Home / জাতীয় / সামোসা বিক্রি করার জন্য গুগলের চাকরি ছাড়লেন এই ভারতীয়

সামোসা বিক্রি করার জন্য গুগলের চাকরি ছাড়লেন এই ভারতীয়

সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: যেখানে টেক জায়ান্ট গুগলের মত কোম্পানিতে ফ্রেশারদের বেতন কোটি কোটি টাকা সেখানে থেকে কি করে একজন সামোসা বিক্রি করার জন্য চাকরি ছেড়ে চলে যেতে পারেন?
ঠিক এমনই কাজ করেছেন মুম্বাইয়ের বার্লির বাসিন্দা মুনাফ কাপাডিয়া। হঠাৎ করে সামোসা বিক্রি করার প্ল্যান তাঁর মাথায় চলে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে গুগল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। বর্তমানে মুনাফ নিজের কোম্পানি ‘দ্যা বোহরী কিচেন’-এর সিইও। সিইও অর্থাৎ Chief Executive Officer নয় চিপ ইটিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আশ্চর্য লাগবে শুনলে যে, মুনাফ যখন গুগলের চাকরি ছাড়েন ঠিক তাঁর এক বছরের মধ্যেই ৫০ লক্ষ টাকার টার্নওভার হয় এই কোম্পানির। চলুন জেনে আসি এই বিস্ময় ব্যাক্তিটির সফলতাঁর কাহিনী।
রেস্টুরেন্ট
মুনাফ জানান, আমার মা নাফিসা টিভি দেখতে খুব পছন্দ করেন। তিনি টিভিতে সব সময় রান্নাবান্নার অনুষ্ঠান দেখতেন। মায়ের হাতের তৈরি করা খাবারের স্বাদ সকলের থেকে আলাদা তা আমি জানতাম। সেখান থেকেই আমার পরিকল্পনার শুরু। তাঁরপর স্থাপিত হয় ‘বোহরী কিচেন’।
বোহরি
মুনাফ যে জায়গায় বাস করতেন সেখানে বেশিরভাগই মিড্‌ল ক্লাস ফ্যামিলি বাস। ফলে তাঁর পরিকল্পনা যেই স্তরের তা বাস্তবায়িত করা খুবই মুশকিল ছিল। মুনাফ তাঁর বন্ধুদের ইমেইল করে জিজ্ঞেস করেন, তারা কি ৭০০ টাকার খাবার খেতে ইচ্ছুক? এর পরবর্তীতে তাদের ইনভাইটেশন দেওয়া হয় এবং বন্ধুরা খাবারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মুনাফ সেই দিন বুঝে যান আমার স্বপ্ন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পূরণ হতে চলেছে। মা আর ছেলে মিলে বোহরী কিচেন স্থাপিত করেন। একদিকে মা তাঁর হাতের তৈরি রান্না দিয়ে সকলের মন জয় করে চলেছেন। অপরদিকে ছেলে কোম্পানির প্রচারে ব্যস্ত থাকেন।
বিজনেস
মুনাফের রেস্টুরেন্টে শুধুমাত্র সামোসা পাওয়া যায় তা কিন্তু নয়। যদিও সামোসায় তাদের ট্রেডমার্ক। যখন তিনি দেখলেন বোহরী কিচেন আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই সময়ই গুগল থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সম্পূর্ণ মনোযোগ নিজের কোম্পানিতে দেন। মুনাফের পরিকল্পনা পরের বছর তিন থেকে পাঁচ কোটি টাকা টার্ন ওভার করা। বর্তমানে মুনাফের রেস্টুরেন্টে শুধু সাধারণ মানুষ আসেন তা কিন্তু নয়। বলিউডের নক্ষত্ররাও ছুটে আসেন এই রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ নিতে। হৃত্বিক রোশনও তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে বোহরী কিচেনের প্রশংসা করে পোস্ট করেন।
ঋত্বিক
রেস্টুরেন্ট চালু করতে গিয়ে তাকে অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছিল। ২০১৬ সালে এই রেস্টুরেন্ট চালু করতে গিয়ে মুনাফের সমস্ত সঞ্চয় শেষ হয়ে আসছিল। এক সময় মুনাফ ভেবেছিলেন কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড-এর দিকে এগিয়ে যাই। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁর কাজকে আরো সহজ করে দেয় ফোবর্স ম্যাগাজিন। ফোবর্স ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে একটি ফোন আসে মুনাফের কাছে। তারা বলেন, আন্ডার থার্টি এচিভার্সের তালিকায় আপনার নাম নথিভুক্ত করা হবে। তাঁরপর মুনাফকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সারা দেশে খ্যাতি ছড়িয়ে যায় তাঁর। মুনাফের কাহিনী শুনলে সত্যিই অবাক লাগে। যে দেশে উচ্চ শিক্ষিতরা ডি-গ্রুপের চাকরির জন্যে ছুটে বেড়ান সেই দেশে কি করে গুগলের মতো কম্পানির চাকরি ছাড়তে পারেন। তাই মুনাফ ভারতের শিক্ষিত বেকারদের আইডল হতে পারে। চেষ্টা করলে সবই সম্ভব তা তিনি প্রমাণ করে দিলেন।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণীতে ফেল, কোনো কোচিং ছাড়াই জীবনের প্রথম পরিক্ষাতেই IAS অফিসার

Check Also

কুমিল্লায় ধর্ষণ

শিক্ষকের ধর্ষণে মা ৭ম শ্রেনির ছাত্রী, চাচার ধর্ষণে মা ভাতিজি

কুমিল্লায় ধর্ষণ – শিক্ষক কিংবা নিকট আত্মীয় কারো কাছেই কি নিরাপত্তা নয় নারীরা?কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কোচিং …