সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌচাচ্ছে থ্রিডি প্রিন্টিং। বাড়ির ক্ষেত্রে আবার থ্রিডি প্রিন্টিং কি সেকথা হয়তো কেউ কেউ ভাবতে পারেন। ধরুন প্রিন্ট করলে যেমন কোনো কিছু একদম একই ভাবে কপি হয়ে বেরিয়ে আসে ঠিক তেমন ভাবেই একটি বসবাস যোগ্য বাড়ি তৈরি হয় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কম্পিউটারে একটা ডিজাইন দিলে কমান্ড অনুযায়ী আস্তে আস্তে তৈরি করে ফেলবে একটি বসবাস যোগ্য সাইজের বাড়ি।
চিন আমাদের দেশের থেকে প্রযুক্তিতে আনেক এগিয়ে গেছে সেকথা আজ সবার জানা। চিনে ব্যাপক হারে থ্রিডি প্রিন্টিং ব্যাবহার করে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। আরও অনেক দেশে থ্রিডি প্রিন্টারের ব্যবহার শুরু হয়েছে। কয়েক তলার বড়ি নিমেষেই তৈরি করা হচ্ছে এই নতুন প্রযুক্তি ব্যাবহার করে।
থ্রিডি প্রিন্টিং ব্যাবহার করা হলে সময় আনেকটা বেচে যায়। খুব আল্প সময়ের মধ্যে এই প্রযুক্তি ব্যাবহার করে একটি বড়ি তৈরি করা যায়। ধরুন আপনার একটি বাড়ি রাজ মিস্ত্রী দিয়ে তৈরি করতে সময় লাগবে এক বছর কিন্তু থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্য নিলে সেই সময় কমে ২০ থেকে ৩০ দিনে চলে আসবে। শুধু কি তাই? বাড়ির ডিজাইনও হবে নিখুঁত। বাড়ির দিকে তাকালে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে। আপনার মনে হবে হয়তো কোনো এক স্বপ্নের বাড়িতে বাস করছি।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার একটাই সমস্যা। বাড়ির ক্ষেত্রে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি একটু ব্যায়বহুল। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা আসার বাণী শুনিয়ে রাখলেন। যখন গোটা বিশ্বে এর ব্যবহার বাড়বে আস্তে আস্তে তখন থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের খরচও কমে আসবে। খরচ কমে যাবে প্রায় ১০ গুণ।
তবে কম্পিউটারে তৈরি বাড়ি বলে একে দুর্বল ভাববেন না। ৮ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্পকেও প্রতিহত করতে সক্ষম এই বাড়ি। বেজিংয়ের ‘হুয়াশাং তেংডা’ নামের একটি সংস্থা এমন বাড়ি তৈরি করছে। এই সংস্থা জানাচ্ছে, বাড়ির ক্ষেত্রে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে মানুষের শ্রম একদম নেই বললেই চলে। এক ধরনের রিইনফোর্সড কংক্রিট ব্যবহার করা হয় বাড়ি নির্মাণে। কিন্তু বাড়িতে রঙ আপনাকে নিজে থেকেই করতে হবে।
প্রযুক্তির ভালো দিক যেমন আছে তেমন খারাপ দিকও আছে। আমাদের ভারতবর্ষে এই প্রযুক্তির ব্যবহার যেদিন শুরু হবে সেদিন ভেবেছেন কতো মানুষ বেকার হয়ে যাবে। আপনার মতামত কি? বেকারত্ব কি বাড়বে এই প্রযুক্তির ফলে?
Read More: নেইমারের জীবনী : ব্রাজিলের গোলি থেকে ফ্রান্সের প্যারিস ( Biography in Bengali )