রিফাত হত্যার রায়: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন স্বয়ং স্ত্রী মিন্নি।এই মন্তব্য করে চাঞ্চল্যকর এই মামলায় ৬ অভিযুক্তকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত আর খালাস পেয়েছে ৪ জন।রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও নিহত রিফাতের পরিবার কিন্তু সংক্ষুব্ধ মিন্নির বাবা জানিয়েছেন তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন।
নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রীর ভাগ্যে কি হবে রায় ঘিরে সেটাই ছিলো সবচেয়ে আলোচনার বিষয়।দীর্ঘ ১১ মাস জামিনে থাকার পর এবার ফাঁসির আসামী হয়ে কারাঘারে গেলেন মিন্নি।রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামীর রায় ঘোষনা উপলক্ষে ভোর থেকে কড়া নিরাপত্তা নেওয়া হয় বরগুনার আদালতে।
সকালে বাবার সাথে আদালতে আসে মিন্নি এর ঘন্টা তিনেক পর কারাগার থেকে আনা হয় ৮ আসামীকে।দুপুর সোয়া একটাই এজলাসে রায় পড়া শুরু করেন জেলা দায়রা জজ আসাদুজ্জামান।
রিফাত ফরাজি, রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল সিফাত, মুহাম্মদ হাসান, হৃদয় ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে ফাঁসির দন্ডাদেশ দেন আদালত।তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই হত্যাকান্ড হয়েছে বলেও রায়ে বলা হয়।এছাড়া মুস, রাফিউল রাব্বী, সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমন কে খালাস দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানানঃ এই হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড ছিলো মিন্নি।এই ঘটনার আগে মিন্নি নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজি এবং অন্যান্য আসামীদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো এবং ষড়যন্ত্র প্রমান হয়েছে আদালতে।
রায় ঘোষনার পর এজলাসের মধ্যে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে ৫ আসামীকে তবে নিশ্চুপ থেকে স্বাভাবিক ভাবে দেখা গেছে মিন্নিকে।প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে রায় পড়ে আসামী পক্ষকে উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রাখেন বিচারক।
৭ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন তারা।রায়ে ক্ষোভ আর অসন্তুষ্টি জানিয়ে এই আবেদন করার কথা জানিয়েছেন আসামীর আইনজীবী ও পরিবার।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনার সরকারী কলেজের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে।ঘটনার প্রায় ১ বছর তিনমাস পরে এবং বিচার শুরুর ৪২ কার্যদিবসের মাথায় রায় দেওয়া হলো রিফাত হত্যা মামলার।
নিউজ এবং ভিডিও সূত্রঃ যমুনা টিভি