ভারত প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভারতের অর্থনৈতিক বৈষম্য দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২0১৬ সালে দেশের মোট সম্পত্তির ৫৫%, শীর্ষ ধনী ১০% দ্বারা পরিচালিত হয়। বুধবার প্রকাশিত একটি গ্লোবাল রিসার্চ রিপোর্টে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ রাজ থেকে মিলিওনেয়ার সিক্রেট’ শীর্ষক আলচনায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ টমাস পিকবেতি এবং লুকাস চ্যান্সেল এবং অন্যান্যদের লেখা ‘বিশ্ব আয় বৈষম্য ২০১৮’ এর ‘ভারতের আয় বৈষম্য, ১৯২২-২০১৪ নামক এক অংশে ভারত সম্পর্কে এই তথ্য দেওয়া হয়।
বিশ্বের সম্পত্তি এবং আয়ের ডাটাবেসের উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষ্যে, সহ-লেখক চ্যান্সেল এটিকে ‘আয় এবং সম্পদ সম্পর্কে সর্বাধিক বিস্তৃত প্রতিবেদন’ বলেছেন। এই প্রতিবেদনটি বলা হয় যে ১৯৮০ সালে আয়ের অসমতা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে অর্থনীতিতে মারাত্মক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে, যা নিয়ন্ত্রক ও সংস্কারের বাস্তবায়নের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “২০১৪ সালে, জাতীয় আয়ের মধ্যে ভারতের ১% জনগণ ২২ শতাংশ অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করেন । শীর্ষ ১০ শতাংশের কাছে দেশের ৫৬ শতাংশ সম্পদ বর্তমান । আর শীর্ষ আয়ের ০.১ শতাংশের মানুষের আয় নিচের ৫০% তুলনায় দ্রুত বর্ধনশীল হয়। ”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, “১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে ৩০ বছরে অর্থাৎ ১৯৭৭ পর্যন্ত বৈষম্য দ্রুত হারে হ্রাস পেয়েছিলো, যখন দেশের ৫0 শতাংশের আয় জাতীয় আয় থেকে দ্রুত বাড়ছিলো।”
আরও পড়ুন: রোহিত শর্মার ব্যাটিং দেখে খুশিতে কেদে ফেললেন স্ত্রী
Check Also
সড়ক পরিবহন আইন – দুর্ঘটনা হলেও ক্ষতিপূরণ পাবেন না যাত্রী
সড়ক পরিবহন আইন – নতুন সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রী ও পথচারীর বীমা ছাড়াই গাড়ি চলতে …