ছবি: অনির্বাণ পাল
অনন্ত মাতৃমঙ্গল…
মু নি রা চৌ ধু রী
দু’চোখের পাথর ছিদ্র করে গড়িয়ে পড়ে জল
পৃথিবীর প্রাচীন কবরে হায়! এ-আনন্দধারায়
আমিও জেনে যাই- বর্ষা এসেছে,
তাজা জলে ডুব দেবে কঠিন কাছিম…
পাতিহাড়ে পড়ে বৃষ্টির ফুল,
চকিত হরিণ ভয় নেই তোমার
আদি বর্ষায় জল আর গহীন জঙ্গলে আমরা ছিলাম
আদি ভাই বোন…
সর্বদা মানুষ থাকি না তাই অর্ধেক চাতক, চাতকিনী…
প্রতিঅঙ্গে বৃষ্টির গজল মাখি
আমি আর মৃত ঠাকুর মা (সঙ্গে তাঁর ধর্মান্তরিত প্রেমিক)
হায় বর্ষা! জীবিত আর মৃতের অনন্ত মাতৃমঙ্গল…
ছুরি
অ ভি ন ন্দ ন মু খো পা ধ্যা য়
শব্দকে চিরে পাওয়া গেল কাগজের চিৎকার
সম্ভব নয় বলে পুরুষেরা গেছে অমিত্রাক্ষরে
জল, নুন আর সর্পগন্ধার খোঁজে
নারীরা ত্রিকালদর্শী, রুমঝুম উনুনে জাগিয়ে তোলে
কমলালেবুর স্তুতি
একটু রোদ জমাই থালার কিনারায়
শীতকাল ভেবে কাছে ডাকি তেলরঙকে
একটি বেড়াল ক্রমশ ফুরিয়ে যায়
স্বরবর্ণের দুধে
এ জীবন ফল কাটার ছুরি
চিরে যাওয়া শব্দের মাঝখানে রাখে
আলতা ও মদিরার খুশবু
কমে আসে কাগজের ছটফট
মাদুরে ছড়িয়ে যায় লালচে চিৎকারের শাঁস
নৈসর্গিক আগুন
রা জে শ্ব রী ষ ড়ং গী
আরো গভীর হয়ে এসো স্বাধীন শর্ত খুলে
ভেতরে আগুন গন্ধ
নৈসর্গিক স্বার্থকতা
উচ্ছ্বসিত ঘাম
কতবার এইসব গাছে এসে উঠেছিলাম
শিবের চিবুক ভেবে
কী যেন হয় বয়সের নাম…
তারপর লজ্জায় লাল হলো জিভ
দেখি লিঙ্গেশ্বর মাটিতে গড়ান
মরণ রে তুই মম…
স ম্প র্ক ম ন্ড ল
মরন রে তুই মম
শ্যাম সমান
এমন গান নিয়ে মানুষ
বিলাসী হতে ভালোবাসে
ভালোবাসে হেমন্তের
আগুনে
নিজের ভেতরের পুরুষকে নিয়ে
নিরুদ্দেশে যাওয়ার
কিন্তু কোথায় যাবে সে
মুক্ত স্তন তাকে
দু’হাত খুলে ডেকে বলে…
আরও নিবিড় হতে শেখ
বিলাসী মানুষও যেমন
নিজের মৈথুন শেষ হলে
উদাস হয়ে ভাবে
মরণ শ্যামল এক প্রেম
কিছুটা নি:সঙ্গও
সুসংবাদ
সু মি ত প তি
নিভৃত যাপনের পর পড়ে থাকে যে রাত্রির খোলশ
তার কাছ থেকে প্রতিদিন চাইতে থাকি ভোরের সংবাদ
ভোর চাই ভোর, প্রকৃত সুন্দর এক ভোরের জন্য ইপ্সিত ইচ্ছা
চন্দ্রাহত আলোকের কাছে রেখে যায় ছায়া মাখা ইতর শুভেচ্ছা।
কোনো ভালোলাগার প্রহর নেই, কেবলই হত চিন্তাকে খুঁড়ে খুঁড়ে
নিজের ভেতর চারিয়ে দেওয়া শুশ্রূষাকে বুকে আগলে চিৎকার করি
নিঃস্ব হতে হবে,নিজেকে চিনতে গেলে সহস্র,অযুতবার নিঃস্ব হতে হবে।
ভোরের কোনো ছায়াকে শুভ্র-জ্যোৎস্নার গাঢ় রঙে চুবিয়ে
নিজের গায়ে মাখলেই নিজের বিপন্নতা কমবে না,কমবে না উৎকন্ঠা
বরং অন্ধ রাত্রির গায়ে জীবনের সব নির্ভরতা নির্ভয়ে সঁপতে পারলে
সকাল আসবে ফুলের গন্ধ নিয়ে, পাখি মা জাগবে, মা সাজাবে সাধের উঠোন।