সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: এমন দৃশ্য যে পৃধিবীর মানুষকে দেখতে হবে তা হয়তো কেউ আঁচ করতে পারেননি। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে ক্ষুদার্থ ছানার মুখে মা-পাখি সিগারেটের পরিত্যক্ত টুকরো তুলে দিচ্ছেন। এমন দৃশ্য সত্যিই বিরল। পাখিদের এই করুণ কাহিনী ফুটে উঠেছে দুটি ছবিতে। প্রকৃতিকে রক্ষা করতে মানুষ যে ব্যর্থ তারই বড়ো উদাহরণ এই ছবি দুটি।
সমুদ্র নিয়ে সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই সতর্কবাণী শুনিয়ে আসছেন। তারা বলছেন, আমরা সমুদ্র থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণে মাছ ধরছি ঠিক তার দ্বীগুণ আবর্জনা ফেলছি।
গত সোমবার পাখিদের সিগারেট মুখে ধরে থাকার দৃশ্য ফেসবুকে পোস্ট করেন কারেন ম্যাসন। একটি ছবিতে তিনি ক্যাপশান দেন, ‘যদি আপনি ধূমপান করেন, অনুগ্রহ করে সিগারেটের টুকরোটি যত্রতত্র ফেলবেন না।’ অপর একটি ছবিতে তিনি লেখেন, ‘ছানার মুখে অখাদ্য তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে মা-পাখি । আমাদের এখনই এই সমুদ্রতট পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। সমুদ্রকে বিশাল একটা অ্যাশট্রে বানানো বন্ধ করতে হবে।’ কিন্তু কারেন ম্যাসনের এই আওয়াজ কি কারও কানে পৌছেছে।
সমুদ্রকে যেভাবে আমরা প্রতি নিয়ত ধ্বংশ করছি তার নানান উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে। সমুদ্রী-ঘোড়া বা সি-হর্সের এমন একটি করুণ দৃশ্য দেখেছিলাম আমরা। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি সি-হর্স এয়ার বাড বা কানে দেওয়া কাঠি নিজের লেজ দিয়ে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। জাস্টিন হফম্যান ছবিটি তুলেছিলেন ইন্দোনেশিয়ার সুম্বাওয়া দ্বীপে।
ভুল করে কচ্ছপের পলিথিন খাওয়ার মর্মান্তিক দৃশ্যটি কি করে ভোলা যাবে। শেষ পর্যন্ত কচ্ছপটি পলিথিন ব্যাগটি গিলতেও পারেনি বাইরে বের করতেও পারেনি। কিছুদিন আগে একটি মৃত তিমির পেট থেকে বেরিয়েছিল ৯০ পাউন্ড নানান ধরনের প্লাস্টিক। পরিবেশ বিদরা জানাচ্ছেন, প্রকৃতিকে ধ্বংশ করার খেসারত আমাদের দিতে হবে একদিন। তারা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ৩৫০ লক্ষ টনেরও বেশি প্লাস্টিক তৈরি হচ্ছে। সবচাইতে ভয়ের বিষয় সেই প্লাস্টিকের এক চতুর্থাংশ শেষ গন্তব্য হচ্ছে জলাশয়। ভবিষৎ বলবে, আমরা ঠিক কত দিন পর বুঝতে পারবো প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল ও দামি বাড়ি : চোখ জুড়িয়ে যাবে
Check Also
অটো চালকের ছেলে ভারতের কম বয়সী আইএএস অফিসার
সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: আইএএস অফিসার হওয়া এই দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণদের স্বপ্ন। এর জন্য …