Home / কবিতা / রবিবারের সান্ধ্য কবিতা আসর-১৯

রবিবারের সান্ধ্য কবিতা আসর-১৯

আধুনিক কবিতা

আধুনিক কবিতা

ছবি: অনির্বাণ পাল

অনীক রুদ্র-এর দুটি কবিতা

টিকড়মবাজি

মানুষ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে
বর্বরতা ফিরে আসছে, দেখো
এই হল বিনির্মাণ
আমরাধ্বংস করি আমাদেরি
সুপ্রাচীন পুরাকৃতি
কোন কোন সংগ্রহশালায়
যেইভাবে খেলার ফিকিরে
দিন যায়
থাকে শুধু টিকড়মবাজি

এসবই পাশ থেকে দেখা

যেভাবে অতলচক্রে; পর্যায় ক্রমিক
বস্তুদের ছায়- হওয়া আর যৌন-কাজ
আপনিও তারই অংশ
চিতাভষ্মে কার্বনের রূপ হয়ে পঞ্চভূতে
মিশবেন বলেই
জন্মেছেন এই মহাদেশে
ধ্বংস করেছেন, গাছপালা পশুপাখি
তিমিঙ্গিল
শতকোটি বছরের ইতিহাস কখনো –বা
নিজেদের যুদ্ধ পরম্পরা কিংবা সৃজন প্রক্রিয়া
বিনাশ কালেই ঘটে সামগ্রীক বুদ্ধিনাশ শুধু

অহল্যা অভিশাপ

উ মা ম ণ্ড ল

সান্টার লালরং টুপি গায়ে দিয়ে সরীসৃপ
ঘুমিয়ে পড়ে মাটির আড়ালে
শিশির বুঝিয়ে দেয় বনভোজনের কাল এসে গেছে।
এখন দারুণ বজ্র-হাতে বধ করি
পাখির নিরীহ চোখ,
আমি অর্জুন নই
তবুও লক্ষ্যভেদে মেতেছি।
পাশের ঝুলন্ত সাঁকো বলে তিষ্ঠ
আঙুলগুলি ছটফট করে ওঠে।
হাতে ধরা বাঁকা ধনুকের মতো পাখির মাংস
থেকে ডানা উড়ে যায়,
স্বাধীনতা উৎসব!
পতাকা নিয়ে এসেছে লাল নীল মাছেরা
ওদেরও কে মুক্তি দিয়েছে বদ্ধ জলাশয় থেকে ,
এখন কি মুক্তি-কাল!

ব্যাধের জীবিকা নিয়ে কাল-কেতুর বেশ নিয়েছি
তবুও কান্নাজল পাগল করে ,
বিন্ধ্য পর্বত কি জানেনা পাখী-রক্ত উৎসর্গ করেছি প্রত্যেক বিপ্লবীকে
এখনও পাথরের গায়ে লাল সিঁদুর লেগে ,তবুও দোষারোপ
সাধে কি বলে পাথরের গায়ে অহল্যা অভিশাপ…

জাহান্নাম ! জাহান্নাম !

বিশ্বজিৎ মণ্ডল

ধবধবে রাত্রির পাশে দাঁঁড়িয়েছি একা-

এখান থেকেই চেনা যায়,তকমাধারী নপুংংসকের দল
উর্বর ঊরুতে মেতে ওঠে,তাথৈ সন্ধ্যা…
খুলে রেখেছি-স্লেভারের বল্কল
তারপর ক্যাকটাস কুয়াশা ভাঙতে ভাঙতে
তোমার জাহ্নবী আঁঁচল

কোথায় জাহান্নাম ?
তোমার মেঘলা উঠোন ভেঙে এগোচ্ছে, মৈত্রী এক্সপ্রেস

২.
জুডাস মিথ্যেবাদী নয়-

সন্দেহের বিসর্পিল পথ গড়িয়ে গেলে বেজে ওঠে
সুপটু বাদকের অর্গান
ভাসানে যাওয়া পড়শি গান থামিয়ে বেমালুম
জিজ্ঞাসা করে-নক্ষত্রজয়ের কথা

অপরূপ মিথ্যের আজনবি স্টেশনে খুঁঁজতে থাকি
জাহান্নামগামী লোকালের ব্যস্ত কামরা…
Read More: ধারাবাহিক উপন্যাস খাতা লিখেছেন দেবশ্রী চক্রবর্তী

Check Also

গল্প

রবিবারের ছোটগল্প চাঁদ ছোঁয়ার গল্প লিখেছেন সাগরিকা রায়

ছোটগল্প Illustration: Preety Deb কচু গাছের আড়ালে দাঁড়ালেও চান্দু নিজেকে বেশ লুকোতে পারে।গজু বলে, ভাই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *