Home / জাতীয় / ভারতের লেডি সিংঘাম আইপিএস অফিসার: মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় যাকে গ্রেপ্তার করেন

ভারতের লেডি সিংঘাম আইপিএস অফিসার: মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় যাকে গ্রেপ্তার করেন

সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: কর্নাটকের সাহসী আইপিএস অফিসার-এর মধ্যে একজন ডি রুপা। আবার তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই মহিলা আই পি এস অফিসার সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব এক্টিভ থাকেন। মাঝে মাঝেই তিনি সাম্প্রতিক বিষয় টুইটারের পোস্ট করে থাকেন। পোস্ট করার উদ্দেশ্য সকলের মতামত জানা। এবার টুইটারে তিনি একটি পোল তৈরি করেছিলেন, যা পুলিশের সম্পর্কেই।এই পোলে তিনি চারটি অপশন টুইটার ইউজারদের সামনে তুলে ধরেন। পুলিশের সম্পর্কে মানুষের অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছিলেন তিনি।
সৎ এসপি
বিস্ময়করভাবে এই পুলিশ অফিসারকে এতটাই মানুষ পছন্দ করেন যে, তার এই ভোটাভুটিতে ১১ হাজার ৫৪৪ জন মানুষ অংশ নেন এই পর্যন্ত। কিন্তু শতকরা ৫১ ভাগ মানুষ পোলের নেগেটিভ অপশনে ভোট দিয়েছিলেন। অর্থাৎ পুলিশ সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ। অপরদিকে শতকরা ২৮ ভাগ মানুষ পুলিশ সম্পর্কে তাদের পজেটিভ অভিজ্ঞতা অপশনটি নির্বাচিত করেছিলেন।


উল্লেখ্য ডি রুপা সেই আইপিএস অফিসার যিনি ২০০৪ সালে একটি ওয়ারেন্ট মামলায় কর্ণাটক থেকে উমা ভারতীকে গ্রেফতার করার জন্য বেরিয়ে পড়েন। অবাক হবেন শুনলে যখন উমা ভারতী মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তখনই তাকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেন এই সাহসী মহিলা। যদিও ডি রুপার আসার খবর শোনা মাত্রই উমা ভারতী মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। ২০০৩ সালে যখন উমা ভারতী মুখ্যমন্ত্রী হন তখন তার বিরুদ্ধে একটি জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট জারি হয়। ডি রুপা এমন একজন আইপিএস অফিসার যিনি ভিভিআইপির সাথেও আপোষ করেন না।

তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার খুব কাছের মানুষ বলে পরিচিত শশীকলা জেলের মধ্যে ভিভিআইপি সুবিধা দেওয়ার বিপক্ষে তিনি সোচ্চার হোন। ডি রুপা একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন যাতে তিনি লিখেছিলেন, জেলের আধিকারিকরা দুই কোটি টাকা নিয়ে জেলের মধ্যে শশীকলার জন্য একটি রান্না ঘর তৈরি করেছেন। তাছাড়াও নানান দুর্নীতি সম্পর্কে মাঝে মাঝেই তাকে সোচ্চার হতে দেখা যায়। তা সে যেই হোক না কেনো। তার সঙ্গে কোনো আপোষ করতে শেখেননি
এই মহিলা অফিসার। তাই তাকে সকলে ভারতের লেডি সিংঘাম অফিসার নামেও ডাকেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ৮০০০ ছাত্রকে পিছনে ফেলে ১৬ বছরের ভারতীয় জিতলো ২.৯ কোটি টাকা

Check Also

কুমিল্লায় ধর্ষণ

শিক্ষকের ধর্ষণে মা ৭ম শ্রেনির ছাত্রী, চাচার ধর্ষণে মা ভাতিজি

কুমিল্লায় ধর্ষণ – শিক্ষক কিংবা নিকট আত্মীয় কারো কাছেই কি নিরাপত্তা নয় নারীরা?কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কোচিং …