সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাদ আদালত নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত। জাতিসংঘের এই আদালত বসনিয়ান কুখ্যাত সার্ব নেতা রাদোভান কারাদজিচের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেছে। সাধারণত এই আদালতে বিচার করা হয় যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এই তিনটি অপরাধ প্রমানিত হয় রাদোভানের বিরুদ্ধে। রাদোভানকে বেলগ্রেড থেকে ২০০৮ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ইতিপূর্বেই তার ৪০ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু তাঁর আইনজীবি পুনরায় এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন। যদিও এই আপিল করার ফলেই পুনরায় তার সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করা হয়। বুধবার বিচারপতিরা জানান, আগের রায়টি সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ। এমন কুখ্যাত অপরাধের জন্যে রাদোভানের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত।
On hearing that Radovan Karadzic had been sentenced to life in prison, Bosnian war victims let out a cheer in the courtroom gallery.
Follow our live blog for more updates on the final verdict: https://t.co/k7yep0QHhg pic.twitter.com/JZZHDM8Xx2
— Balkan TJ (BIRN) (@BIRN_BTJ) 20 March 2019
রাদোভান ২০ বছর আগে যুগোস্লাভিয়ার জাতিগত যুদ্ধে স্রেব্রেনিকাতে গণহত্যা চালায়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারপতিরা রায় দেওয়ার সময় বলেন, ১৯৯৫ সালে স্রেব্রেনিকাতে জাতিসংঘের নিরপত্তা জোনের মধ্যে আট হাজার মুসলিমকে হত্যা করে রাদোভান। যার মধ্যে ছিল বেশিরভাগ পুরুষ। রাদোভানের নেতৃত্বেই সংগঠিত হয়েছিল বলে আদালত মনে করে। একই অপরাদে দোষী ছিলেন জেনেরাল রাতকো মেলাডিচ(প্রাক্তন বসনিয়ান সার্ব কমান্ডর), স্লোভাদান মিলোসেভিচ যিনি তৎকালিন সার্বিয়ান প্রেসিডেন্ট যার এক্সট্রিম ন্যাশনালিজম গনহত্যা চালাতে আরও উৎসাহ দিয়েছিল। তারা ইতিপূর্বেই জেলের মধ্যেই মারা যান।
রাদোভান কারাদজিচ ১৯৯০-১৯৯২ পর্যন্ত পার্লামেন্টের স্পিকার এবং ১৯৯২-১৯৯৬ পর্যন্ত বিভক্ত সার্বিয়ার বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
যদিও বেশিরভাগ সার্বিয়ানরা মনে করে, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সার্বিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলে। রাদোভান কারাদজিচ সার্বিয়ানদের নায়ক।
এই রায়ের ফলে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে স্রেব্রেনিকাতে মৃত পরিবারের সদস্যরা। তারা হেগের কোর্টেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্রাইস্টচার্চে হামলাকারীর নাম মুখে উচ্চারণ করবে না নিউজিল্যান্ড : জেসিন্ডা আর্ডেন