ছবি: অনির্বাণ পাল
ছায়া
সো মে ন মু খো পা ধ্যা য়
রাস্তার ওপর পড়ে আছে ছায়া
যানের চাকায় পিষ্ট হয়েও
সরছে না একটুও,
বুকে চাপা পড়েও
ছায়ার মরণ নেই।
এই ইচ্ছা মৃত্যুর কাছে
ঢলে পড়ল পশ্চিমের আকাশ-বারান্দা
ছায়া আরো আবছা হতে হতে
ঘন হয়ে উঠল।
সকালে, সাদা বকের গায়েও দেখি
ছায়ার রঙ লেগে-খয়েরি ছোপ পড়েছে।
আধভেজা ভালোবাসা
নি বে দি তা ম জু ম দা র
জানালা খুলে আকাশ দেখতে গিয়ে
স্ক্রিনশট্ নিই তোর লেখা পংক্তির,
প্রতিটি শব্দকোষে অন্ধকারে মিশে যাওয়া নীলিমার ঘ্রাণ-
বুকে এসে লাগে ডুবে যাওয়া চাঁদের স্নিগ্ধতা;
চেয়ে আছি একদৃষ্টে কিছু এলোমেলো কথোপোকথনের
আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা একরাত জোছনার অপেক্ষার দিনগুলোয় ভিজে!
কেমন বয়ে যায় নিরন্তর
সুপ্তিভাঙা আমলকি ফলের মতো-
আপাত আলোর পাঁচ বাই তিন কাব্য জুড়ে;
হঠাৎ বৃষ্টিতে যেদিন একই ছাতায় অনেকটা হাঁটবার লোভে
বলেছিলাম,’আমার ব্যাগে শুধুই পরীক্ষার খাতা’
ছোঁয়াছুঁয়ি করে কাঁধে হাত,শ্বাসপ্রশ্বাসের উষ্ণ হাওয়ায় চুপচুপে হলাম দুজনে- সেদিন ও ‘খুব তাড়া আছে’ বলে শেষ টুকুতে
হারিয়ে দিলাম তোকে!
তারপর একদিন ফিরে গেলি নিজের শহরে,
সেলফোন, ইনবক্সের নাস্তানাবুদ জীবন,
বৃষ্টিরা ছাঁট দিয়ে যায় আজও জানালায়-
এমনি কিছু ঠান্ডা স্রোতের হাওয়া
তোর গা-ছুঁয়ে আমায় ছুঁয়েছিল,
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে ছিটকে পড়েছিল আমার ঠোঁটে…
জনৈক রাষ্ট্রঋষি
জি য়া হ ক
কেউ তো এভাবে বলেনি
যেভাবে তুমি বলে দিলে থাকতে
কেউ তো এভাবে দেয়নি
যেভাবে
তুমি দিলে প্রেম মাখতে
কেউ তো এভাবে কাটেনি
যেভাবে
তুমি পুজো দিয়ে হাসলে
কেউ তো এভাবে বলেনি
যেভাবে
তুমি দেশ-প্রীতি জানলে
পতাকা এখানে নমিত
আর
এক-রঙা তার পতপত
চিন্তা ফলত প্রমিত
আর
গোশতো-পেশিই সম্পদ
দেওয়ালের আর কান নেই
তবে
কারখানারা যে ভিত্তি
শেয়ালেরা সব শিক্ষক
তার
জ্বালিওনাবাগ বৃত্তি
ছাতাগুলো সব জ্বলছে
আজ
বিদ্যুৎ নেই—রোদ্দুর
শুভানুধ্যায়ী আসছে
তবে
প্রেম—বিলাসিতা, তন্দুর
কেউ তো এভাবে বলে নাই
খোকা
সংজ্ঞা লেখ ভক্তির
লোককে ছাড়িয়ে ধর্ম দিয়ে
দেখে নাই আগে লোকটির
আরও পড়ুন: রবিবারের সান্ধ্য কবিতার আসর-৭