Home / শরীর স্বাস্থ্য / ব্রা-এর রঙের কারণে কি ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে? সত্যিটা জানুন

ব্রা-এর রঙের কারণে কি ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে? সত্যিটা জানুন

সবার খবর, হেল্থ ডেস্ক: ভুল জীবনধারা এবং খাওয়া দাওয়ার অভ্যাসের কারণে শরীরকে অনেক গুরুতর রোগের মুখোমুখি হতে হয়। যেমন ক্যান্সার। আর ক্যান্সারের নাম শুনলে সকলের মনে একটি আতঙ্ক বিরাজ করে। মানুষ ভাবতে শুরু করে আমি আমার জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে পৌছেছি। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান কিছুটা হলেও ক্যান্সার যুক্ত জীবনকে দীর্ঘায়িত করতে সক্ষম হয়েছে। আবার প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে তা নির্মূল করাও সম্ভব হচ্ছে। মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে পারে। তবে ইদানিং কালে মেয়েদের স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার
অনেক বিষেশজ্ঞ চিকিৎসক মনে করেন ডিপ্রেশান এবং অতিমাত্রায় ব্রার ব্যবহারের ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে। অতিরিক্ত ব্রা ব্যবহারের ফলে স্তনের lymphatic system ওপর চাপ পড়ে। যার ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অপরদিকে ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনিস্টিউট এবং আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতো সংস্থাগুলি জানাচ্ছেন সাধারনত ব্রার ব্যবহার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে না। তবে তারা সাবধানও করে দিচ্ছেন যে টাইট ব্রা ব্যবহার না করাই ভালো। এতে করে রক্ত চলাচল সকল স্থানে সাধারণ পদ্ধতি মেনেই হবে।
স্তন ক্যান্সার
আবার কিছু দিন আগে একটি ম্যাসেজ সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। ম্যাসেজে লেখা ছিল ‘ব্রেস্ট ক্যান্সারকে দূরে রাখুন। গরমে কালো ব্রা পরবেন না। রৌদ্রে বাইরে গেলে নিজের মাথা কাপড় দিয়ে ভালো করে ঢেকে রাখুন। প্রত্যেক মহিলাকে এই ম্যাসেজটি শেয়ার করুন।’
কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এই ম্যাসেজটি সম্পূর্ণ ফেক। কালো ব্রার সাথে স্তন ক্যান্সারের কোনো সম্পর্ক নাই।
ক্যান্সার কেনো হয়
কিভাবে দূরে রাখবেন স্তন ক্যান্সার: এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি ক্যান্সারের। তবে কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলাই যায় যাতে ক্যান্সারে ঝুঁকি অনেকটা কমে।
১. আপনার বংশে কারও যদি স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনারও হওয়ার সম্ভবনা থেকেই যায়।
২. বয়স ৩০ পার হলে নিজে নিজে ব্রেস্টের পরীক্ষা করে দেখুন। কোনো অসামাঞ্জস্য লক্ষ্য করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. ৩০ বছরের মধ্যে সন্তানের জন্ম না হলে স্তন ক্যান্সারে ঝুঁকি থেকে যায়। তাই চেষ্টা করুন ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই সন্তানের জন্ম দেওয়ার।
৪. সন্তানকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ খাওয়ান।
৫. শাক, সবজি টাটকা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৬. তামাক এবং অ্যালকোহল থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
৭. নিয়মিত ব্যায়াম করা অভ্যাস করুন।
৮. কোনো ধরনের সন্দেহ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Read More: কিসমিসের উপকারিতা : কিসমিস খেলে তিনটি রোগ সহজেই নির্মূল হবে

Check Also

পিঠে ব্যথার সমাধান

খুব সহজেই পিঠে ব্যথার সমাধান পাবেন এই কাজগুলি করলে

সবার খবর হেল্থ ডেস্ক:আমরা কোনো না কোনো সময় পিঠে ব্যথার সমাধান খুঁজেছি। কারণ যেকোনো মানুষের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *