সবার খবর, নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে অনেক ধরনের সাধু -এর বর্ণনা আমরা দেখতে পায়। আমরাও আমাদের সমাজে অনেক ধরনের সাধু দেখেছি। এরা বিভিন্নভাবে নিজস্ব কায়দায় কাজ কর্ম করে থাকে। এইসব সাধকদের জীবন দেখে মনে হয়, তারা বিচিত্র পদ্ধতিতে দিন যাপন করেন কি ভাবে? সাধুদের বিষয়ে প্রায় বেশিরভাগ কথায় রহস্যে মোড়া থাকে। আজ আমরা আপনাদেরকে খুবই রহস্যময় সাধুদের ব্যাপারে বলতে চলেছি।
আপনারা নিশ্চয় নাগা সাধু সম্পর্কে অনেক শুনেছেন। নাগা সাধুরা সমাজে বাস করেন না। পুরুষ নাগা সাধু নয় আজ আমরা মহিলা নাগা সাধুদের সম্বন্ধে জানতে চলেছি। আপানাদের মনে হতে পারে মহিলা নাগা সাধুর কথা তো আমরা শুনিইনি কোনোদিন। যখনই আমাদের সমাজে তাদের সম্পর্কে কিছু জানতে চেষ্টা করা হয়, তখন বলা হয় যে কেউ এ সম্পর্কে কিছুই জানে না। অনেক মানুষ আবার বলে যে, কোনো মহিলা নাগা সাধুই নেই। সত্যি জানার পর আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
মহিলা নাগা সাধু হতে চাইলে, আগে তাকে ৬ থেকে ১২ বছর ধরে কঠিন ব্রহ্মচার্য অনুসরণ করতে হবে। একজন মহিলা সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য, তার গুরুকে বিশ্বস্ত করতে হবে যে, তিনি অমহিলা ব্রাহ্মচার্য অনুসরণ করতে পারেন। তারপর তিনি গুরু মহিলা নাগার দীক্ষা নেন। শুধু এই নয়, সাধু হওয়ার পূর্বে তাকে তার শরীর দান করতে হয়, সাধারণভাবে এটি মৃত্যুর পরে করা হয়। মহিলা সাধু হওয়ার সাথে সাথে মাথা ন্যাড়া করা বাধ্যতামূলক, তারপর তাকে নদীতে গোসল করানো হয়।
নাগা মহিলা সাধুদেরকে পরিবারের মায়া ত্যাগ করার দীক্ষা দেওয়া হয়। পরিবারের মায়া ত্যাগ করে ভগবানের জন্যেই নিজেক সমর্পিত করা লাগে। নাগা মহিলা সাধু হওয়ার পর সবাই তাকে মা বলে ডাকেন। সাধারনভাবে, পুরুষ নাগা সাধু নিরবস্ত্র থাকেন কিন্তু মহিলা নাগা সাধু গেরুয়া-হলুদ রঙের কাপড় পরে থাকেন। এই পোষাক পরে তারা সমস্ত কাজ কর্মও করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ধনী মুসলিম দেশ পরিচিতি । একটি করে গাড়ি প্রত্যেকের আছে !
Check Also
সড়ক পরিবহন আইন – দুর্ঘটনা হলেও ক্ষতিপূরণ পাবেন না যাত্রী
সড়ক পরিবহন আইন – নতুন সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রী ও পথচারীর বীমা ছাড়াই গাড়ি চলতে …