সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: ২০১৫ সালে প্রায় ১,৩৩৬২৩ জন ভারতে আত্মহত্যা করে বলে পরিসংখ্যান বলছে। কিন্তু ২০০০ সালে ১,০৮৫৯৩ জন আত্মহত্যা করেছিল। এই সংখ্যাটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে আত্মহত্যার পরিমাণ ভারতে বাড়ছে দিন দিন। ২০০০ সালে ১৮-৩০ বছর বয়সের মানুষের আত্মহত্যার শতকরা হার ৩২.৮১। ওই সময় অর্থাৎ ২০০০ সালে মোট ১৮-৩০ বছর বয়সের ৪৩,৮৫২ জন মানুষ আত্মহত্যা করেন। ২০১৫ সালে ১৮-৪৫ বছরের শতকরা আত্মহত্যার হার ৬৬।
২০১৫ সালে ১৪ বছরের কম শতকরা এক ভাগ আত্মহত্যা করেন এবং ১৪-১৮ বছরের কিশোরের আত্মহত্যার পরিমাণ এক পারসেন্ট। পরিসংখ্যান বলছে শতকরা ১৯ ভাগ ৪৫-৬০ বছরের মানুষ আত্মহত্যা করেন এই বছর। ৬০ বছরের উপরে আত্মহত্যার পরিমান ৭.৭৭ পারসেন্ট। ২০০৫ সালে ১,১৩,৯১৪ এবং ২০১০ সালে ১,৩৪৫৯৯ জন মানুষের প্রাণ যায় আত্মহত্যার কারণে।
পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবনতা বেশি। ২০১৫ সালে ৯১,৫২৮ জন পুরুষ আত্মহত্যা করেন। ২০০৫ ও ২০১০ সালে যথাক্রমে ৬৬,০৩২ এবং ৮৭,১৮০ জন আত্মহত্যা করেন। অন্যদিকে ১৫ বছরের মেয়েদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবনতার বৃদ্ধি একটু বেশি দেখা গেছে। আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাই যে ভারতে মানুষের গড় আয়ু ৬৮.৩৫ বছর।
বিশেষজ্ঞদের মতে সামাজিক এবং সংস্কৃতিক, জাতিভেদ, চাকরি, পড়াশুনার চাপ; এই সকল কারণেই বেশি পরিমাণে আত্মহত্যার পরিমাণ বাড়ছে দিন দিন। বিশেষ করে বেকারত্ব একটি বড়ো কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। অবাক করার মতো ব্যাপার যে ভারতে প্রতি এক ঘন্টায় এক জন ছাত্র আত্মহত্যা করছে। মানুষ যেনো আত্মহত্যা না করে তার জন্য ভারতে মেন্টাল ফিটনেসের উপর বেশি করে জোর দেওয়া হচ্ছে।
WHO-এর মেন্টাল হেল্থ এটলাস, ২০১৭ মতে বেশির ভাগ দেশই আত্মহত্যা থেকে মানুষকে বাচানোর জন্য নিতি নির্ধারণ করেনি। কিন্তু এদিকে পৃথিবীতে প্রায় আট লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করছে এবং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই পরিমাণ। রিপোর্ট মতে, মানসিক রোগ দূর করার জন্যে খুব কমই লক্ষ্য থাকে দেশের এমনকি পরিবারেও। গত ১৪৫ বছরে আত্মহত্যার পরিমান ৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে। সব চাইতে বেশি আত্মহত্যা করে গুয়ানার মানুষ ভারত এই তালিকায় দশ নম্বর স্থানে আছে।
আরও পড়ুন: এয়ারটেলের বিতর্কিত মন্তব্য : গ্রাহক বললেন মুসলিম এক্সিকিউটিভের কাজে বিশ্বাস নেই