Home / জাতীয় / এই ভারতীয় মালিক হলেন একটি আফ্রিকান দেশের!

এই ভারতীয় মালিক হলেন একটি আফ্রিকান দেশের!

সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: ‘থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে/দেখব এবার জগৎটাকে…’ এটি শুধু কবির কবিতাই নয়, মানব সমাজের মন্ত্রও বলা যায়। কবির কবিতার এই লাইনগুলি অনেক শিক্ষিত মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে তা বলাই বাহুল্য। সুযশ দীক্ষিত নামের যুবকটি কি এই মন্ত্রের মতো বাংলা কবিতাটি পড়েছিলেন? আমরা তা জানিনা। তবে মনের শক্তি যে যারপরনাই সঞ্চিত ওই যুবের মনে, তা কী অস্বীকার করার উপায় আছে! অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে একটি দেশ আবিষ্কার করলেন সুযশ। শুধু তাই নয়, সে দেশের রাজা হিসেবে নিজের নাম ঘোষনা করেন এই ভারতীয়। দেশটির রাজধানীর নাম দেন সুযশপুর।
সুযষ
আপনি কি ভাবছেন, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কী এমনটি আদৌ সম্ভব? তবে চলুন, এবার ঘটনার ভেতরে প্রবেশ করা যাক।
দীর্ঘ মরুপথে গাড়ি চালিয়ে সুযশ দীক্ষিত নামের এক ভারতীয় পৌঁছলেন মিশর ও সুদানের মধ্যবর্তী এক জনবসতিহীন স্থানে। স্থানটির কোনও দাবীদার নেই। জায়গাটি মরু এলাকা। দৈর্ঘ্য দু’হাজার বর্গ মাইল প্রায়। নাম বীর তাওয়িন। সুযশ অভিভূত হলেন কারণ এই স্থানটি কোনো দেশের অন্তর্ভুক্ত নয়। মধ্যপ্রদেশের সুযশ তখনই সেই বীর তাওবীনের ওই জায়গাটিকে একটি দেশ বলে ঘোষনা করেন। এখানেই থেমে থাকেননি ও। জায়গাটির নাম দেন, ‘কিংডম অব দীক্ষিত’। সে দেশের রাজা তিনি। তাঁর ফেসবুক পেজে সুযশ জানিয়েছেন, কিভাবে পৌঁছলেন ওখানটিতে!
রাজা
সুযশ যে রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই পুরো অঞ্চল মিশরীয় সেনাবাহিনীর এক্তিয়ারে নাকাবন্দী। এমনকী ওই রাস্তায় সেনা ছাড়া অন্য কাউকে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ আছে সেনাকর্তাদের। কারণ অঞ্চলটি উগ্রপন্থীদের আঁতুরঘর। সেই ভয়ঙ্কর পথ পাড়ি দিতে সুযশকে মিশরীয় সেনাবাহিনীর অনুমতি নিতে হয়েছে।
বীর তাওবীনের সেই স্থানটিতে পৌঁছেই তিনি পতাকা তোলেন। ওই স্থানের জমিতে ছড়িয়ে দেন শস্য। কিন্তু শস্য কেন? সুযশের দাবি, প্রাচীনকালে জমির মালিকানার জন্যে দাবিদারকে সেই জমিতে ফসল ফলাতে হতো। এই কারণেই জমিতে শস্য ছড়িয়েছেন তিনি। সুযশের কথায়, তিনি যেদিন দেশটির সন্ধান পান, সেদিন তার বাবার জন্মদিন ছিল। তাই তার বাবাকেই ‘কিংডম অফ দীক্ষিত’-এর প্রধানমন্ত্রী করেছেন সুযশ। কিংডম অফ দীক্ষতের নামে একটি ওয়েবসাইটও খুলেছেন। খুব সত্ত্বর রাষ্ট্রপুঞ্জে ইমেল পাঠাবেন তিনি বলে জানিয়েছেন। যাতে রাষ্ট্রপুঞ্জ সুযশের আবিস্কৃত দেশটিকে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: রান্না ঘরেই আছে গাস বা অ্যাসিডিটি কমানোর ওষুধ। ৯৯% মানুষ জানেন না

Check Also

কুমিল্লায় ধর্ষণ

শিক্ষকের ধর্ষণে মা ৭ম শ্রেনির ছাত্রী, চাচার ধর্ষণে মা ভাতিজি

কুমিল্লায় ধর্ষণ – শিক্ষক কিংবা নিকট আত্মীয় কারো কাছেই কি নিরাপত্তা নয় নারীরা?কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কোচিং …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *