সবার খবর, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিষাক্ত সাপের বিষ শরীরে নিয়ে এভাবে যে বাঁচা যায়! কি চমকে গেলেন তো? এটাই সত্যি। একান্ন বছর বয়স্ক ব্রিটিশ নাগরিক স্টিভ লুডুউইন। লুডুউইন এক, দুই নয় প্রায় তিন দশক ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন এই চর্চা। লুডুউইন নিজে জানাচ্ছেন, এতে নাকি তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে অনেক গুণ। এই বিপদ জনক পথে পা বাড়ান প্রায় কুড়ি বছর বয়সে। দশ বছর বয়সে মিয়ামির একটি সাপের খামারে বাবার সাথে বেড়াতে গিয়ে দেখা পেয়েছিলেন বিল হাস্টের। যিনি দীর্ঘদিন সাপের বিষ নিয়ে হয়েছিলেন শতায়ু। তখন থেকেই মনে মনে সাপের বিষ নেওয়ার ইচ্ছে যাগে এই ব্রীটিসের। ট্রি ভাইপার, ব্ল্যাক মাম্বা ও কোবরার বিষ সাধারণত নিয়ে থাকেন স্টিভ লুডুউইন। তিনি জানান পনেরো বছর ধরে ঠান্ডা জনিত কোন রোগ হয়না আমার। তিনি আরও বলেন, এই ঝুঁকিপূর্ন চর্চা না করায় ভালো সাধারনের।
সম্প্রতি ডেনমার্কের কোপেন হেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী তার শরীরের রক্ত নমুনা নিয়ে গবেষনা করছেন। তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন অল্প খরচে সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরি করার। মানুষের রক্ত থেকে সাপের বিষের প্রতিষেধক বানানোর ভাবনা বিজ্ঞানীদের এই প্রথম। লুডুউইনের এই অদ্ভুত গুণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে গোটা পৃথিবীতে। সম্প্রতি লুডুউইনের ওপর একটি শর্ট ফিল্ম দেখানো হয় লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে। তবে প্রাণহানীর আশঙ্কা থাকাই সাপের বিষ সাধারণ মানুষরাদের না নেওয়ার জন্যে অনুরধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটের ঐতিহাসিক মুহুর্ত চন্দ্রপাল ও তার ছেলে এক সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়লেন