Home / জাতীয় / ১৪ বছরেও কাজ শেষ হচ্ছিল না, তাই বৃদ্ধ বয়সে সমস্ত সঞ্চয় দিলেন সেতু নির্মাণে!

১৪ বছরেও কাজ শেষ হচ্ছিল না, তাই বৃদ্ধ বয়সে সমস্ত সঞ্চয় দিলেন সেতু নির্মাণে!

সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: ফাইল এক টেবিল থেকে অন্য টেবিল ঘোরাফেরা করে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মানুষের সমস্যা সমস্যাই থেকে যায়। সেতু নির্মাণ করার কথা ছিল। সেই মোতাবেক কাজও শুরু হয়েছিল কিন্তু সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে গিয়ে প্রশাসনের টাকা ফুরিয়ে যায়। সেতুটির জন্যে ১৪ বছর থেকে অপেক্ষা করে আছেন পার্শ্ববর্তি গ্রামগুলির মানুষজন। এই ঘটনাটি ওড়িশার।

সমাজে এমন ব্যক্তিও আছেন যারা তাদের ভালো কাজের নমূনা এই পৃথিবীতে রেখে যান। এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী এগিয়ে আসলেন সেতু নির্মাণের জন্যে। তার পক্ষেও এতো সহজ ছিল না কাজটি। কারণ তিনি যদি সমস্ত টাকাই দিয়ে দেন সেতু তৈরি করতে তাহলে তিনি খাবেন কি? কিন্তু তিনি হয়তো ভেবেছিলেন আমার জন্য ১০ হাজার মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। তাতেই আমি আনন্দ পাবো।
কানপুর গ্রামের সেতু
ওড়িশার কেওঞ্জার জেলার কানপুর গ্রামের বাসিন্দা গঙ্গাধর রাউত অবসর গ্রহণ করেছেন। তিনি অবসরকালীন বেনিফিট হিসেবে ১২ লক্ষ টাকা পান। মানুষ মনে করে যে, এই টাকা দিয়ে তাদের বৃদ্ধ বয়সটা নিশ্চিন্তে কেটে যাবে। কিন্তু গঙ্গাধর সকলের চাইতে আলাদা। তিনি ১৪ বছর থেকে অপেক্ষা করছেন। তাই আর অপেক্ষা নয় নির্মানাধীন সেতুটির কাজ এই বর্ষার আগেই শেষ করতে চান তিনি।

গঙ্গাধরের গ্রাম সালান্দি নদীর তীরে অবস্থিত। যার পাশে আরও ছয়টি গ্রাম আছে। যেখানে প্রায় ১০০০০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। বর্ষাকালে নদীর জলস্তর বেড়ে যায়। যার ফলে গ্রামগুলির সঙ্গে অন্যান্য স্থানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই কারণেই এই সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৪ বছর থেকেও কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গঙ্গাধরের স্বপ্ন
স্থানিয় মানুষের অনুরোধে ‘বোলা ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ সর্ব প্রথম ২০০৫ সালে এক লক্ষ টাকা দিয়েছিল সেতুটি নির্মান করার জন্য। কিন্তু পরবর্তীতে অর্থের অভাবে সমস্ত কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। স্থানিয় ‘হাতাদিহি ব্লক’ থেকেও সেতুটির জন্য ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। এই টাকা দিয়ে ১২ স্প্যান সেতুটির ২ স্প্যান তৈরি হয়। এখন গঙ্গাধর সেতুটির অসম্পূর্ণ অংশের কাজ বর্ষার আগেই শেষ করতে চান। কারণ তিনি গ্রামের মানুষের কষ্ট দেখতে পারেন না।
আরও পড়ুন: ভিখারি মনে করে শোরুমে ঢুকতে বাধা, পরিচয়ের পর ম্যানেজারকেও ক্ষমা চাইতে হয়

Check Also

কুমিল্লায় ধর্ষণ

শিক্ষকের ধর্ষণে মা ৭ম শ্রেনির ছাত্রী, চাচার ধর্ষণে মা ভাতিজি

কুমিল্লায় ধর্ষণ – শিক্ষক কিংবা নিকট আত্মীয় কারো কাছেই কি নিরাপত্তা নয় নারীরা?কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কোচিং …