সুন্দর ও শান্তির দেশ
সবার খবর, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুন্দর ও শান্তির দেশ খুঁজতে বেরিয়েছি আমরা। পৃথিবীতে শত ভাগ সুরক্ষার গ্যারেন্টি কোথাও নেই। যেমনই শক্তিশালি দেশ হোক না কেন! প্রাণহানী প্রায় প্রত্যেক দেশেই হয়েই থাকে। অসামাজিক লোক জনের দ্বারা দেশের শান্তি সব সময় বিঘ্নিত হতে দেখে আসছি যুগে যুগে। আমরা আজ জানব এমন একটি দেশের নাম যেখানে সন্ত্রাস এখনও থাবা বসাতে পারেনি। দেশের মানুষ অন্যান্য দেশের চাইতে অনেকটা সুরক্ষিত।
আপনার কি বলতে পারবেন ক্রিমিনাল কেস হয়না এমন একটি দেশের নাম? আমরা জানি এটি একটি কঠিন প্রশ্ন হয়ে গেল। এশিয়াতে এমন শান্তির দেশ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কারণ এশিয়াতে সব চাইতে বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটে। ইউরোপে সেতুলনায় অপরাধের মাত্রা অনেকটাই কম।
ইউরোপের একটি শান্তির দেশ আইসল্যান্ড। যেখানে অপরাধের ঘটনা ঘটেনা বললেই চলে। লোকে বলে দেশের সৌন্দর্য্য মানুষের ভেতরও পরিলক্ষিত হয়। আর ভাবুনতো আমাদের দেশ কত টাকা ব্যায় করে দেশের সুরক্ষা খাতে? অন্যদিকে সুখ ও শান্তির দেশ তৈরি করতে আইসল্যান্ডে অস্ত্রের প্রয়োজন হয়নি।
আইসল্যান্ড পশ্চিম ইউরোপের খুব সুন্দর একটি দেশ। বিভিন্ন দেশের পর্যটক আইসল্যান্ডের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে ভ্রমণ করতে আসেন। এই সুখ ও শান্তির দেশ
আইসল্যান্ড সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জানলে অবাক হয়ে জাবেন আপনিও-
সুন্দর ও শান্তির দেশ
১. আইসল্যান্ডের পুলিশের কাছে বন্দুক থাকে না।
২. এখানে রেলস্টেশান নাই কারণ আইসল্যান্ডে ট্রেন চলে না। যাতায়াত করার জন্য এখানকার মানুষ গাড়ি ব্যবহার করেন। ৩. এখানে ডাক নাম বা সার নেম রাখেনা।
৪. আইসল্যান্ডের আয়তন ৩৯,০০০ বর্গ মাইল।
৫. এখানে কোন জঙ্গল নেই।
৬. সপ্তাহে ৪৩.৫ ঘন্টা কাজ করেন আইসল্যান্ডের মানুষ। যা ইউরোপের যে কোন দেশের চাইতে বেশি।
৭. এখানকার মানুষরা আদিম কালের নর্স ভাষায় কথা বলেন। ফলে তারা ১০০০ বছরের পুরানো লেখাও পড়তে পারেন।
৮. এখানে খুব গরমও নেই আবার খুব ঠান্ডাও নেই। আইসল্যান্ডের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মাপা হয়েছিল ৩০.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। ৯. আইসল্যান্ড প্রথম প্রকাশ্য গে(homosexual) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন।
১০. মাথা পিছু কোকা-কোলা যেকোনো দেশের চাইতে বেশি লাগে।
১১. এখানে কোন ম্যাকডোনাল্ডের রেস্টুরেন্ট নাই।
১২. মানুষের দ্বারা তৈরিকৃত পৃথিবীর শেষ দেশ।
১৩. এখানকার মানুষ সবচাইতে বেশি সিনেমা দেখে।
১৪. প্রথম গনতন্ত্র এই দেশেই প্রতিষ্ঠিত হয় ৯৩০ সালে।
১৫. জাতীয় খেলা হ্যান্ডবল।
১৬. আইসল্যান্ডে আর্মি, নেভি এবং এয়ার ফোর্স নেই।
১৭. এখানকার ৯৭.৬% মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
১৮. ৬০% জনগণ আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকজাভিক-এ বাস করেন।
ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে।
আরও দেখুন: দেখুন অকল্পনীয় কিছু ছবি! ৮ নম্বরটা দেখলে অবাক হয়ে যাবেন