সবার খবর: বারমুডা ট্রাই অ্যাঙ্গেল এক অজানা রহস্য। কেন এখানে কোনো বিমান বা জল জাহাজ এসে হারিয়ে যায়। এখনও এই রহস্যের সমাধান করতে পারেনি কোনো বিষেশজ্ঞ। বারমুডা ট্রাই অ্যাঙ্গেল শয়তানের তিন কোণ নামেও পরিচিত। উত্তর আটলান্টিকের এই জায়গা দিয়ে বিমান এবং জাহাজ যেতে ভয় পায়। এই ঘটনাকে তো অনেক মানুষ অপ্রাকৃতিক বা প্যারানরমাল অ্যাকটিভিটিও বলে থাকেন। গবেষকরা এই বারমুডা ট্রাই অ্যাঙ্গেলের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টাও করেছেন। তারা দেখানোর চেষ্টা করেছেন এগুলো সবই প্রাকৃতিক ঘটনা। যদিও বিষেশজ্ঞের দেওয়া দলিল পত্র সম্পূর্ণ খুশি করতে পারেনি সকলকে। এই স্যাটেলাইটের যুগে সত্যিই আশ্চার্য লাগে কি ভাবে জাহাজ বা জল জাহাজ এখানে এসে হারিয়ে যায়। এমন কি এগুলোর ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পাওয়া যায় না।
ক্যারিবিয়ান সাগরের এক ত্রিভূজ আকৃতির কল্পিত স্থান এটি। ত্রিভুজের তিন বিন্দুতে আছে ফ্লোরিডা, বারমুডা আর প্যুয়ের্তো রিকো। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ফ্লোরিডা এবং বাহমাস দ্বীপের মধ্য স্থানেই ঘটে থাকে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই লেন দিয়েই বেশির ভাগ জাহাজ এবং বিমানকে যাতায়াত করতে হয়। ফ্লোরিডা দ্বীপে মনোরঞ্জনেরও ভরপুর ব্যবস্থা থাকে। প্রবল জড় এবং হঠাৎ হ্যারিকেনের জন্যেই বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। এই অঞ্চলের আবহাওয়াকে বুঝতে আবহাওয়াবিদদেরও বিপদে পড়তে হয়। এক কথায় বলা যায় পৃথিবীর এক আশ্চার্য স্থান। প্রথম বার এই স্থানটি নজরে আসে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের। তিনি বলেন, সমুদ্রে নৃত্য অবস্থায় কিছু আলো আমার এবং আমাদের চালক দলের নজরে আসে। কলম্বাসের ‘ল’ বুকে লিখেন, বারমুডা ট্রাই অ্যাঙ্গেলের আকাশে আগুনের গোলা দেখতে পাওয়া গেছিলো। তিনি আরও লিখেন, তার কম্পাস একমাত্র এই স্থানে এসেই অস্বাভাবিক আচরণ করছিলো।
আমেরিকা নৌবাহিনীর ফ্লাইট-১৯ নামের একটি বিমান এখানে এসে হারিয়ে যায়। এক আন্তর্জাতিক পত্রিকার মতে, ফ্লাইট-১৯ এর পাইলট দুর্ঘটনার পূর্ব মুহুর্তে বলেছিলেন, কিছুই ঠিক ঠাক কাজ করছে না। আমি বুঝতেও পারছি না আমরা এখন কোথায়। মনে হচ্ছে আমরা সাদা জলে প্রবেশ করছি। পরে যায়গাটিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম রোমাঞ্চকর ভাবে বলতো ‘ডেডলি ট্রাই অ্যাঙ্গেল’।
বারমুডা ট্রাই অ্যাঙ্গেলে ঘটে যাওয়া কিছু দুর্ঘটনা এখানে তুলে ধরা হলো:
১৯৪৫ সালে দুর্ঘটনায় পড়ে পিবিএম৩এস। পাইলট থমাস আরথুর গার্নারের সাথে ছিল ১১ জন ক্রু। ১০ জুলাই ঘটনাটি ঘটে রাত্রি ১:১৬। দশ দিন সার্চ অপারেশন করার পরও ধ্বাংসাবশেষ পাওয়া যায়নি। ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর হারিয়ে যায় ফ্লাইট-১৯। পরবর্তীতে এই বিমানটি খুঁজতে গিয়ে আরও একটি বিমান নিখোজ হয়ে গেছিলো। ১৯৪৭ সালে B-29 Superfortress দুর্ঘটনায় পড়ে। তদন্ত করে B-29 Superfortress-এর কোনো অংশ পাওয়া যায়নি। এধরনের কমপক্ষে ২০-২৫টি দুর্ঘটনা ঘটে এই স্থানে। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের ১৫ মে। একটি প্রাইভেট MU-2B জেট রাডার থেকে হারিয়ে যায় ২৪০০০ ফুট উচ্চতায়।
বারমুডা ট্রাই অ্যাঙ্গেলের রহস্য উন্মোচিত হলেই আমরা আপনাদের জানাতে চেষ্টা করবো। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আপনাদের ভালো লাগলে শেয়ার করে আমাদেরকে উৎসাহ দিন।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভূতের অস্তিত্ব খুঁজে ফেরা
Check Also
নাজীব তারাকাই মাত্র ২৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে
নাজীব তারাকাই মাত্র ২৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে।সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে এতদিন ধরে কোমায় …