সবার খবর, নিউজ ডেস্ক: পাত্রী গেল কনে যাত্রী নিয়ে বর আনতে! কি ব্যাপারটি অন্যরকম মনে হচ্ছে তো! আজ্ঞে হ্যাঁ, ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থাকে এক হাত দেখিয়ে এমনটাই ঘটেছে বিহারে। কিন্তু কেন? আমরা সাধারণত দেখে থাকি, বর বরযাত্রী সহ বিয়ে করতে যাবেন কনের বাড়ি। বিয়ে করে বউ নিয়ে ফিরবেন নিজের বাড়ি। এমন-ই তো হয়ে থাকে। কিন্তু অনিল কুমার যাদব ও স্নেহলতার বিয়ে হল অন্যভাবে। ভারতীয় সমাজকে ও রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্নেহলতা কন্যাযাত্রী সঙ্গে করে বিয়ে করে বর নিয়ে এলেন ঘরে। এই খবর চাওর হতেই স্থানীয় মানুষজন ভিড় করেন এই নতুন নিয়মের বিয়ে দেখতে।
কিন্তু এইভাবে বিয়েতে কি রাজি ছিলেন স্নেহলতা ও অনিল কুমার যাদবের পরিবার? রাজি ছিলেন অনিল?
অনিল কুমার যাদব পেশায় নৌবাহিনীর ক্যাপটেন। কাজের জন্যে থাকতে হয় বিশাখাপত্তনামে।অনিল বলেন, ‘আমাকে যখন ও এ প্রস্তাব দেয় তখন আমি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলাম। পরে ও-যখন সিরিয়সলি আমাকে বলল, আমি মত দিই। আমার পরিবার ও স্নেহলতার পরিবারও অমত করেনি’।
কেন এভাবে বিয়ে করলেন স্নেহলতা ও অনিল? অনিলের কথায় ওঁরা সমাজকে মেসেজ দিতে চেয়েছেন। এখনও বিহারের বহু জায়গায় পণ প্রথার শিকার অনেকেই। শুধু তাই নয়, অনেক সামাজিক প্রথাও আছে। সেই সব প্রথা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে চেয়েছেন অনিল ও স্নেহলতা। স্নেহলতা বলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের বহু কু-প্রথা দূরীকরণের কাজের কথা বাড়িতে বলেছিলাম। অনিলকেও বলেছিলাম সেসব কথা। বলেছিলাম বরযাত্রী নিয়ে ও-নয়, আমি যাবো! প্রথমে ও-মজা হিসেবে নিলেও পরে কোনো সমস্যা হয়নি। ও-সর্বক্ষণ আমার পাশে। পরিবারও আমাদের পাশে ছিল।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেটারের করুণ কাহিনী, পড়লে চোখে জল চলে আসবে
Check Also
শিক্ষকের ধর্ষণে মা ৭ম শ্রেনির ছাত্রী, চাচার ধর্ষণে মা ভাতিজি
কুমিল্লায় ধর্ষণ – শিক্ষক কিংবা নিকট আত্মীয় কারো কাছেই কি নিরাপত্তা নয় নারীরা?কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কোচিং …