ছবি: অনির্বাণ পাল
আঙুল, তোমরা সব ভালো?
তৃ ষ্ণা ব সা ক
আঙুল, তোমরা সব ভালো?
আঙুল, তোমার মন ভার?
মাঝে মধ্যে আসতে তো পারো
দোষঘাট সমস্ত আমার?
এই যে তুলসী গাছে ধারা
এই যে ঝড়ের মুখে কুটো,
কাঠবেড়ালির পিছু পিছু
জুটে যায় রোজ একটা দুটো…
আঙুল, এসেই যাই যাই?
আঙুল উশখুশ উশখুশ
আঙুল বড্ড কাদাখোঁচা,
যা, যা, বাগান থেকে হুশ!
সংসার
দে বা শি স মু খো পা ধ্যা য়
রান্নাঘরকে বেড়িয়ে আসতে বললে
সে সুক্ত আর ধনেপাতার বড়ায় ফিরে যায়
আমার চোখ সারারাত তপস্যা করে
দেবী ফেরে না অস্থির লেপের গুহায়
কয়েকটা দুপুর সিনেমা আর সিরিয়াল
এ আঙ্গুল শুধু ফেসবুকের
আসলে জলের অন্তর বোঝে না
জাল
যাকে সে মাছ ভেবে ধরে
সে ধরা দিতেই জড়িয়ে নেয় বাঁধন
বাঁধ ভাঙবার সাধ্য নেই জেনে
অপেক্ষাটুকু ৪
ম হ ম্ম দ সা মি ম
কী রেখে যাবে তুমি ?
শুধু কিছু বেদনার চোখ !
যে চোখের ঐশ্বর্য্যে ধরা থাকবে এই জীবন ,
যে পলকের আশ্রয়ে থাকবে দুঃখের কাজল ?
অশ্রু জানে, না-পাওয়ার ভিতরেও প্রাপ্তি থাকে অনেক ।
অপেক্ষা জমিয়ে রাখি তাই এই যাপনের মাঝে , এই শূন্যের মিছিলে,
বাতাসে মিশে থাকা দীর্ঘশ্বাসের ভিড়ে।
যে ভিড়ের ক্যানভাসে আঁকা আছে আমাদের ভ্রমণ , বিক্ষতচরণ
দেখা যায় — কোনও এক সন্ধ্যা ছুঁয়ে
বিষণ্ণ পাখির মত ঘরে ফিরছ তুমি, সবুজ সাইকেলে।
আজ, এত পথ হেঁটে যখন
বিকেলের ছায়া প্রশ্ন করে আমায়- ‘কী রেখে যাবে তুমি ?’
বলা হয়ে ওঠে না,
তোমার জন্য রেখে যাব এই গোধূলির রং
রেখে যাব তোমার নীরবতার মত আকাশ
নিজ গৃহ, বাস্তব
অর্পণ পাল
তোমার উঠোন জানি, শব্দে পরাভূত।
কাক খুঁটে খায় গলিত বেদনা-ফল। মাটি-কাদা লেগে থাকা।
পাঠক আমার, হে প্রিয় উদাসীন,
ভুল স্পর্শে ধ্যান ভাঙে, ছত্রখান রান্না-আয়োজন।
এঁটো শব্দে ভরে ওঠে তোমার উঠোন।
আর তুমি হেরে যাও স্তব্ধ, স্থির, কুয়াশায় মোড়া কমা-পূর্ণচ্ছেদের কাছে।
আমিজানি, সব শব্দই হেরে যায় তোমার কাছে।
ব্যর্থ বাক্য বিন্যাসের গুঁড়ো লেগে থাকে তোমার শরীর জুড়ে।