন একে অপরের সঙ্গে। ভ্রমণে যান অস্ট্রেলিয়া। দুজন দুজনকে আরও ভালোভাবে জানেন সেখানেই।
অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেই ভিনাহ্ ও ঋষি অনুধাবন করেন, ওরা একে অপরের পরিপূরক। তাদের বন্ধুত্ব প্রগাঢ় প্রেমে রুপান্তরিত হয়। দুজনে দুজনের পরিবারকে জানান সেকথা। জানান, ওরা এই প্রেমের সুন্দর একটি পরিণতি চান বিয়ের মাধ্যমে।
দুই পরিবার-ই এই বিয়েতে মত দেন। ঋষির ইচ্ছে, বিয়ে তারা অবশ্যই করবেন। কিন্তু হিন্দু রীতিতে এবং ভারতে। ঋষির ইচ্ছেও অপূর্ণ রাখেনি পরিবার। ২০১৭ সালে ৩০ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতমালে সনাতন রীতি মেনে বেশ জাঁক-জমকপূর্ণ ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিয়ে হয়ে যায় ভিনাহ্ ও ঋষির।
দুই পুরুষে পুরুষে বিয়ে তো কি হয়েছে? গায়ে হলুদ থেকে সাতপাক কিছুই কমতি ছিলনা ওদের বিয়েতে। ছিল বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজনদের কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া ও তুমুল হুল্লোড়ও। বিয়ে কয়েকদিনের মাথাতেই নব দম্পতি ফিরে যান আমেরিকাতে।
ঋষি সাথওয়ানে জানান, প্রথমে বুঝতেই পারিনি যে আমি ভেতর থেকে নারী। আস্তে আস্তে বড়ো হলাম এবং অনুধাবন করলাম আমার পরিবর্তনগুলি। পরিবারকে জানালাম আমি একজন সমকামী।
পরিবার থেকে বলা হলো, একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিলেই সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। কি করে এক নারী-মনষ্ক মানুষ আরেক নারীর সঙ্গে জীবন অতিবাহিত করবো। ক্রমশ আমার পরিবার আমাকে জানলো। সবই মেনে নিলো। সহজ হয়ে গেলো সব কিছুই। ভিনাহ্কে স্বামী হিসেবে পেয়ে আমি খুবই খুশি।
আরও পড়ুন: বিজয় মাল্যে লন্ডনে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন ; আবার বিয়ে?
Check Also
সড়ক পরিবহন আইন – দুর্ঘটনা হলেও ক্ষতিপূরণ পাবেন না যাত্রী
সড়ক পরিবহন আইন – নতুন সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রী ও পথচারীর বীমা ছাড়াই গাড়ি চলতে …