Breaking News
Home / জাতীয় / মৃত্যু বেড়ে ৯: ভারতে ছড়াচ্ছে মারণ নিপাহ ভাইরাস সাবধান হোন এক্ষুণি

মৃত্যু বেড়ে ৯: ভারতে ছড়াচ্ছে মারণ নিপাহ ভাইরাস সাবধান হোন এক্ষুণি

সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: দেশে এখন পর্যন্ত সোয়াইন ফ্লু ও ডেঙ্গুর মতো রোগ দেখেছে সবাই কিন্তু এবার কেরালাতে দেখা দিল নিপাহ ভাইরাস। নিপাহ ভাইরাসের কারণে কেরালেতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ভাইরাল সামনে আসার পরে 25 জনের বেশি ব্যক্তিকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
অবস্থা গম্ভীর দেখে কেরালার স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জে পি নড্ডা স্বাস্থ্য সচিবের কাছে সমস্ত বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন। নড্ডা ন্যাশনাল সেন্টার অফ ডিজিস কন্ট্রোলের নির্দেশককে নিপাহ ভাইরাস প্রভাবিত জেলগুলিতে অবস্থান করে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে বলেন।
রিপোর্ট অনুসারে, কেরলের কোজিকোড় জেলায় নিপাহ ভাইরাসের কারণে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষেশজ্ঞদের মতে, তাদের কাছে এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার মতো ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। রাজ্যবাসির মনে নিপাহ ভাইরাস নিয়ে ভয়ের সঞ্চার হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কেরালার কালীকট জেলার অজানা জ্বরের কারণে 9 জন মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে 9 জনের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন । বাকি সাত জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য 7 পাঠানো হয়েছে।
নিপাহ ভাইরাস

নিপাহ ভাইরাস কি:

নিপাহ ভাইরাস মেডিক্যাল সাইন্সের সামনে একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিষেশজ্ঞদের মতে নিপাহ ভাইরাস এতোটাই ভয়ানক যেকোনো সময় মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। এই ভাইরাস মানুষ এবং পশুর ক্ষেত্রেও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার কাম্পুং প্রদেশে 1998 সালে এটি প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল।
ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগ্যানাইজেসান (WHO)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, নিপাহ ভাইরাস মানুষ এবং পশুর জন্যে ভয়ানক বিপদ। Who-এর মতে নিপাহ ভাইরাসের স্যাম্পল টেরোপাস জীনাস নামক একটি বাদুড়ের নাকে পাওয়া গেছিল। সেই সময় নিপাহ ভাইরাসের লক্ষণ শুকরের মাঝে দেখতে পাওয়া গেছিল। ২০০৪ সালে মানুষের মধ্যে প্রথম বারের মতো সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়।

কি ভাবে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়:

এই রোগ ছড়ানোর বিষয়টাও একটু মজাদার এবং নাটকীয়। বাদুড় যে ডালে বসে সেই ডালের ফলকে প্রথমে সংক্রমিত করে। যখন সেই ফল মানুষ বা পশুতে খেয়ে নেয় তখন তার দেহে নিপাহ ভাইরাস বাসা বাধে।

নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার লক্ষণ:

মস্তিষ্কের ফুলে যাওয়া, জ্বর, মাথাব্যথা, তৃষ্ণা, বিচ্যুতি, মানসিক বিভ্রান্তি ইত্যাদি লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। এতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিষেশজ্ঞদের মতে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগি ২৪-৪৮ ঘন্টার ভেতর কোমাতে যেতে পারে।

চিকিৎসা :

নিপাহ ভাইরাসের সঠিক চিকিৎসা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। কিছু অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ আছে তবুও সেগুলো খুব কার্যকরী তা বলা যায় না। যেহেতু নিপাহ ভাইরাস এক জনের দেহ থেকে অন্য জনের দেহতে সংক্রমিত হয় সুতরাং কেউ সংক্রমিত হলে তার থেকে দূরে থাকতে হবে। গাছ থেকে পড়া ফল যেন না খাওয়া হয় তার পরামর্শও দেন ডাক্তাররা।
Read More: চকলেটের কারণে বন্ধ হয়ে গেল হাইওয়ে : দেখুন ভিডিও

Check Also

সড়ক পরিবহন আইন

সড়ক পরিবহন আইন – দুর্ঘটনা হলেও ক্ষতিপূরণ পাবেন না যাত্রী

সড়ক পরিবহন আইন – নতুন সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রী ও পথচারীর বীমা ছাড়াই গাড়ি চলতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *