
জিভ
মৃ ণা ল ব সু চৌ ধু রী
শিউলি বকুল নয়
দু’হাতের ফাঁক দিয়ে
ঝরে পড়ে টুকরো আগুন
অশালীন জিভের বিক্রমে
নষ্ট হয় দিনলিপি
মায়াবী মনন
মৃত্যুর শরীর জুড়ে
খেলা করে উচ্চারিত ঘৃণা
বোধহীন বিষাক্ত সন্ত্রাস
তবুও তো মন্ত্রপাঠ
জটিল সম্পর্ক নিয়ে ছায়াযুদ্ধে
ব্যঞ্জনাবিহীন কিছু
শব্দ নিয়ে খেলা
সূর্যাস্তের আলো মেখে
তবুও তো ভোরের আলোর লোভে
স্থির বসে থাকা
হেমন্তগুচ্ছ
পি য়া স ম জি দ
হেমন্তের অরণ্যে
পোস্টম্যান সেজে
বসে আছে শক্তি ;
তাকে সঙ্গ দিচ্ছে
বিনয় মজুমদারের
চিতা ফুঁড়ে জাগ্রত
একরাশ
অঘ্রাণের অনুভূতি ।
২
হেমন্ত সমাগত
পিছু পিছু
কার্তিকের-নবান্নের
কত স্মৃতিসভার গন্ধ।
৩
হেমন্ত মূলত এক
সিরিয়াল কিলার।
গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ শেষে
এবার হনন হবো আমি।
তোমাকে ফেরাতে চেয়ে
সু ম না দা স দ ত্ত
তুমি তো জানো, হৃদয়ের রীতি
এখানে অভিমানী মেঘ জমে
একটা দুটো কবিতার নিম্নচাপে
আকাশ তখন কান্না হয়ে ভাঙে।
ঘাসফড়িং এর পরমায়ু নিয়ে
যে সুসময় গেছে, তার সন্ধানে
আমি তো ক্ষয়ে যাচ্ছি কেবল
তোমার গিফ্ট করা শ্রাবণে শ্রাবণে।
তুমি কি জানো? একটা মৃত্যু
কটা বেঁচে থাকা খুন করে থাকে
একটা মৃত্যু রেখে গেলাম তাই
তুমি ফিরবে এই সম্ভবনার চৌকাঠে।
হয়তো তুমি ফিরেছ আগামীর অঘ্রানে
দরজায় রেখেছ দীর্ঘশ্বাসের শীত
কবিতায় বাড়ছে আমাদের অভাবী সংসার
কিন্তু আমি যে তখন মরসুমী অতীত।
আরও পড়ুন: ১৪ নম্বর গলি, রাজেশ চন্দ্র দেবনাথের ছোটগল্প