না
ব ল্ল রী সে ন
তাকে বুঝি” না” বলে ডাকি
ফ্রিজের ভেতর রাখা অন্ত্যস্থ রাগ
কি করে তুমি তর্জমা করো
ঘ্রাণের শেকল খুলে কত যুগ শব্দকারা
মুক্ত করেছো, টেবিলের অন্য পার হতে কিভাবে
টেনে নিয়েছো পাথেয়,ট্রেন চলে গেলে পাহাড়ের আড়াল থেকে ফিরে আসে চাঁদের দাওয়াত
মেরুদীন আমি,অনঙ্গ আমার সেতার
খোলা তলোয়ার এই আদিম সপ্তাহ, কারুমোহানায়
চার হাজার বছর আগে সুমেরীয় মেয়েটি
তাকে লিপি শিখিয়েছিল, কি করে চাঁদের গায়ে ২৩৪ নং বাসের গুমটিতে এসে ২২ এর গলি ধরে
হেঁটে চলা যায়
তাকে বুঝি “না” বলে ডাকি,যতটা দূরের হলে
চশমা খুলে ও সেই বৈকাল হ্রদ দেখা যায়
আমাদের নিজস্ব চ্যানেল
বি প্ল ব গ ঙ্গো পা ধ্যা য়
প্রস্তাবিত বিদ্রুপের গা বেয়ে অল্প অল্প করে ফিরে এসো , ফিরে এসো এইখানে
সামান্য একটু বসো
চা করে আনি
তারপর আমাদের যন্ত্রণা মিশিয়ে
আমাদের অভিমান চুবিয়ে
রূপকথার ভেতর থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে নামবে স্তব্ধতা মিশ্রিত আল্পনা
হামাগুড়ি দিতে দিতে এক চ্যানেলের ভেতর অপেক্ষা করব অনন্তকাল
আমাদের নিজস্ব চ্যানেল
যেখানে সিগারেট মুখে নিয়ে দু:খ উগরে দিচ্ছে আমারই মতো কেউ
অনর্থ
তু ষা র কা ন্তি রা য়
ধরো, আঘাতেও বাজলো না সপ্তসুর;
প্রাসঙ্গিক শব্দের খানা-খন্দে
নাছোড় রাশিফল, জল, বয়স! স্তব্ধ
সন্ধ্যার মুহূর্ত। জনতা এক্সপ্রেস?
সে তো দেরি করেই আসে; তবু দ্যাখো,
তার পাঁজর ভর্তি যুবমেঘের হুল্লোড়,
ডানা খোলা শ্রাবণ সংক্রান্তির
গমগম কথোপকথন।
ওরা কি ইউক্লিডের উপপাদ্য জানে?
মহুয়া ফুলের গন্ধ?
আমি দশকথার হাওয়াগাড়ি চালাই
বাঁকের পর বাঁক পেরিয়েও বাঁকের নেশা যায়না;
বনগন্ধে ভরপুর ঢুলুঢুলু অর্গান বিধুর;
সোনামন! তর্ক কোরনা;
এসো, আসন্ন মল্লারের
পাঠ্যবিষয়ক উপ্যাখান প্রস্তুত করি
গূঢ় বার্তার স্বর–ব্যাঞ্জনে লিখে রাখি
অনর্থ, কথাপুরের মাজাকি, ভাঙচুর; আর
শৃঙ্খলাহীনের সংহিতা; দ্যাখো
আকাশে বিষবৃক্ষের চাঁদ …
কথা বলো ঈশ্বর
সীমান্ত হেলাল
চোখে চোখ রেখে কথা বলো ঈশ্বর…
চোখের কি মোজেজা আছে বিশ্বাসহীনতায়-
কোলাজ-উচ্চারণে ধ্যানভাঙ্গা সন্ন্যাসী
চোখ তুলে তাকায় ঘুম ঘুম আবহে
ঘুমে কি নিমগ্নতা আছে
বলো ক্ষুধার্ত কবর…
কবরের ক্ষুধা মিটবেনা এই জনমে
যদি মমিগুলো না গলে
চার ফোঁটা জলে…
কবিতার ছবি: অনির্বাণ পাল
আরও দেখুন: ছোটগল্প আকাশপ্রদীপ লিখেছেন মেঘমালা দে মহন্ত