সবার খবর, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি তুর্কির ইস্তাম্বুলে পৃথিবীর সবচাইতে বড় বিমানবন্দরটির উদঘাটন হয়েছে। এই বিমান বন্দরের উদঘাটন ২৯ শে অক্টোবর, সেই দেশের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইফ এরদোগান করেন। তুর্কির বিমানবন্দরটি প্রায় ১৯ হাজার একর জমিতে তৈরি হয়েছে। বিমানবন্দরটি তৈরির জন্যে ৫ টি কোম্পানি ২৯ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের টেন্ডার পায়।
পৃথিবীর বড়ো এয়ারপোর্টটিতে এক সঙ্গে ২৫০ টি বিমান, ৩৫০ টি রানওয়ে থেকে ওঠা নামা করতে পারবে খুব সহজেই। বিমানবন্দরটিতে বর্তমানে বছরে প্রায় ৯ কোটি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। ২০২৮ সালের মধ্যে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে দাড়াবে ২০ কোটিতে। নিরপত্তার কথা ভেবে এয়ারপোর্টে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। এয়ারপোর্টটি তৈরি হতে ১০ বছর সময় লেগেছে। বিমানবন্দরটি তৈরি করতে গিয়ে নানান ধরনের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে এরদোগান সরকারকে। কনস্ট্রাকশনের সময় প্রায় ৩০ জন শ্রমিক দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সমালোচকরা এই দুর্ঘটনার জন্যে তুর্কি প্রেসিডেন্টের ডেডলাইনকে দায়ী করছেন। তিনি বিমানবন্দরটির কাজ এবছরের ২৯ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নানান বাধা অতিক্রম করে এয়ারপোর্টটি বিমান ওঠা-নামার জন্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে। এয়ারপোর্টটির উদ্বোধনের সময় ১৮ টি দেশের ৫০ জন নেতা গল্ফ কার্টে বসে বিমানবন্দর উদ্বোধন করতে পৌঁছান। গল্ফ কার্টটি চালান তুর্কির রাষ্ট্রপতি এরদোগান।
পৃথিবীর বড়ো এয়ারপোর্ট তৈরি করতে ৩৫ হাজারের বেশি শ্রমিক ও ৩০০০ ইঞ্জিনিয়ার কঠোর পরিশ্রম করেন।
এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ইস্তাম্বুলের এই এয়ারপোর্টটি গুরুত্বপূর্ণ একটি গন্তব্য স্থল হতে চলেছে সকলের। বিমানবন্দরটিতে ট্র্যাডিশনাল কিছু ইসলামিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৬ সালে এই বিমানবন্দরের ডিজাইনটি ইন্টারন্যাশনাল আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। এখন হাতে গোনা কয়েকটি বিমান ওঠানামা করলেও আশা করা যায় এই বছরের শেষের দিকে বিমানবন্দরটি সম্পূর্ণভাবে অপারেট করবে।
পৃথিবীর সব চাইতে বড়ো তুর্কির এই এয়ারপোর্ট-এর নাম রাখা হয়েছে ‘ইস্তাম্বুল নিউ এয়ারপোর্ট’।
আরও পড়ুন: সবচাইতে বেশি সোনা যে কোম্পানি মাটি খুড়ে আবিস্কার করে