সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: ব্লু-হোয়েল গেমটি খেলতে গিয়ে লাতিন আমেরিকার দেশগুলির মতো ভারতেরও অনেক তরুণ তরুণী বলি হয়েছিল গত বছর। এই বিপজ্জনক গেমটি নিয়ে সেই সময় আতঙ্কে দিনগুজরান করেছেন কোটি কোটি সন্তানের পিতা মাতা। সেই আতঙ্কের রেশ কমতেই হোয়াট্স অ্যাপে হাজির হলো ব্লু-হোয়েলের মতোই আরেকটি মারণ গেম। নাম ‘মোমো হোয়াট্স অ্যাপ’ ও ‘ কিকি চ্যালেঞ্জ’।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে গিয়েছে কিকি চ্যালেঞ্জ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিকির যাদুর কাছে হামলে পড়েছেন মানুষ। শুধু তাই নয়, অনেক বলিউড তরকাও তাদের মিউজিক ভিডিওর সঙ্গে কিকি চ্যালেঞ্জ আপলোড করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একই সময় মোমো হোয়াটস অ্যাপ গেমটি আমেরিকান মানুষদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আশঙ্কার বিষয় এই যে, আস্তে আস্তে এই গেমগুলি সামাজিক মাধ্যমগুলির ওপরে জাল ছড়াতে শুরু করেছে। আর সেই জালে পড়ছেন মানুষ। বলাই বাহুল্য, আরও একটি সামাজিক সমস্যার দিকে নিয়ে যাচ্ছে ‘কিকি চ্যালেঞ্জ’ ও ‘ মোমো হোয়াটস্ অ্যাপ’-এর মতো গেমগুলি।
মোমো হোয়াটস অ্যাপ চ্যালেঞ্জ কি?
হোয়াটস অ্যাপে একটি নম্বর বেশ ভাইরাল হয়েছে। এটিকে মোমো হোয়াটস অ্যাপ চ্যালেনঞ্জ বলা হচ্ছে। সকলের জেনে রাখা উচিৎ, গেমটি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিভাবে ছড়াচ্ছে! যে হোয়াট্স অ্যাপ নম্বর থেকে গেমটিকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটিতে জাপানের কান্ট্রি কোড আছে। যখন ইউজার ওই নম্বর থেকে আসা মেসেজ সেভ করছে তখন বড়ো বড়ো চোখ দেখাতে দেখা যাচ্ছে একটি ভয়ঙ্কর মহিলাকে। এও শোনা যাচ্ছে ঠিক ব্লু হোয়েল গেমের মতো বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীকে। যার শেষ ধাপে থাকচে আত্মহত্যা।
ইউপি, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা শোস্যাল মিডিয়ার এই ভয়ানক গেম সম্পর্কে সচেতন করে দিয়েছেন অবিভাবকদেরকে।
আরও পড়ুন: অ্যাডাল্ট ফিল্ম ইন্ডাসট্রির অনেক অজানা কথা