সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: প্রতিটি বাবা মায়ের স্বপ্ন তার সন্তান তার থেকে অনেক সুন্দর জায়গায় পৌঁছাবে। তার থেকে মানে, পেশাগত দিক হতে পারে আবার অর্থনৈতিক দিকও হতে পারে। আসল কথা হল, সমস্ত বাবা-মায়েরা চান তার সন্তান সুন্দর ও সাবলীল ভবিষ্যতের অধিকারী হোক। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে হায়দ্রাবাদের কাছে কঙ্গরা কালান-এ। যেখানে টিআরএস-এর একটি জনসভা চলছিল। সেই জনসভাটি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন একজন ডিসিপি। হঠাৎ করে সেই জনসভাতে সেই ডিসিপি-র কন্যা এসে উপস্থিত হন। ওই কন্যা একজন আইপিএস অফিসার। কন্যাকে সেই জনসভায় আচম্বিতে দেখেই পিতা তার বস্ কন্যাকে স্যালুট করেন। এই ঘটনাটি সকলের চোখে পড়ে। এজন্যে ডিসিপি- পিতা ও আইপিএস কন্যা দু’জনেই সাময়িক অস্বস্তিতে পড়েন। কারণ অনেকেই এই ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করার পরে হাসাহাসি করেছিলেন। কিন্তু তাতে কি? সম্পর্ক তো বাড়িতে, আর Professionalism অফিসে বা কর্মক্ষেত্রে। মানুষ হাসলে কি হবে, ডিসিপি পিতার মুখে সেদিন ছিল একজন গর্বিত পিতার ও আইপিএস কন্যার বাবার স্মিত হাসি। নবগঠিত তেলেঙ্গানা রাজ্যের সেই মেয়েটির সাফল্য পিতার কাঁধটিকে যেন অনেকটাই মজবুত করে দিয়েছে।
সেদিন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএস-এর একটি জনসভা ছিল। এইজন্যে উচ্চপদস্থ সমস্ত পুলিশ অফিসারদের ডিউটিও ভাগ করা ছিল। ডিসিপি এআর উমামেশ্বর শর্মার ডিউটিও সেখানেই ছিল। পিতার জন্য সেইদিনটি ছিল খুব গর্বের। ডিসিপি এআর উমামেশ্বর শর্মার আইপিএস মেয়ে সিন্ধু শর্মাও উপস্থিত ছিলেন।
তাঁকে স্যালুট জানাতে ডিসিপি পিতা বিন্দুমাত্র দেরি করেননি। এআর উমামেশ্বর শর্মা গত ত্রিশ বছর থেকে পুলিশে কর্মরত আছেন। তার মেয়ে সিন্ধু গত চার বছর আগে আইপিএস হিসাবে কাজে নিয়োজিত হন। সিন্ধু শর্মা তেলেঙ্গানার জগতিয়াল জেলার এসপি বা পুলিশ সুপার।
উমামেশ্বর শর্মা বলেন, মেয়ে চার বছরের কর্মজীবনে আমি এদিনই প্রথমবারের মতো সামনা-সামনি হই। এমন অবস্থায় পড়ে আমি মোটেও বিচলিত নই। বরং নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি।
আরও পড়ুন: ফাঁসি দেওয়ার সময় জল্লাদ অপরাধীর কানে যেসব অদ্ভুত কথাগুলি বলে থাকেন