সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: সাউথ ওয়েস্ট লন্ডনের বাগানে এক ব্যক্তি সূর্যের তাপে নিজের শরীর গরম করছিলেন। হঠাৎ তার পাশে এসে পড়ে একটি মৃত দেহ। কেমন যানি একটা ভৌতিক ব্যাপার। তিনিও হতচকিত হয়ে যান। তিনি ঠিক কি করবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কিন্তু যাই হোক ওই ব্যক্তিটির মাথার উপর যদি পড়তো তাহলে নিশ্চয় তিনি বাঁচতেন না। ঘটনাটি ঘটে রবিবার। কেনিয়া এয়ারওয়েজ থেকে ওই মৃত দেহটি পড়ে বলে পরে জানা যায়। দেহটি এমনভাবে ক্ষতবিক্ষত হয় তা সনাক্ত করা আধিকারিকদের মুশকিল হয়ে গিয়েছে। সম্ভবত মৃত ব্যক্তিটি ল্যান্ডিং গিয়ারের কমপার্টমেন্টে (চাকা ও পার্টসের সেই যায়গা যা ল্যান্ড করার যময় খুলে যায়) লুকিয়ে আসছিল।
বিমানটি কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে হিথ্রো এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার কথা ছিল।
বিবিসির খবর মোতাবেক- যে ব্যক্তির পাশে এসে মৃত দেহটি পড়ে তিনি জানান, “আমি সূর্যের তাপে শরীর গরম করার জন্য বাগানে বসে ছিলাম। হঠাৎ করে আওয়াজ শুনতে পায়। তারপর কিছু বোঝার আগেই দেখি সমস্ত দেওয়ালে রক্তের ছড়াছড়ি। ভয়ে রাস্তার দিকে যেতে থাকি। কয়েকজন প্রতিবেশি আওয়াজ শুনে আমার দিকে এগিয়ে আসে। তার মধ্যে একজন ব্যক্তি একটি অ্যাপের মাধ্যমে বিমানের ওপর নজর রাখছিলেন। তিনিই ঘটনাটি আমাকে বিস্তারিত জানান।”
এই ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করছে কেনিয়া এয়ারপোর্ট অথরিটি। কিভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ওই ব্যক্তি বিমানে চেপেছিল তা নিয়ে ধন্দে আধিকারিকরা।
চলন্ত বিমান থেকে কোনো ব্যক্তি মাটিতে পড়ার এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও বহুবার এমন ঘটনা ঘটেছে। উন্নত জীবন ও জীবিকার জন্য অনেকেই পশ্চিমা বিশ্বে পাড়ি জমাতে চায়। হয় সমুদ্র পথে না হয় লুকিয়ে চেপে পড়েন বিমানে। বেশিরভাগ মানুষ যাত্রা পথেই কম তাপমাত্রা ও অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যবরন করে।
২০১২ সালে অ্যাঙ্গোলা থেকে আসা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ থেকে পড়ে মৃত্য হয়েছিল জোস মাতাদা নামের এক ব্যক্তির। মাতাদার দেহ শণাক্ত করতে সময় লেগেছিল ছয় মাস। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গ থেকে আসা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ থেকে এক ব্যক্তি সাউথ ওয়েস্ট লন্ডনে অবস্থিত একটি দোকানের ছাদের ওপর পড়ে মারা যায়। পরবর্তীতে ওই বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার কমপার্টমেন্ট থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় একজনকে।
আরও পড়ুন: অটো চালকের ছেলে ভারতের কম বয়সী আইএএস অফিসার