সবার খবর, নিউজ ডেস্ক: পরমাণু বোমা পৃথিবীর সকল দেশের কাছে মূল আতঙ্কের কারণ। প্রায় প্রত্যেক দেশ নিরপত্তার কথা ভেবে পরমাণু বোমার ভান্ডার সমৃদ্ধ করেছে। যদি পৃথিবীতে পরমাণু বোমা এক সঙ্গে ফাটে তাহলে কি হতে পারে। পৃথিবীতে প্রায় ১৫০০০ হাজার পরমাণু বোমা মজুত আছে। এক সঙ্গে এতোগুলো পরমাণু বোমা পৃথিবীতে ফাটলে বিনাশ হয়ে যাবে। পৃথিবী অনেক বছর পিছিয়ে যাবে। চলুন আজ আমরা কল্পনার দুনিয়া থেকে ঘুরে আসি।
ধরুন পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ একে অপরের শত্রু হয়ে গেছে। বিশেষ করে চিন, রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স ইত্যাদি। মনে করুন এমন একটা সময়ে সমস্ত দেশ পরমাণু মিশাইল একে অপরের দিকে আক্রমন করার জন্যে পাঠালো। সঙ্গে সঙ্গে মিশাইলগুলি কুড়ি হাজার কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে থাকবে। সমস্ত দেশ তাদের নাগরিকদের রেডিও, টিভি, মোবাইল ইত্যাদির মাধ্যমে সতর্কবার্তা দিবে। যেন তারা সুরক্ষিত স্থানে আশ্রয় নেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই যায়গাটার বড়ো অভাব দেখা দিবে পৃথিবীতে। চারিদিকে মানুষ দৌড়াতে থাকবে, কি নিবো সঙ্গে? কোন ছেলে আমার কাছে নেয়? নিরাপদ যায়গা বা কোথায় এই নিয়ে মানুষের দৌড়াদোড়ি শুরু হয়ে যাবে। শুধুই চিৎকার আর চিৎকার। এ যেন পৃথিবী ধ্বংশের পূর্বাভাস। একটা একটা করে পরমাণু বোমা পৃথিবীতে পড়তে লাগলো। এখনকার দিনে একটি পরমাণু বোমা দুই কিলোমিটার গভীর এবং দশ কিলোমিটার চওড়া গর্ত তৈরি করে ফেলবে বিস্ফোরণ স্থলে।
পরমাণু একে অপরের সাথে দ্রুত গতিতে সংঘর্ষের কারণে। ভীষণ তাপ এবং ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশান তৈরি হবে। ওই স্থানের তাপমাত্রা ১০০০০০০০০ ডিগ্রী শেলসিয়াসে রুপান্তরিত হবে। ৮০০ ডিগ্রী শেলসিয়াস তাপমাত্রার ৬০০ কিমি বেগে ঝড় হবে। অর্থাৎ সমস্ত কিছু তাপে গলে যাবে। মিশাইল পৃথিবীতে পড়ার ১৫ মিনিটের ভেতর এক তৃতীয়াংশ জীব পুড়ে মারা যাবে। এমনকি ওইসব স্থানে বাড়িঘর সমস্ত কিছু ধ্বংশ হয়ে যাবে। যারা নিউক্লিয়ার বাঙ্কারের নীচে আশ্রয় নিয়েছিল তারা বেঁচে যাবে। কিন্তু গাঢ় মেঘ আকাশের বুকে ছেয়ে যাবে। একে নিউক্লিয়ার উইন্টার বলে।
নিউক্লিয়ার উইন্টারের ফলে চাঁদ ও সূর্যের মুখ দেখা যাবে না ৫০০ বছর। স্যাটেলাইট সম্পূর্ণরূপে কাজ করা বন্ধ করে দিবে। মোবাইল, টিভি, গাড়ি আর চলবে না। যত ধরণের ইলেকট্রিক সরঞ্জাম সব কাজ করা বন্ধ করে দিবে। শেষ পরমাণু বোমা আঘাত করার পর পৃথিবীর ৮০-৯০ ভাগ ধ্বংশ হয়ে যাবে। আস্তে আস্তে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা কমে যেতে থাকবে। ফলে সমুদ্রের জল সম্পূর্ণ রূপে বরফে পরিণত হবে। সামুদ্রিক জীব একটাও বেঁচে থাকবে না। নিউক্লিয়ার বাঙ্কারের নিচে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলিও আস্তে আস্তে মারা যাবে। জল ও খাবারের অভাবে। সূর্য কিরণের অভাবে বেঁচে থাকা কিছু গাছ-পালাও মারা যাবে। পরমাণু অ্যাটাকের পাঁচশত বছর পর ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুর অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যাবে। ৫০০ বছর পর পৃথিবীতে আবার সূর্যের দেখা মিলবে। কিন্তু তখন আদিম পৃথিবীতে রুপান্তরিত হবে আজকের এই পৃথিবী।
আরও পড়ুন: পুরনো কুয়ো থেকে আসছে রহস্যময় হাসির আওয়াজ : আতঙ্কে গ্রামবাসীরা!
Check Also
ভালো কাজ করলেই মিলবে খাবার, লাগবে না কোন টাকা
ভালো কাজ করলেই মিলবে খাবার, লাগবে না কোন টাকা কথাটা শুনতে অবাক করার মতো হলেও …