সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: আমাদের উপমহাদেশের প্রত্যেকটি দেশে জনসংখ্যা হুঁ হুঁ করে বাড়ছে। অপরদিকে ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরিতে উত্তরোত্তর জনসংখ্যা কমতেই আছে। ফলে দেশের নানা সমস্যা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ কর্মের জন্য বাইরের দেশের মানুষের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হচ্ছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর আরবান জনসংখ্যা যেন তাঁর দেশে বৃদ্ধি পায় সে কারণে নতুন একটি চমকপ্রদ নীতি ঘোষণা করেছেন।
ভিক্টর বলেন, ৪০ বছর বয়সের কম মহিলারা বিবাহ করলে ২৫ লক্ষ টাকা লোন হিসেবে পাবেন। লোন শোধ করতে গিয়ে কোন ধরনের সুদ দিতে হবে না। তৃতীয় বাচ্চা হলে তার লোন সম্পূর্ণ মাফ হয়ে যাবে। ভিক্টর আরবান বলেন, চারের অধিক বাচ্চা নিলে সারা জীবন ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে না। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, তিনটির অধিক বাচ্চা নিলে সাত সীট যুক্ত চারচাকা কেনার জন্য সরকার ছয় লক্ষ টাকা দেবে। ভিক্টর বলেন, প্রবাসীদের ওপর নির্ভরতা কমাতে ও হাঙ্গেরির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে এটাই ছিল আমাদের শেষ উপায়।
অ্যানুয়াল স্টেট অফ দ্য নেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর বলেন, প্রবাসীদের ওপর নির্ভরতার চেয়ে হাঙ্গেরীয়ান মহিলারা বাচ্চার জন্ম দিলে বেশি লাভবান হবে জাতি। ভবিষ্যতে হাঙ্গেরীয়ানদেরকে প্রবাসীদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে, যদি এইভাবে বাচ্চা জন্মের হার হ্রাস পায়। তিনি আরো বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে হাঙ্গেরির জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ও মহিলারা বেশি পরিমাণে বাচ্চার জন্ম দিতে উৎসাহ পাবে। যখন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর এই সব কথাগুলো বলছেন ঠিক সেই সময় রাজধানী বুদাপেস্টে প্রায় ২০০০ আন্দোলনকারী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আন্দোলনে নেমেছেন।
উল্লেখ্য বর্তমানে হাঙ্গেরির জনসংখ্যা ৯৭.৮ লক্ষ। প্রত্যেক বছর ৩২ হাজার মানুষ হাঙ্গেরি মোট জনসংখ্যা থেকে কমছে। হাঙ্গেরিতে ১০০ জন মহিলার পিছু ১.৪৫ টি বাচ্চার জন্ম হয়। যা সমস্ত ইউরোপের ১.৫৮ চাইতেও কম। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে কম বাচ্চার জন্ম হয় স্পেনে। সেখানে ১০০ জন মহিলা পিছু ১.৩৩ বাচ্চা জন্মায়। সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বাচ্চার জন্ম হয় পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারে। সেখানে গড়ে একজন মহিলার ৭.২৪ করে বাচ্চার জন্ম হয়।
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারীরা মাথায় চাকু ঢুকিয়ে দেয়, তারপরেও লড়াই চালায় সাহসী এই কুকুর