কবিতা
ছবি: অনির্বাণ পাল
গাছ
বি প্ল ব গ ঙ্গো পা ধ্যা য়
যে ছেলেটাকে গাছ বলে ডাকব ভেবেছিলাম
চোখ বুজতেই দেখি
সে কখন চৌকাঠ হয়ে গেছে ।
আমাকে পাহারা দেয় নগ্ন কালো হাত
অবিভাজ্য ঘুমের ভেতর
পাল্টে যায় ঘরবাড়ি গয়নাভর্তি গা
কান্নার নাব্যতা
কে যেন শেকড় বাড়িয়ে দেয় অশ্রুর লবনে ।
ভবিতব্য
মা নি ক সা হা
যে স্মৃতি ছড়ানো ছিল মেঝেময়, যে ছবি সাজানো ছিল বুকে
তারা সব মিলেমিশে টেনে নিয়ে গেছে প্রিয় শ্মশান-বন্ধুকে
কখনো গ্রহের ফেরে প্রিয় মানুষীর থেকে ফিরিয়েছি মুখ
মুহূর্ত কেটে নিয়ে ব্যাভিচারী সোনা দিয়ে ভরেছি সিন্দুক
সেদিন প্রাচীন এক বৃক্ষের আরাধ্য পাখি
জলের ছায়ায় আঁকা উপহার নিয়ে এসে ফেলে গেছে মধুময় ফাঁকি
সে ফাঁকি দৃষ্টি থেকে কেড়ে নিয়ে গেছে সব ছবি, সব মায়া
অপহৃত গোধুলির মেঘ থেকে চুঁইয়ে পড়েছে মৃত ছায়া
তুমি ছায়াদের ডানা ছেঁটে পালক লাগিয়েছ মৃদু চুলে
আমিও কবির দলে নিয়ত ভিড়েছি শুধু নিয়তির ভুলে!
বিপ্লবী
কৌ শি ক ভ ট্টা চা র্য
অগ্নিসংযোগের পর তোমাকে সুন্দর দেখাচ্ছিল আরও
অবশ্য শৈশব থেকেই আগুনের সঙ্গে তোমার বনিবনা ছিল
যথেষ্ট
তার সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করে তাকে পরিবেশন করেছিলে
শহর, কোলাহল আর পদাবলির সুর
চোখে চোখ রেখে প্রয়োজনে বিনিময় করেছিলে তাপ
অথবা কখনও তাকে নুইয়ে দিয়েছিলে আকস্মিক আদরে
সুতরাং তোমার দাউদাউ দেহখানি দেখতে দেখতে
কৃষ্ণচূড়ার কথা মনে আসেনি কারও
লোকে বরং বলাবলি করছিল
মানুষটা বিপ্লবী ছিল নিশ্চয়!
স্পর্শ
রো শ নি ই স লা ম
জলের ধারায়
শিশুগুলি নাচছে
অলৌকিক মেঘ
বৃষ্টির ঝাপটা।
শব্দের স্পর্শ
হাতের মুঠোয়
ছায়া ছায়া
বেড়ালের ডাক।
বাড়ির সামনের ন্যাড়া রাস্তা
শু ভ দী প সে ন শ র্মা
ঠিক যে সময় সমবেত কন্ঠে আমাকে ডেকে নেয় – বাড়ির
সামনের ন্যাড়া রাস্তাটি – আর তখনই আমি উচ্চস্বরে
গান গাইতে গাইতে দেশপ্রেমে লিপ্ত
ভালবাসার জন্য কোনো প্রেমীরং পছন্দ করতে পারি’না – তাই
হয়তো এই বিড়ালত্ব জীবনকে উদাসী করে রাখি – বারবার
মনে পড়ে যায় – কান্নার বিন্দু বিন্দু তীব্রতা
হাসি উধাও জীবনে যেকোনো সময় বন্যা আসতেই পারে
বাড়ির সামনের ন্যাড়া রাস্তা ধরে – কান্নার বংশধরেরা ছুটে আসতেই
পারে ; জীবনের সমস্ত জীঘাংশা আসতেই পারে
কঠিন থেকে তরল হই আমি – আবার সমবেত কন্ঠে কেউ
ডেকে ওঠে – আমাদের কবিজন্ম, আমাদের মানুষজন্ম আর
আমাদের পুরুষতান্ত্রিক হৃদয়ের উৎস – ওই যে বাড়ির সামনের
ন্যাড়া রাস্তাটি – দেখো; কেমন নির্দ্বিধায় বসে আছে নির্বাক বেবুন সেজে!
আরও পড়ুন: রবিবারের সান্ধ্য কবিতা আসর-১৩