সবার খবর, নিজেস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ২০১৬ সালের মার্চ মাসে “ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম” জুনাইয়েদ আহমেদ পলককে Young Global Leaders 2016 হিসাবে মনোনীত করেছে। জুনাইয়েদ-এর জন্ম ১৭ই মে ১৯৮০ সালে, বাংলাদেশের নাটোর জেলায়। বাংলাদেশের ছাত্র-যুবকদের কাছে খুব পরিচিত মুখ এই তরুণ রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রীসভার তথ্য যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর পদ সামলাচ্ছেন।
সম্প্রতি তার একটি ফেসবুক পোস্ট চরম বিভ্রান্তি ছড়ায় সাধারণ জনগণের মাঝে। গতকাল (৩১ আগস্ট, ২০১৮) তিনি ৪৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন, তার নিজেস্ব ফেসবুক একাউন্টে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজধানী থেকে সকল বিভাগীয় শহর যুক্ত হচ্ছে বুলেট ট্রেন’। পরবর্তী মুহূর্তেই তিনি ‘বুলেট ট্রেন’-কে ‘হাইস্পিড ট্রেন’ নামে উল্লেখ করেছেন ওই ভিডিওতে। সেখানে লেখা আছে, ‘ঘন্টায় ২০০ কিমি গতির ঢাকা চট্টগ্রাম হাই স্পিড ট্রেন পৌঁছনো যাবে দু ঘণ্টায়’। ওই ভিডিওতে আরো উল্লেখ আছে, ‘ঢাকা চট্টগ্রাম হাই স্পিড বুলেট ট্রেনের জন্য রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে অক্টোবর ২০১৮ সালে। এর জন্য খরচ হবে ১০২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার এই খরচ বহন করছে’। বাংলাদেশ প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক পোস্ট থেকে স্পষ্ট নয়, বাংলাদেশ সরকার যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন সেটি বুলেট ট্রেনের? নাকি হাইস্পিড ট্রেনের? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভারতের হাইস্পিড ট্রেনের গতিবেগ ঘন্টায় ১৫০ কি.মি. হলেও বিভিন্ন টেকনিকেল কারণে সে গতি এসে দাঁড়ায় ঘণ্টায় ৯০ কি.মি। জাপানের Shinkansen বুলেট ট্রেনের প্রতিদিনের গড় গতিবেগ ঘন্টায় ৩২০ কি.মি।
একটি বুলেট ট্রেনের খরচ দিয়ে ৮০০টি রাজধানী এক্সপ্রেস কেনা যাবে বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ভারতের প্রথম সারির মিডিয়ায়। বেশ কয়েক বছর ধরেই ভারতের bullet train project নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে বর্তমান সরকার। এ প্রকল্পের খরচ নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভারতে এই বিষয়ে বিরোধী দলগুলি সরকারকে এক হাতও নিয়েছেন।
আসলে বুলেট ট্রেন এর খরচ কত? ওই মিডিয়ার প্রতিবেদনটি থেকে জানা যাচ্ছে, ৯ কোচ বিশিষ্ট একটি বুলেট ট্রেনের খরচ পড়বে ৬০ হাজার কোটি টাকা আর বুলেট ট্রেনের জন্যে যে রেলট্র্যাক বসানো হবে তা প্রতি কিলোমিটারে খরচ হবে ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। অন্যদিকে হাই স্পিড রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনের খরচ ৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ একটি বুলেট ট্রেনের বিনিময়ে ৮০০টি রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেন চাইলেই কিনতে পারে ভারত সরকার। এই প্রোজেক্টে ভারত সরকার আনুমানিক ১.১ লক্ষ্ কোটি টাকা বাজেট হিসেবে ধরে রেখেছেন। সেখানে জাপান সরকার ৮৮ হাজার কোটি টাকা লোন হিসেবে ভারত সরকারকে দেবে। এই প্রোজেক্টের প্রথম ট্রেন চলবে মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত বলে জানা যাচ্ছে।
জুনাইয়েদ আহমেদ পলক তাঁর পোস্টে আরও উল্লেখ করেছেন, ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশে চালু হবে বুলেট ট্রেন। বাংলাদেশর জণগন আশ্চর্য হয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের এ প্রকল্পটির ব্যয় নিয়ে। এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ সরকার ২০২২ সালের মধ্যে ১০২ কোটি টকা ব্যয়ে বুলেট ট্রেনের প্রজেক্ট শেষ করতে পারে কি না?
ভুটান পরিচিতি : কিভাবে ভুটান তার সংস্কৃতি ও কালচারকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হচ্ছে
Home / আন্তর্জাতিক / বাংলাদেশে চালু হচ্ছে ১০২ কোটি টাকার বুলেট ট্রেন! চরম বিভ্রান্তি মন্ত্রীর পোস্ট ঘিরে
Check Also
নাজীব তারাকাই মাত্র ২৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে
নাজীব তারাকাই মাত্র ২৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে।সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে এতদিন ধরে কোমায় …