ধারাবাহিক উপন্যাস
খাতা
দেবশ্রী চক্রবর্তী
Illustration: Preety Deb
সেদিন ভোরে চার্চ থেকে ফেরার পর তিতিরের জ্বর আসে। তিন দিন ইউনিভার্সিটি যাইনি আর ইচ্ছে করেই মোবাইল ফোন সুইচ অফ করে রেখেছে। তার ধারণা রানা নামের ছেলেটির কোনো খারাপ প্রভাব তার ওপর এসে পড়েছে। এরকম ভাবা অস্বাভাবিক কিছু না। কারণ ছেলেটির সাথে দেখা হবার পর থেকে তারমধ্যে নানা রকম মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। ছেলেটিকে সে তার নাম জানায়নি, তাও ছেলেটি তাকে তার নাম ধরে ঢেকেছে। তিতির নামটার সাথে ইউনিভার্সিটির কেউ পরিচিত না। সবাই তাকে এখানে রোহিনী নামে চেনে। ছেলেটি কি করে তার নাম জানতে পেরেছে এটাই এখন লাখটাকার প্রশ্ন। গত তিন দিন সে কোনো স্বপ্ন আর দ্যাখেনি, এর অর্থ ছেলেটির সাথে তার যোগাযোগ হয়নি, তাই হয়তো সে স্বপ্নও দ্যাখে নি। যেমন করেই হোক ছেলেটির মধ্যে খুব নেগেটিভ কোনো এনার্জি আছে, যার প্রভাব তার ওপর এসে পড়েছে। ঠাকুমার মুখে সে শুনেছে, নিশিরা মানুষকে ডেকে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে যায়, তারপর তাকে গলা টিপে মেরে ফেলে দেয়। মাঠের মধ্যে সেই দেহ পড়ে থাকতে দেখে কৃষকরা বাড়িতে খবর দিতো। তিনবার ডাকার পর উত্তর না দিলে নিশির ডাকের আর কোনো প্রভাব পড়ে না। আজ তৃতীয় দিন হল রানার সাথে আর তার কোনো যোগাযোগ নেই। আজকের দিনটা কাটিয়ে দিতে পারলে আশা করা যায় আর কোনো খারাপ প্রভাব তার ওপর পড়বে না। ভয়ে মোবাইল ফোনও সে খোলে নি, কারণ এসব ছেলেদের বিশ্বাস নেই, যেকোনো জায়গা থেকে ফোন নাম্বার জোগাড় করে ফোন করতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছু না । মাঝে সে একবার অনলাইন একটি বই কিনেছে, বইটির নাম “The collected papers of Milton H. Ericks “ , বইটির লেখক এম এইচ এরিকশন এম ডি । বইটি সে নিজের ল্যাপটপ থেকে কিনেছে। ভুলেও মোবাইল ফোন খোলেনি।
বইটি অর্ডার করার আধ ঘন্টার মধ্যে সে হাতে পেয়েছে। গত তিন দিন ধরে সে বইটি পড়ছে। বইটির লেখক একজন স্বনাম ধন্য সাইকোলজিস্ট, যিনি তার রুগীদের নানারকম গল্প বলে তাদের রোগ সারিয়ে দিতেন। তিনি যে গল্পগুলি মনের রোগ সারাতে বলতেন, সেই গল্পগুলি এই বইতে লেখা আছে। তিতিরের মনে হচ্ছে রানা নামের ছেলেটি নানারকম গল্প বানিয়ে তাকে হিপনোটাইস করে মানসিক রূগীতে পরিনত করার চেষ্টা করছিল। এই গল্পগুলির মধ্যে দিয়ে সে বোঝার চেষ্টা করছে রানার বলা কোনো কথা তাকে কিভাবে প্রভাবিত করেছে।
সারাদিন বই পড়ে তৃতীয়দিন রাতে একটু তাড়াতাড়ি তিতির ঘুমতে গেল। সেই রাতে তিতির আবার স্বপ্ন দেখলো। সে দেখলো, একটা নদী, নদী দিয়ে একটা নৌকা যাচ্ছে, নৌকায় নতুন বৌ বসে আছে, বৌয়ের মুখ ঢাকা, সে তার মুখ দেখতে পাচ্ছে না, কিন্তু তার লাল বেনারসী দেখতে পাচ্ছে, বউয়ের হাত দুটো খুব ফর্সা। নদীর ছলাত জলের শব্দ তার কানে আসছে। নৌকাটা তীরের দিকে এগিয়ে আসছে, তীরে একটা পুরনো দিনের বাড়ি। বাড়িটাকে দেখে মনে হয় তিনশো বছরের পুরনো তো হবেই, তিনশ বছর ধরে তার কোনো পরিচর্যা না হওয়ায় বাড়িটার ছালবাকল উঠে গেছে। নৌকা এগিয়ে আসছে তীরের দিকে, নদীর ঢেউ জোরে জোরে বাঁধানো ঘাটে এসে লাগছে। তিতির দেখতে পাচ্ছে বাঁধানো ঘাটের পাশে একটা বট গাছ। বটের ডালে লম্বা মতন কিছু ঝুলছে। তিতির ভালো করে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করছে জিনিসটা আসলে কি? নৌকা নিজে থেকে তীরে এসে ঠেকতেই তিতির দেখতে পেলো রানা গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের ডালে ঝুলছে, তার ঠোঁটের ডান কোণা থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। রানার পরনে বিয়ের জোড়। মনে হচ্ছে নৌকায় বসে কেউ কাঁদছে, তিতির পেছন ফিরে দ্যাখে নতুন বৌয়ের ঘোমটার ফাঁক দিয়ে কান্নার আওয়াজ আসছে, বৌয়ের মুখ দেখা যায় না, ঘোমটার ভেতর শুধুই অন্ধকার। অন্ধকারে তিতিরের ভয় লাগে, সে ভয়ে চিৎকার করে ওঠে।
এলার্ম ঘড়িটা বেজে ওঠে। তিতির উঠে দ্যাখে সকাল ছটা বাজে।
গত রাতে সে ন’টার সময় ঘুমতে গেছে, উঠেছে সকাল ছ’টা। এতক্ষণ ধরে সে এই একটা স্বপ্নই দেখেছে। গত স্বপ্নে সে পুরনো বাড়ি, বটগাছ, নদী, নৌকা যা যা দেখেছে, এই স্বপ্নেও সে তাই তাই দেখেছে, শুধু সিঁড়ি আর বাক্স দ্যাখেনি। তবে এই স্বপ্নে সে রানার মৃত্যু দেখেছে। যা তাকে খুব চিন্তায় ফেলেছে। তিতিরের মনে হচ্ছে রানার সাথে তার সবকিছু খোলাখুলি আলোচনা করা দরকার। সে সিদ্ধার্থদাকে ফোন করে রানার নম্বর নিয়ে তাকে চার্চের সেই গাছটার নিচে দেখা করার জন্য বলেছে, কিন্তু রানা তাকে বলেছে আজ তারা ক্রুশ রেস্টুরেন্টে দ্যাখা করবে। সে আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিল যে তিতির তাকে ফোন করবে, তাই সে দুটো টিকিট কেটে রেখেছে। তারা মাঝ সমুদ্রে গিয়ে যখন পোঁছাবে, তখন সে তিতিরের সব কথা শুনবে।
সেদিন দেখা হবার পর তিতির তাকে সবার আগে প্রশ্ন করেছিল, তুমি কি করে বুঝলে আমি তোমাকে আজ ফোন করবো?
উত্তরে রানা বলেছিল, মেয়েরা তিন দিনের বেশি কোনো আবেগ ধরে রাখতে পারে না। তুমি তিন দিন সব রকম ভাবে চেষ্টা করেছো আমার থেকে দূরে থাকার। এতে তোমার মধ্যে জমে থাকা আবেগ আরো তীব্র হয়েছে, তাই তারা চতূর্থ দিনের দিন বেরিয়ে এসেছে। এটা শুধু তোমার জন্য না, সবার জন্য পরীক্ষিত সত্য।
তিতির উত্তরে বলেছিল, আমি স্বপ্নে তোমার মৃত্যু দেখেছি, তাই আমার মনে হয়েছে তোমাকে ব্যাপারটা জানানো খুব প্রয়োজন, তাই তোমার সাথে দেখা করতে চেয়েছি। এতে অবনর্ম্যাল কিছু তো নেই।
রানা পাইন্যাপেলের জুসে চুমুক দিয়ে বলেছিল, দূর, মৃত্যু দেখলে মৃত্যু হয় না। সারাদিন কত লোক মৃত্যুর স্বপ্ন দ্যাখে, কিন্তু তারা একে অপরকে কি জানায়, হুম? তোমার আমার সাথে দেখা করতে ইচ্ছা করেছে তাই এসেছো। শুধু যদি মৃত্যু সংবাদ দেওয়ার থাকতো তা তুমি ফোনেও দিতে পারতে। তা তুমি করোনি।
তিতির বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখল তাদের ক্রুশ মায়ামি শহর থেকে বেড়িয়ে মাঝ সমুদ্রে এসে পৌঁছেছে, এখান থেকে আর শহর দেখা যাচ্ছে না, চারিদিকে শুধু নীল সমুদ্র। নিজের দেশ থেকে এত দূরে, মাঝ সমুদ্রে দুই বাঙালি যুবক, যুবতি শুধু স্বপ্ন নিয়ে আলোচনা করতে এসেছেন না এর পেছনে ভগবানের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে? তিতিরের সেই সুন্দর মূহুর্ত কথা বলে নষ্ট করতে ইচ্ছা করেনি, ক্রুশে সুন্দর একটা মিউজিক চলছিল, তিতিরের মিউজিক শুনতে শুনতে সমুদ্র দেখতে ইচ্ছা করছিল। সে অনুভব করেছিল রানা তার হাতের আঙ্গুল স্পর্শ করছে, সে সেই স্পর্শকে উপোভোগ করে সমুদ্র দেখছে। মানুষের জীবনে কিছু কিছু এমন মূহুর্ত আসে যখন সব কিছু তার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। সে বুঝতে পেরেছিল রানাকে প্রথম দেখায় সে তাকে ভালোবেশে ফেলেছে, এইজন্য তাকে হারানোর ভয়ে সে রানার মৃত্যুর স্বপ্ন দেখেছে, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই।
সেদিনের সেই ক্রুশ যাত্রা দিয়ে তাদের জীবনের এক নতুন যাত্রার সূচনা হয়েছিল। তিতির আর রানার দেখা হবার তিন বছর পর তারা বিয়ে করবে বলে মনস্থির করে। তিন বছরের মধ্যে তিতির অনেক স্বপ্ন দেখেছে, কিন্তু তার স্বপ্নে বটগাছ, নদী, পুরনো বাড়ি কিংবা রানার মৃত্যু সে আর দ্যাখেনি। কিন্তু তাদের বিয়ের এক সপ্তাহ পর তারা হানিমোন করতে মিচু পিচু যায়।যেদিন তারা সেখানে পৌছায়, সেদিন রাতে সে আবার একটা স্বপ্ন দ্যাখে। পাহাড়, জঙ্গলের মাঝে রহস্যময় পরিবেশের প্রতি তাদের দুজনেরই গভীর আকর্ষণ, এই কারণে তারা বিয়েরপর এক সপ্তাহের জন্য মিচু পিচুর জঙ্গলে একটি রিসর্ট ভাড়া নেয়। ঘন জঙ্গল আর পাহাড়ের চূড়ায় এই রিসর্ট থেকে পুরো মিচু পিচু পরিষ্কার দ্যাখা যায়। সন্ধেবেলায় তারা দুজন বসেছিল ব্যালকনিতে, দূরে কোথাও থেকে একটা খুব সুন্দর বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ আসছিল, রানার কাঁধে মাথা রেখে তিতির বলেছিল এই আওয়াজটা তার কাছে যেন বহুদিনের পরিচিত, তার অতীত থেকে এই আওয়াজ তার কাছে এসে পৌছাচ্ছে। মিচু পিচির ওপর পড়ন্ত বিকেলের শেষ আলো এসে পড়ছে, পরিবেশটা আলো আঁধারির মধ্যে খুব রহস্যময় দেখাচ্ছে। রানা বলল, এই আওয়াজটা একটা বাঁশের বাদ্যযন্ত্রের। ইনকারা এই ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গান করতো। তুমি জানো তিতির, আমি এই মিচু পিচুকে বহুদিন আমার স্বপ্নে দেখেছি। কিন্তু তার মধ্যে এই রঙ ছিল না। কারণ স্বপ্নে দেখা কোনো কিছুর তো রঙ হয়না, সে তো শুধুই সাদা কালোর এক জগৎ।
তিতিরের মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছিল। সে রানাকে বলল, তার কারুর জন্য খুব মন খারাপ লাগছে, কিন্তু সে বুঝে উঠতে পারছে না কার জন্য তার এতো মন খারাপ!
এই তিন বছরে একবারও তিতির তার পরিবারের কারুর সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি, রানা বহুবার তার কাছে জানতে চেয়েছে তার পরিবারের কথা, তিতির নীরব থেকে গেছে। সে রানাকেও তার পরিবার সম্পর্কে কোনো দিন কোনো প্রশ্ন করেনি। রানা সিদ্ধার্থদা এবং তিতিরের বন্ধুদেরও গোপনে বহুবার প্রশ্ন করেছে তিতিরের পরিবারের কথা। সবাই শুধু এইটুকুই জানে যে তিতির জামশেদপুরের মেয়ে, আর কিছু তারা জানে না। তাদের বিয়ের সময়ও দু-পক্ষ থেকে বন্ধুরা ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিল না। রেশিডেন্সিয়াল কাগজ দেখাতে পারেনি বলে তাদের রেজিস্ট্রেশানও হয়নি। শুধু পুরোহিত ডেকে হিন্দু মতে বিয়ে সারা হয়েছে, এইটুকুই। বিয়ের পর রানা মাঝে মাঝে তিতিরকে তার পার্শে রাখা একটি ছবির সাথে কথা বলতে আর কাঁদতে দেখেছে। এই এক সপ্তাহে তার প্রশ্ন করে ওঠা হয়নি, ছবির লোকটি কে? আরেকটু সময় রানা নিতে চেয়েছিল।
আজ মিচু পিচু পাহাড়ের সন্ধ্যা নামার দৃশ্য দেখে রানার মনও খুব ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তার চোখ থেকে দু-ফোঁটা জল যখন গড়িয়ে পড়েছে তিতিরের কপালে, তিতির তার চোখের দিকে তাকিয়ে এক গভীর হতাশা দেখেছে।
সেদিন প্রথম সে তিতিরকে জানিয়েছিল তাদের দেবীপুরের বাড়ির কথা, যে বাড়ির একধার দিয়ে বয়ে যাচ্ছে কীর্তনখোলা নদী। নদীর ধারে হাজার বছরের পুরনো এক বটগাছ, যার ঝুড়িতে দোল খেয়ে রানার শৈশব কেটেছে। সব শেষে সে জানিয়েছে তার মা আর কাকিমার কথা।
রানা তিতিরকে বলেছিল, সে যে বাড়িটার স্বপ্ন দ্যাখে, রানার দৃঢ় ধারণা সে বাড়ি তাদের দেবীপুরের বাড়ি। আর তিতির যখন এ বাড়িকে স্বপ্নে বারবার দেখতে পাচ্ছিল, এর পেছনে নিশ্চই কোনো কারণ আছে। সেটাই তাকে তিতিরের এত কাছকাছি নিয়ে এসেছে।
সেদিন বহু রাতে তারা ঘুমোতে আসে, তিতির ঘুমোনোর আগে রানাকে প্রশ্ন করে,
-রানা, আমরা স্বপ্নে যা দেখি তার কোনো রঙ হয় না তাই না?
রানা বলে, হুম, হয় না। কারণ সেগুলো আমাদের কল্পনা।
তিতির নিজের বালিশ থেকে উঠে এসে রানার হাতের ওপর মাথা রেখে বলে, রানা, আমি যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলাম, সেইসব গুলোর রঙ ছিল। লাল বেনারসী, সবুজ বটপাতা, তোমার মৃতদেহ, সব কিছুর রঙ ছিল।
রানা তিতিরকে জড়িয়ে ধরে বলল, তিতির অনেক রাত হলো, ঘুমিয়ে পড়ো।
সেদিন রাতে তিতির আবার স্বপ্ন দেখল। এ স্বপ্ন তার দেখা অন্য স্বপ্নগুলোর থেকে একটু আলাদা। তিতির দেখলো, নদীর ধারে প্রাচীন শিব মন্দির, মন্দিরের ভেতর বিশাল শিব লিঙ্গ, তার মধ্যে দুধ, বেল, ফুল, বেলপাতা স্তুপ হয়ে আছে। গর্ভগৃহ অন্ধকার। শিবের সামনে শুধু একটা তেলের প্রদীপ জ্বলছে। গর্ভগৃহের এক কোণ থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসছে। তিতির অন্ধকার দিকে তাকিয়ে দ্যাখে লাল চেলি আর চন্দন পরা গোটা ছয়েক বালিকা বসে কাঁদছে।প্রদীপের হাল্কা আলোয় তিতির তাদের মুখ দেখতে পাচ্ছে, ওদের চোখের কোণ থেকে কাজল গোলে গাল দিয়ে পড়ছে। আর তিতির কড়া গাঁজার গন্ধ পাচ্ছে। প্রদীপটা নিভে যেতেই চারদিক অন্ধকার। সে আর বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজ পাচ্ছে না। তিতিরের মনে হচ্ছে, তার কোনো শরীর নেই। সে ইচ্ছে করলেই যেকোনো জায়গায় চলে যেতে পারে। সে বন্ধ দরজা ভেদ করে বেরিয়ে এসে দ্যাখে, মন্দিরের চাতালে প্রদীপ হাতে দুই মহিলা বসে আছেন। তারা তিতিরকে দেখে উলু দিতে শুরু করল, চারদিক থেকে শাঁখ বেজে উঠল। তিতির পেছন ফিরে দেখল মন্দিরের ভেতর থেকে আলতা মাখা পায়ের ছাপ এসে পড়েছে চাতালে। শাঁখের আওয়াজ তীব্র হচ্ছে। তিতির এই আওয়াজ নিতে পারছে না। কানে হাত দিয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না।
ঘুম ভাঙলে তিতির দ্যাখে মিচু পিচু পাহাড় থেকে মন খারাপের সঙ্গীত ভেসে আসছে। সে রানার কাধে মাথা রেখে শুয়ে আছে।
Read More: ধারাবাহিক উপন্যাস খাতা লিখেছেন দেবশ্রী চক্রবর্তী