আউটডোর
কু ন্ত ল ম ণ্ড ল
জোড়া মণ্ডার মতো চ্যাপ্টা যত্রতত্র সেঁটে আছে।
ভাবি,শনি-রবি নেই, স্থান-কাল নেই, সময়– অসময় নেই ;
অফিস খুলে কী এত বোঝাচ্ছে সব!
আমার কাজ প্রয়োজন মতো ওদের পেনখাতা সরবরাহ আর
ছড়ানো ছিটানো প্রত্যেকটা ফাইল ঠিকঠাক গুছিয়ে রাখা,
কোনও ফাউল বা অফসাইড ধরতে এখানে যে আনা হয়নি আমায়,
সে জানি। এই নিয়ে বেশ আছি।
ট্রাফিক পুলিশের কায়দায় সিগন্যাল ওঠাচ্ছি, নামাচ্ছি।
কিন্তু কতকাল এভাবে আমি আর পাহারায় থাকব ওদের,
কতকাল শূন্যে থেকে বাজিয়ে যাব পাগলাঘণ্টা!…
লং ড্রাইভ
শি বা শি স চ ট্টো পা ধ্যা য়
তখনো সমুদ্র ছিল কাছে
ছিল সমুদ্রস্নানের পর তোয়ালে জড়িয়ে
বসে থাকা
এখন সুদূর এক গুম গুম গর্জনের মতো
লং ড্রাইভে আছড়ে পড়ে ঢেউ…
সফট ড্রিঙ্কস, সিগারেট, সচিত্র ক্যান্সার
জোছনা নেই-তুমুল আবহ এক
খাদঘেঁষা অন্তরালহীন
উপকূল পড়ে আছে-রোদের বিভূতি—ঢেউস্নান
কাঁধে ঢলে পড়ছে ঘুম ঘুম ভ্রমণসঙ্গিনী
ভাঙন
আমি তো ভেঙেছি সব।মেদ মাংস নিঙড়ে
নিঙড়ে গড়েছি এই যৎসামান্য আলোকমিনার
কিছু নেই, কেউ নেই।পিছোতে পিছোতেদাঁড়িয়েছি অন্ধকার খাদের কিনার
সত্যি নেই? শূন্যতার কাছেও নাকি আনখর ঋণী
তবু দেখ,বৃষ্টি নামে। দু-ফোঁটা চোখের জল
হারাতে পারিনি
পরবাসি পাখি-৭
সা ফি না আ ক্তা র
বহুকাল ছুঁইনি তোমায়
জটিল অংকের মতো তুমি ,
আমার ভয় ভয় লাগে বীজগণিত চিরকাল ভয়ের কারণ বলে-
অংকে কাঁচা আর মূর্খ থেকে গেছি মগ্ন হয়ে নগ্ন হাতে ময়না পোষা সহজ
তাকে বোল শেখানো যায়।
নতুন ছন্দ বাঁধা তাল শোনানো যায়
চুম্বনের তাপে তার ঠোঁটে ঠোঁট মেলানো যায় !
আতঙ্ক জেনেও কাদাজলে
বিনয়ের মতো ডুবে থাকা যায় না ।
ছুঁই ছুঁই বলেও প্রতি দিন -তোমাকে ছোঁয়া হয় না।
কবিতার ছবি: অনির্বাণ পাল
আরও দেখুন:অরুণ চট্টোপাধ্যায়ের থিয়েটার রিভিউ