ছোটগল্প
Illustration: Preety Deb
সকাল থেকে বাড়িতে তাফাল চলছে। নতুন রান্নার লোকটার আজ আসার কথা ছিল কিন্তু তাঁর পাত্তাই পাওয়া গেল না। পঁয়ষট্টি বছরের অনিমার পক্ষে ওই ভারী শরীর নিয়ে সারা বাড়ির রান্নার দায়িত্ব নেওয়া বড় বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। আর রান্নার যা ফিরিস্তি! মেঘনাও দুটো বাচ্চা নিয়ে সারাদিন হিমশিম খায়। তেমন বড় নয় কেউই। বড় মেয়ে-মিলির চার আর ছোটো— তিন্নির সবে দেড় বছর হল। বাচ্চা সামলানোর থেকে অনিমার রান্নাবান্নার হ্যাপা অবশ্য কম মনে হয়। কখন কে পটি করবে—হিসি করবে- বমি করবে তাঁর ঠিকঠিকানা নেই। তারপরেই ক্ষণে ক্ষণে বায়না- কান্না। দিনে রাতে ঘুম নেই। তাঁর ওপর টাইমে টাইমে খাবার খাওয়ানো… ফলের রস… ভিটামিন… ওষুধ ইত্যাদি ইত্যাদি। আর অত ঝক্কি নিতে পারেন না অনিমা। এর মধ্যে আবার ছেলেমেয়েগুলো হুজুগ তুলেছে শিল্পমেলায় যাবে বলে। বেলা বারোটায় বেরোনো মানে এক প্রস্থ ভাত খাইয়েই পাঠানো উচিৎ। বাড়ির সকলের জন্য একটু ভাতে ভাত বা খিচুরি করে দিলেই হয় কিন্তু সেখানে ফের বাধ সেধেছে তাঁর নিজের মেয়ে। অদ্রিজাও নাকি বরকে নিয়ে এক্ষুনি চলে আসছে মায়ের কাছে। এখানেই দু-মুঠো খেয়ে একসঙ্গে সবাই মিলে হই হই করে শিল্প মেলায় যাবে। বাড়ির লোককে যা হোক যেমন তেমন করে খেতে দেওয়া যায় কিন্তু জামাইকে? অতঃপর সাতসকালেই মাথাটা গেছে গরম হয়ে। ফলে সকাল থেকেই উচ্চকিত আওয়াজে বাড়ি সরগরম। তবু অলীক বাচ্চাগুলো খানিক সামলে দিল বলে মেঘনা হাতে হাত লাগাল। যাইহোক, কোনও মতে উতরে গেল খাওয়াদাওয়ার পর্বটা।
তবে অনিমা কিছুদিন ধরেই দেখছেন তাঁর ছেলে মানে অলীক বেশ অন্যমনস্ক। কিছু নিয়ে চিন্তাগ্রস্থ। চাকরির ওখানেও কিছু গণ্ডগোল চলছে। সেদিন ওর বাবার সাথে কিছু একটা আলোচনা করতে শুনেছিলেন অনিমা। মাস গেলে কি সব টার্গেট ফুলফিল করতে হয়। এমাসে নাকি এখনও চারটে বাকি! অতনু অর্থাৎ অলীকের বাবা দুজন বন্ধুর ফোন নাম্বার দিয়েছিলেন। তবে বলতেও কসুর করেননি ছেলেকে, -এসব করতে বড় মানে লাগে রে খোকা। তুই অন্য চাকরি দেখ। মাথাটা নীচু করে ছিল অলীক। অনিমার বড় মায়া হয় ছেলেটার জন্য। অল্প বয়সে প্রেমে পড়ে হট করে বিয়ে করে বসলো।একটা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে। হাতে নেহাত খারাপ পায় না। মোটামুটি ভালই চলে যাচ্ছিল। কিন্তু বাচ্চা দুটো হবার পরে যেন এই মাগ্যিগণ্ডার বাজারে সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। দিনে দিনে খরচা বাড়ছে। টাকার চাহিদা যেন দ্বিগুন চতুর্গুণ হয়েই চলেছে। বাড়তি আয়ের জন্য অলীক তাই আরও নানারকম খুচরো কাজ করার চেষ্টা করে। তবু যেন সামাল দিতে পারেনা। তবে ইদানীং ওর চাকরির জায়গায় বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে—এটা বিলক্ষণ। টের পাচ্ছেন অনিমা। নাহলে সংসারের হাজারো ঝামেলার মধ্যে নিজের অসুবিধের কথা কখনই জানাবে না তাঁর ছেলে। মরে গেলেও না।
[Read More: রবিবারের ছোটগল্প রামদুলালের ঢোল লিখেছেন মিলন বনিক]
মেলাটা মিলনমেলা প্রাঙ্গনে হচ্ছিল। পায়ে পায়ে হাঁটতে হাঁটতে মিলিকে নিয়ে আচমকাই একটা স্টলের সামনে এসে পা আটকে গেল অলীকের। অদ্রিজা আর মেঘনা দুজনে নির্ঘাত কোনও কাপড়জামার স্টলে ঢুকেছে। তিন্নিকে সামলাচ্ছে অদ্রিজার বর সমীক। স্টলটার সামনে ভিড়ও ভালই। স্টলের কর্মীরা তাঁদের রান্না করা বিরিয়ানি, আলুর দম চেখে দেখতে বলছে। এমন এক যন্ত্র দিয়ে বানানো যার দরুন এমন লোভনীয় খাদ্য মাত্র আধ ঘণ্টায় প্রস্তুত! তিনটে আইটেম একসঙ্গে রান্না করা যায়। আবার রান্না বসিয়ে অনায়াসেই অন্য কাজ করা সম্ভব। নিজে থেকেই লাল আলো জ্বলে উঠবে এবং জানান দেবে যে রান্না হয়ে গেছে। ন্নাহ! দেখতেই হচ্ছে ব্যাপারটা। এমন একটা জিনিস বাড়িতে থাকলে মায়ের বেশ সুরাহা হবে। প্রয়োজনে মেঘনাও চালাতে পারবে। অনেক সময়ই তো মা–বাবারা বেড়াতে যান অথবা আত্মীয়স্বজনের বাড়ি গিয়ে কিছুদিন কাটিয়ে আসেন। তখন মেঘনা বেশ মুশকিলেই পড়ে। এই কাজকর্মের দরুন বাড়িতে কম বেশি একটা চাপান উতোর চলতেই থাকে। এইসব নানান হিসেব-নিকেষ করে অলীক শেষ পর্যন্ত একটা ইলেকট্রিক ষ্টীম কুকার বুক করেই দিল। মাসের শেষে একটু অসুবিধে হবে ঠিকই কিন্তু এটার সুদূরপ্রসারী এবং দীর্ঘমেয়াদী ফল পাবে বলে অলীকের আশা।
অদ্রিজা আর মেঘনা সেজেগুজে প্রজাপতির মত এ স্টল ও স্টল ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তাদেরকে ফোন করে ডেকে নিল কারণ মেঘনাকেই ব্যাপারটা দেখে শুনে নিতে হবে। মেঘনা অবশ্য প্রথমে এসেই রেসিপি বইটা হাতে তুলে নিল। ঠ্যাকায়-বেঠ্যাকায় ভাত-ডাল-খিচুরি-ডিমসেদ্ধ তো আছেই। গ্যাস ফুরিয়ে গেছে… কুছ পরোয়া নেহি। আছে না ইলেকট্রিক স্টিম কুকার। আর অতিথি সমাগম হলে বিরিয়ানি-মটন কষা… পোলাও… পনীর বাটার মাসালা বা শীতের মরসুমে কেক… পায়েস… পুডিং। উল্লুস!মেঘনা পুরো ফিদা ওই স্টিম কুকারে। এরকম একটা আধুনিক কিচেন গেজেট কিনতে পেরেও ভেতরে গনগনে সুখ অনুভব করছে মেঘনা। মিলির ইস্কুলে গিয়ে জমিয়ে গল্পটা করতে হবে।
পরদিন সন্ধে নাগাদ ডেমো দিতে কোম্পানির ভদ্রলোককে বলা হয়েছিল। তখন সবাই থাকবে। সকলেই বুঝেশুনে নিতে পারবে। যার যা প্রশ্ন আছে করবে। কোন ভুলত্রুটি থাকলে একজনের চোখ এড়ালেও অন্যজনের অনুসন্ধিৎসু মন ঠিক নির্দেশ করবে সেটা। সেই উদ্দেশ্যেই সবাই মিলে বসলো অলীকদের বড় ঘরটায়। ভদ্রলোক তিনটে বড় ঢাকনা দেওয়া পাত্র বার করলেন। পাত্রগুলো কতকটা মোমো বানানোর জন্য যেরকম পাত্র ব্যবহার করা হয় সেরকম দেখতে। তিনটে পাত্র পরপর বসিয়ে কি কি করা সম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে তা বিশদে ব্যাখা করলেন। টাকার পরিমাণ শুনে যখন অনিমা এবং অতনু খুঁতখুঁত করছেন তখন তাঁদের বাড়তি আকর্ষণের জন্য জানালেন ভদ্রলোক,
-এই যে আপনাদের যে বয়স হয়েছে… বাইরের খাবার তেমন সহ্য হয় না-। অনিমা মুখের কথা কেড়ে নিয়ে সপাটে বলে উঠলেন।
-আমরা বাইরের খাবার খাই না খুব একটা। যা পারি বাড়িতে রেঁধেবেড়েই তো খাই।
-আহা আমি তো সে কথাই বলছি মাসিমা। এই যে বিষযুক্ত বাইরের খাবার এখন… তা খেয়ে শরীর খারাপ করবেন কেন? বেড়াতে গেলেও সঙ্গে নিয়ে যান।
-তাঁর মানে?
আগ্রহ দেখাল অদ্রিজা। বৌদির জিনিসটা হয়েছে দেখার পর থেকেই তাঁর মনেও সাধ জেগেছে। নেহাত সমীক আমল দেয়নি তাই।
-এগুলো তো পোরটেবেল। আলাদা আলাদা করে লাগেজের সঙ্গে নিয়ে যাবেন। সঙ্গে চাল ডাল আলু– এইসব সংগ্রহে রাখলেন। হোটেলের ঘরে এসেম্বেল করে রেঁধে ফেললেই হল। এ তো আর আগুনে চলে না। ইলেকট্রিকে চলে। কোনও সমস্যাই হবে না। অথচ আপনার পয়সাও বাঁচল। শরীরও সুস্থ থাকল।
তখন মেঘনাই পাকা গিন্নীর মত বলল,
-আপনি তো সত্যিকারের একটা ডেমো তো দেবেনই। মা, তাহলে ভাত, ডাল, ডিমসেদ্ধ করে ফেললেই হয়।
মাথা নেড়ে সম্মতি জানালেন অনিমা। সব সামগ্রী পরিমান মত ধুয়ে পরিষ্কার করে ভদ্রলোকের সামনে দিল মেঘনা। রান্নাঘরে না থাকলেও ডাইনিংয়ে তাঁদের প্লাগ পয়েন্ট আছে। ভদ্রলোক চটি পরে এবং কাঠের টুলের ওপর রেখে রান্না বসাতে বললেন সবসময়। কাঠের একটা বড় টুল এমনিতেও লাগত কারণ না হলে কুকার থেকে নির্গত তার প্লাগ পয়েন্ট অবধি পৌঁছত না। কিন্তু রান্না শুরু হবার এক মিনিটের মাথাতেই বিপত্তি! বেশ জোরে একটা শব্দ করে সব অন্ধকার হয়ে গেল। মুহূর্তেই টের পাওয়া গেল যে ফিউস উড়ে গেছে। সবাই রৈ রৈ করে উঠল। কুকার চালানোর জন্য যে হাই ভোল্টেজের সকেট দরকার তা তাঁদের রান্নাঘরে বা ডাইনিংয়ে নেই। আছে হয়তো ফ্রিজের পেছনে। পরিস্থিতি দেখে প্রমাদ গুনল মেঘনা। সে বুঝতে পারছে যতবার কুকার চালানোর প্রয়োজন হবে ততবার ফ্রিজ সরিয়ে এই মেশিন চালাতে হবে! তা কখনো হয় নাকি? ছোট বাচ্চারা আছে– কোথায় কখন কে হাত দেবে! আর বলা বাহুল্য এইসব ঝক্কি তাকে একাই পোহাতে হবে। আধুনিক গেজেট নিয়ে শাশুড়িমা মোটেই মাথা ঘামাবেন না। আর একটুও দেরী না করে মেঘনা সোজাসুজি বলে দিল,
-এই কুকার আমরা নেব না।
-কি বলছেন ম্যাডাম— অ্যাডভান্স করা হয়ে গেছে।
-তাতে কি হয়েছে? আপনি পয়সাটা ফেরত দিন। আমরা নেব না এটা।
-আমরা অ্যাডভান্সের পয়সা ফেরত দিই না। তাছাড়া দাদা অ্যাডভান্স করে এসেছেন– ওনার কথার দাম নেই?
-দাদা তো আর বাড়ি থেকে এই কুকার চালাবেন না। উনি ওনার কাজে বেরিয়ে যাবেন। চালাব তো আমরা, বাড়ির মেয়েরা। আমাদের যদি সুবিধের চেয়ে অসুবিধে হয় বেশি তাহলে কি করি বলুন।
-অসুবিধেটা কোথায় দেখছেন ম্যাডাম।
-চোখের সামনে তো নমুনাটা দেখতে পেলাম— সারা বাড়ি অন্ধকার হয়ে গেল— আবার বলছেন অসুবিধেটা কোথায়?
-আরে! ও তো সামান্য ফিউস উড়ে গেল। দুই দাদা দেখুন ঠিকও করে দিয়েছে।
-ফিউস উড়ে যাওয়াটা আপনার কাছে সামান্য ব্যাপার হতে পারে। আমার কাছে নয়।
-একটা ভাল দেখে এক্সটেনশান করড কিনে নেবেন। তাহলেই হবে। আপনার অন্য কাজেও লেগে যাবে।
-জিনিস চালু হবার আগেই কত কি কেনার ফিরিস্তি দিচ্ছেন– এরপর পরিষ্কার করার জন্য আরও না জানি কি কি কিনতে বলবেন। তারপর রিপেয়ারিং—সারভিসিং—আর কত সামনে লিস্ট ঝুলছে কে জানে!
-আপনি ম্যাডাম অযথা রাগ করছেন!
-কিচ্ছু রাগ করিনি। আপনি আপনার এই প্রডাক্ট নিয়ে চলে যাবেন। ব্যাস!
-আচ্ছা মুশকিল তো আপনাকে নিয়ে! আপনি ছাড়া আর তো কেউ একথা বলছে না।
শুনেই মাথাটা তড়াক করে গরম হয়ে গেল মেঘনার।
-তাদেরকে চালাতে হবে না। আমাকেই ডিল করতে হবে তাই আমাকেই বলতে হবে। বেশ রুঢ় স্বরে মেঘনাও প্রতিউত্তর দিল।
-না না দেখে শুনেই নেওয়া উচিত। একে মাসের শেষ। হুট করে এতগুলো টাকা আটকে গেলে মুশকিল। তাছাড়া প্রথম থেকেই যদি গণ্ডগোল শুরু হয় সেটা তো ভাল কথা নয়। খোকার একটু রয়েসয়ে দেখেশুনে নেওয়া উচিৎ ছিল। হুজুগ একটা মাথায় উঠলেই হল এই ছেলের।
অতনু বৌমার সাথে সহমত পোষণ করলেন। আচমকা কোম্পানির ভদ্রলোক সরোষে বলে উঠলেন,
-একা আপনার মাসের শেষ। আমার মাসের শেষ নয়! এই মাসে চারটে বিক্রি করতে না পারলে আমার চাকরি থাকবে না জানেন। চারটে পেট চালাতে আমাকেও হয় এই বাজারে! মোটে দুটো হয়েছে। আর এইটা হলে তবু রক্ষে ছিল। আর একটার কথা তো ভাবছিই না। দেখি বলে কয়ে…। এটাও যদি না নেন…।
শেষের কথাগুলো নেতানো মুড়ির মত সম্পূর্ণ মিইয়ে গিয়ে বলা।
তার দিকে ছোঁড়া অপমানটা তখনও হজম করতে পারেনি মেঘনা। সেও সুযোগ পেয়ে বলে উঠল,
-তার দায় আমরা নেব কেন মশাই। আপনার টার্গেটের কোটা ভরবেন বলে আমাদের যা খুশি গছিয়ে দিয়ে যাবেন। সেটি হচ্ছে না।
-বলছিলাম যে…।
আচমকা অলীকের গলা শুনে সবই ঘুরে তাকাল অলীকের দিকে।
-অদ্রি তোরও তো পছন্দ ছিল ষ্টীম কুকারটা। এবার ভাইফোঁটায় আমি না হয় তোকে আগাম উপহার দিয়ে রাখলাম। আপনি দুটোই দিয়ে যাবেন কেমন!
আহত গলায় মেঘনা বলে উঠল,
-কি বলছ তুমি? আর এইসময় তুমি এত টাকা পাবে কোথায়?
-ওই এমারজেন্সি পারপাসে কিছু রাখা থাকে আমার! আর টার্গেটের ব্যথা আমি বুঝি…।
হতবাক হয়ে গেল মেঘনা শুনে। অপমানে তখনও তার কান দুটো ঝাঁ ঝাঁ করছে। চোখের জল সে রোধ করতে পারল না। দুদ্দার করে উঠে সে সেখান থেকে চলে গেল। একটা বাইরের লোকের কোটা পূর্ণ হচ্ছে না বলে কত দরদ আর সে যে কতদিন থেকে বাচ্চা দুটোর এল আই সি স্কীমের কথা বলছে… তাঁদের ঘরে একটা এসির কথা বলছে… সেসবে আমল না দিয়ে এখন কিনা…!
এক অজানা ব্যাথায় বুকের ভেতরটা মুচড়ে উঠল মেঘনার। বাচ্চা দুটো এই বাগবিতণ্ডার বাজারে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে। অতনু দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘড়ি দেখলেন– তার প্রেশার সুগারের ওষুধ খাবার সময় হল। অদ্রিজা-সমীক দুজনেই দুজনের মুখ চাওাচাওয়ি করছে। কিংকর্তব্যবিমূঢ়। অনিমা ভাবলেন-এই বেলা ওই ভেজা চাল ডালের ব্যবস্থা না করলেই নয়। যা গরম পড়েছে—পচে না যায়! তাছাড়া জামাই আছে…। ধীর পায়ে উনি রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালেন।
সামনে পড়ে রইল মহার্ঘ দুটো আধুনিক গেজেট।
আরও পড়ুন: রবিবারের ছোটগল্প চাঁদ ছোঁয়ার গল্প লিখেছেন সাগরিকা রায়