সবার খবর, ডিজিট্যাল ডেস্ক: ধূমপান যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর তা আজ আর কারও জানতে বাকি নেই। কিন্তু ‘আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান’ এর মতোই ধূমপায়ীর সংখ্যা ভারতবর্ষে দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভারতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে মহিলা ধূমপায়ীর থেকে পুরুষ ধূমপায়ীর সংখ্যা অনেক বেশি। গ্রামে-গঞ্জে এখনও সচরাচর মহিলারা ধূমপান করেন না খুব একটা। তবে একদমই যে করেন না তা ভাবলে ভুল হবে। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বা উচ্চ শিক্ষিত মহিলাদের ধূমপানের দিকে বেশি ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে ইদানিং আরও বেশি করে। মনোবিদরা বলছেন, তাদের কাছে যে সমস্ত মহিলারা আসেন, তারা বেশির ভাগই উচ্চ শিক্ষিত। তাদের প্রধান সমস্যা মানসিক চাপ। আর এই মানসিক চাপ কমাতেই অনেকে ধূমপান বা অন্যান্য তামাক জাতীয় দ্রব্যের দিকে আকৃষ্ট হন।
ভারতের স্বাস্থ্য-মন্ত্রক একটি সমীক্ষার পর যে তথ্য জানায়, তা শুনে চমকে ওঠার মতোই। ভারত মহিলা ধূমপায়ীদের সংখ্যার নিরিখে পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানটি দখল করে আছে আমেরিকা। ভারতের স্বাস্থ্য-মন্ত্রকের দেয়া তথ্য থেকে আরও জানা যাচ্ছে, সরকারের জনসচেতনতা মূলক প্রচারের ফলে ভারতে সামগ্রীক ধূমপায়ীর সংখ্যা কিছুটা হলেও কমেছে। ২০১৪-২০১৫ বর্ষে ৯৩.২ বিলিয়ান(1b=100cr) সিগারেট স্টিক পুড়েছিল। যা ২০১২-২০১৩ এর থেকে ১০ বিলিয়ান কম। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ১৯৮০ সালে ভারতবর্ষে মহিলা ধূমপায়ীর সংখ্যা ছিল ৫০ লক্ষ ৩০ হাজার। যা ২০১২ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ২০ লক্ষ ৭০ হাজার। আরও একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, আমেরিকা ও চীনে মহিলা তামাক সেবনকারীর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু ভারতে সেই সংখ্যা অধিক হারে বেড়েছে। ২০০৯-২০১০ সালে ২৪% পুরুষ ও ১৭% মহিলা ধোঁয়াহীন তামাক সেবন করতো। বিষেশজ্ঞরা বলছেন, তামাক সেবনে এখনই যদি লাগাম টেনে না ধরা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও জাতীয়-জীবনে অনেক দুর্দিন অপেক্ষা করছে। তাঁদের মত, যে-কোনো তামাক জাতীয় দ্রব্যের ওপর আরও অত্যাধিক কর আরোপ করতে হবে সরকারকে। তবেই ধূমপায়ী বা তামাক সেবনকারীর সংখ্যা কিছুটা রাশ পেলেও পেতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশাল সাহায্য ফিলিস্তিনকে ; আমেরিকার মাথা ব্যাথা বাড়ালো ইউরপীয় ইউনিয়ন !
Check Also
সড়ক পরিবহন আইন – দুর্ঘটনা হলেও ক্ষতিপূরণ পাবেন না যাত্রী
সড়ক পরিবহন আইন – নতুন সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রী ও পথচারীর বীমা ছাড়াই গাড়ি চলতে …