সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: সাংবাদিকদেরকে মারধর বা হত্যা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে বর্তমানে যেন সাংবাদিকদের ওপর বেশি পরিমাণে চড়াও হচ্ছে নেতাকর্মীরা। রাজদেব রঞ্জন, কিশোর দেব, গৌরী লঙ্কেশ, শান্তনু ভৌমিকদের মত সাংবাদিকদের খুন হতে দেখা গেছে এই ভারতবর্ষে। এবার আরও এক সাংবাদিককে নিগ্রহ হতে হলো বিজেপি নেতা কর্মীর হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্রিশগড়ে। এক সাংবাদিককে বিজেপির চার নেতাকর্মী নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করতেও ভোলেননি সাংবাদিক মহল। ছত্রিশগড়ে যেকোনো বিজেপি নেতার সাক্ষাৎকার নিলেই সাংবাদিকরা হেলমেট পড়ে সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। এটি একটি প্রতিবাদের ভাষা।
ঘটনাটি ঘটেছে ছত্রিশগড়ের রায়পুর জেলাতে। ছত্রিশগড় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির কারণ নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠান চলাকালীন এক সাংবাদিককে হেনস্থা করা হয়। সভা যখন শুরু হয় তখন বিজেপির রায়পুর জেলা সভাপতি রাজীব আগরওয়াল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অন্য নেতাদের সঙ্গে। সেই সময় সুমন পান্ডে নামের এক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে। সুমন পান্ডে পকেট থেকে মোবাইলটি বের করে বিজেপি নেতা কর্মীদের দলীয় কোন্দলের ছবি তুলতে গেলেই রাজীব আগরওয়াল-এর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির আরও তিন নেতা এসে সুমন পান্ডেকে ব্যাপক পরিমাণে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। সুমন পান্ডের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাকে ওই ভিডিওটি ডিলিট করার জন্য বারবার হুমকি দিতে থাকেন। এরপরে সুমন পাণ্ডের ওপর ব্যাপক হারে মারধর চলে। যদিও পরবর্তীতে বিজেপির রাজ্য নেতারা সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে নেন। অপরদিকে সাফাই দিতেও ছাড়েননি বিজেপি নেতারা। তারা বলেন, একজন সাংবাদিক কখনই গোপন বৈঠকের ছবি বা ভিডিও ক্যামেরা বন্দী করতে পারেন না। তবুও সাংবাদিকদের কাছে আমরা এই ঘটনার জন্য হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
কিন্তু এতেও ক্ষোভ বিন্দুমাত্র কমছে না রায়পুর সাংবাদিক মহলে। সাংবাদিকরা এখন একটাই দাবি করছেন যে, রাজীব আগরওয়ালকে বহিষ্কার করতে হবে। রায়পুরে যখনই কোন বিজেপি নেতাদের সাক্ষাৎকার নিতে যাচ্ছেন সাংবাদিকরা তখনই হেলমেটটা পরে নিচ্ছেন। অপরদিকে ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাছাড়াও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা জন্য একটি আইন আনতে চলেছেন বিধানসভায় বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রবার্ট বাঢরার প্রেম কাহীনি বলিউড সিনেমাকে হার মানাবে