ঘুমঘোর আকাশলীনা ![]() |
দাগ ২৮ দুঃখানন্দ মণ্ডল ![]() |
---|---|
যাকে আমি প্রতিদিন স্বপ্নে এতোবার প্রেম নিবেদন করি, যার হাতে তুলে দিই বৃষ্টির এক একটা দানা, তার ছায়াকে রাস্তা থেকে তুলে এনে সাজিয়ে রাখি ড্রয়িং রুমের ফটো ফ্রেমে, তাকে আমি কি করে অমসৃণ বাস্তবে এনে আমার প্রত্যাশার ওপর দাঁড় করাই! এক শূন্য থেকে অন্য শূন্যে, রক্তক্ষরণ থেকে আত্মহননে, |
ভেঙে যাচ্ছে নদীর কূল স্রোত অনবরত টেনে নিয়ে যাচ্ছে মাটি। ক্রমশ: জমিন হারাচ্ছে ভূমি একসময় নয়নজুলি স্পর্শ করবে ভাঙন শুধু পরিসর, অনেক দুরত্ব সম্পর্ক নামক সুতাটির দৈর্ঘ্য ছুঁতে পারেনি মোহনাস্থিত মাটি। একটা সমাপ্তি রেখা |
সমর্থনপর্ব বিশ্বজিৎ মণ্ডল |
![]() |
---|---|
বেমালুম ভিজে যাবার পর ডাকি_______ আয় রুমেলা,গহন শঙ্খরাতে মেতে উঠি শান্ত চন্দ্রবোড়া যাবতীয় তৃষ্ণা মুছে, মেলে ধরি______ প্রলোভন বেঁধা ব্যাধের শহর….. এখানেই বিদ্ধ হই ,শ্রমজীবী রাত জুড়ে অদূরে ঐ তো,আমাদের তুঘলকী বিকেল… |
অরবিন্দ চক্রবর্তী
সাবান তালাশের কসরত
টিনেজ স্কুলের মাঠে চাঁদ দেখাদেখির পিরিয়ডে আপনি ফিজিক্সের অধ্যাপক। প্রাণিজগৎ বিষয়েও আপনার ব্যাপক আগ্রহ, ব্রহ্মাণ্ডের কেউ ছিলেন না বলে দীর্ঘশ্বাসরোগীর পাশে তালগোল মানত করেন।
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মন খারাপের দিনগুলো একমাত্র ঘরকে আর বুঝতে দেবেন না-যাবেন কচিকাঁচার আসরে। সেখানে দেখলেন একগুচ্ছ বউসমাজ ছেলেমেয়েদের মতো খেলছে, আপনি দুধভাত হয়ে যেতে চাইলেন।
একমাঠ হাসাহাসি হলো। আঁচ করলেন, পুকুরে তারা সাবান হারাতে পারদর্শী। জ্যোতিষশাস্ত্রে আপনার বেসরকারি দখল থাকায় বুঝে নিলেন, পুকুরে মাছ নেই, সুযোগ রয়েছে চাষের, এক পশলা বরগা পেলে হয়।
একাকার স্বভাবে একদিন বন্যা এল, ঘরে ঘরে বর্ষা। সে বছরেই আপনি শরীরশাস্ত্র সহায় করে ‘ছোট্ট কোথায় টেনিস বল… ছোট্ট কোথায় টেনিস বল…’ বন্দীশ করতে করতে সাবান খুঁজতে নেমে গেলেন।