সবার খবর, ওয়েব ডেস্ক: আজাদ হিন্দ ফৌজের সিপাহি ও নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের গাড়ির চালক ও সহযোগী ছিলেন তিনি। তিনি আজমগড়ের বাসিন্দা কর্ণেল নিজামুদ্দিন। তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে এখনও সরকারিভাবে মর্যদা দেয়নি দেশ। শুধু তাই নয় তিনি কোনো আর্থিক সাহায্যও পাননি সরকারের কাছ থেকে। নিজামুদ্দিনের শেষ ইচ্ছেই পেনশান ফাইলটি জেলা শাসক আফিসারদের নিকট পাঠিয়েছিলেন। নিজামুদ্দিন এই পৃথিবীকে বিদায় জানালেও তাঁর কাছে আসেনি কোনো পেনশান। এক অজানা কারনে ফাইলটি কোনো এক দপ্তরের আলমারিতে পড়ে আছে।
কর্ণেল নিজামুদ্দিন এবং তার স্ত্রী আজিবুন্নিশার শেষ ইচ্ছেটি ছোটো ছেলে মোহাম্মদ আকরাম ২০১৬ সালে তৎকালিন ডিএমকে জানান। সেই সময় ডিএম ছিলেন সুহাশ এল ওয়াই। জেলা শাসক ব্যপারটি সম্পর্কে অবগত হন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। পেনশন বিভাগের মুখ্য সচিবের সঙ্গে কথাও বলেন। এরপর সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ কর্ণেল নিজামুদ্দিনের ব্যপারে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করেন। তারপর পেনশন ফাইলটি প্রধান সচিব রাজনৈতিক পেনশন ও ডেপুটি সেক্রেটারিকে পাঠানো হয়।
কিন্তু তারপর আজাদ হিন্দ ফৌজের এই বীর মুক্তি যোদ্ধার পেনশান কোনো এক আলমারিতে দিনের পর দিন পড়ে থাকে। জানা যায়নি ঠিক কি হয়েছে। পেনশান পাওয়া তো দূরের কথা স্বাধীনতা সংগ্রামীর মর্যদাটুকুও পাননি তিনি। পেনশানের আশায় তিনি বসে না থেকে দুনিয়া থেকেই বিদায় নিলেন। প্রথমে কর্ণেল নিজামুদ্দিন মারা গেলেন ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে। তারপর স্ত্রী আজিবুন্নিশা মারা যান ২৩ মে ২০১৮ সালে। একজন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সৈনিকের অন্তিম ইচ্ছেটুকুও পূরণ করতে পারলো না সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্ণেল নিজামুদ্দিনের কাছ থেকে আশির্বাদ নেন
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় নেতাজির সহযোগী কর্ণেল নিজামুদ্দিনের কাছ থেকে আশির্বাদ নেবার জন্যে তাঁর বাড়িতে পৌছেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। পা ছুঁয়ে আশির্বাদও নিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে আজাদ হিন্দ ফৌজের এই বীর সৈনিক বিজেপির জয় এবং নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়ে আশির্বাদও করেন।
Source: DAINIK JAGRAN
আরও পড়ুন: IAS বুশরা বানুর সফলতার কাহিনী: মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা নক্ষত্র