সবার খবর, হেল্থ ডেস্ক: মহিলাদের মাসিক একটি জটিল প্রাকৃতিক সমস্যা। যদিও স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে মহিলাদের জন্য তাদের নিয়মিত মাসিক খুব গুরুত্বপূর্ণ। মহিলারা মাসিক বা ঋতুচক্র চলার সময় অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেকের আবার এক মাসে দুই থেকে তিন বার মাসিক হয়। কিন্তু সঠিক সময়ে যেনো মাসিক হয় তা কিভাবে নিশ্চিত করবেন? এই ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ না হলে করনীয় কি? বা কি কারনে অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে? চলুন আজ বিস্তারিত জেনে ফেলি কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে মাসে একের অধিক বার মাসিক হলে বন্ধ করা যায়।
মাসিক বন্ধ না হলে করনীয় কি?
চিকিৎসা করার আগে আমদের প্রথমে জানতে হবে ঠিক কি কারনে অনিয়মিত মাসিক হচ্ছে? অনিয়মিত মাসিক হলে বুঝবেন আপনার দেহে কিছু পরিবর্তন আসছে। হতে পারে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে অথবা ওষুধের অত্যধিক প্রভাব । সুতরাং প্রাথমিকভাবে আপনি এর জন্য মাসিক বন্ধ হওয়ার ঘরোয়া উপায় জেনে তা প্রয়োগ করতে পারেন।
পেঁপে খেলে ঋতুচক্র সঠিক সময়ে হয়
নিয়মিত প্রায় দুই মাস আধ পাকা পেঁপে খেতে থাকুন। এটা জরায়ুর কোষকে সঠিক ভাবে সংকুচিত হতে সাহায্য করবে। ফলে আপনার মাসিক সঠিক সময়ে হবে। কাঁচা আঙুর খেলেও অনেক ক্ষেত্রে মাসিক সঠিক সময়ে হয়ে থাকে।
নিয়মিত মাসিকে আদার রসের উপকারিতা
ছোটো ছোটো টুকরো করে আদা কেটে ফেলুন। এবার আদাগুলি জলে দিয়ে গরম করে নিন। আপনি চাইলে আপনার স্বাদ মত এতে চিনিও দিতে পারেন। এই আদা মিশ্রিত জল গরম অবস্থায় পান করুন। দেখবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার মাসিক নিয়মিতভাবে হতে শুরু করেছে।
১ মাসে ২ বার মাসিক বন্ধ করতে হলুদ
এর আগেই বলেছি শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারনে অনেক সময় মাসিক অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। হলুদ প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরের এই হরমোনগুলির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং সঠিক সময়ে মাসিক হতে সাহায্য করে। তাই এক চতুর্থাংশ চামচে হলুদ গুঁড়া এবং সমপরিমান মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করুন।
ধনিয়া পাতার রস দূর করবে অনিয়মিত মাসিক
দিনে অন্তত তিন বার ধনিয়া পাতার রস সেবন করলে অনিয়মিত মাসিক থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। গাজরের রস খেলেও উপকার পাবেন।
অনিয়মিত মাসিকে অ্যালোভেরার রস
অ্যালোভেরার রস অনিয়মিত মাসিক অনেকটাই বন্ধ করতে সক্ষম। তাই অ্যালোভেরার রস বা জুস প্রতিদিন পান করুন খুব উপকার পাবেন।
অনিয়মিত মাসিক বন্ধ করতে লেবু
পিরিওড্স আসার এক বা দুই সপ্তাহ আগে দুটি লেবুর রস খালি পেটে পান করুন। মনে রাখবেন লেবুর রসে কোনো ধরনের জল মেশানো চলবে না। চাইলে এতে আপনি লবন দিতে পারেন। অনেকেই এর ব্যবহারের ফলে উপকার পেয়েছেন।
শশা এবং তরমুজ
শশা এবং তরমুজ খুব ঠান্ডা জাতীয় একটি ফল। এক সপ্তাহ যাবৎ দিনে দুই বার খেলে এবং একবার এর জুস পান করলে অনিয়মিত মাসিক থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।
যাই হোক সব শেষে একটাই পরামর্শ আপনাদের জন্য। মাসিক যদি নির্দিষ্ট সময়ের দুই অথবা তিনি দিন আগে বা পরেও হয় ভয় পাবেন না। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নির্দিষ্ট দিনের সাথে যদি ছয় দিনের গ্যাপ থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। উপরের পরামর্শগুলি মেনে চলার পরেও মাসিক বন্ধ না হলে করনীয় কি? এর উত্তর একটাই, আপনি ডাক্তার দেখান।
Read More: পিরিয়ডের সময় জমাট বেঁধে রক্ত বেরনো কি অসুখ?
One comment
Pingback: মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার - ব্রণ দূর করার উপায় - জানতে হবে